আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুখোশ নেবেন মুখোশ ........রণক ইকরাম

মুগ্ধ প্রেমিক তাই ভালোবাসা করে না!

এই লাইনটা যতটা নেয়া হয়েছে মাহমুদুজ্জামান বাবর গান থেকে তার চেয়ে বেশি নেয়া হয়েছে জীবন থেকে! কীভাবে? এক ভদ্রলোক এসেছেন খবরের কাগজের অফিসে বিজ্ঞাপন দিতে। বিজ্ঞাপনের বয়ান ছিল এরকমÑ ‘আমার স্ত্রীর প্রিয় বিড়াল কিটি গত পরশু থেকে নিখোঁজ। কেউ খুঁজে দিলে তাকে দশ হাজার টাকা পুরস্কৃত করা হবে। ’ পত্রিকা অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মী বিজ্ঞাপনটা পড়ে খুব অবাক হলেন। সামান্য একটা বিড়ালের জন্য এত টাকার পুরস্কার! ব্যাপারটা তিনি ভদ্রলোককে বলেও ফেললেন।

ভদ্রলোক খানিকক্ষণ এদিক-ওদিক চেয়ে একটু ঝুঁকে ওই কর্মীকে বললেন আরে ভাই, কেবল বউকে খুশি করার জন্য বিজ্ঞাপন দিতে এসেছি। কেউই বিড়ালটাকে খুঁজে পাবে না। পরশু দিন আমি নিজে ওকে মেরে বস্তায় পুরে জলে ফেলে দিয়েছি। এরপরও ওই ভদ্রলোক বিজ্ঞাপন দিতে এসেছেন। কারণ তিনি মুখোশ পরতে চান।

এ কারণেই কি-না জানি না এদেশের প্রথম সবাক ছবির নাম ছিল মুখ ও মুখোশ! কিন্তু কেন এই মুখোশ ? ‘অর্থই অনর্থের মূল’ এই কথাটা কোন অভাগা বলে গেছে জানি না কিন্তু অন্য আরেক অভাগা যদি এই অনর্থ কাটানোর উপায় বাতলে দিত তাহলে পৃথিবীটা এত জটিল হতো না। অর্থ আর ক্ষমতা হলো সুপার পাওয়ার। আর এই সুপার পাওয়ার কাজ করে সুপার মুখোশ হিসেবে। সুপার পাওয়ারের দোর্দণ্ড প্রতাপে টিকটিকির লেজের মতো সমাজ থেকে আস্তে আস্তে খসে পড়ে আমাদের মতো নিম্ন শ্রেণীর মানুষেরা। যাদের কোনো মুখোশ নেই।

এদেশটা যে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হচ্ছে কারণ কিন্তু ওই একটাইÑ মুখোশ। মুখোশধারীদের কারণেই আজ উল্টো পথে চলছে প্রাণের স্বদেশ। দুর্নীতি করা ও এর বিরুদ্ধে বলার মতো মুখোশ থাকে ক্ষমতাবানদের হাতে কিন্তু প্রকৃত অর্থে দুর্নীতি দমন করার মুখোশ পাই না কোথাও। এক বাঙালি আর এক ইংরেজ লোক গল্প করছে। প্রসঙ্গক্রমে ইংরেজটি বলল তোমরা বাঙালিরা অ™ভুত জাতি।

একেকজন একেক রংয়ের, একেক বর্ণের। ঠিক ঘোড়াদের মতো। তখন বাঙালি লোকটি মুচকি হেসে বলল, ঠিকই ধরেছেন ঘোড়াদের রং বিভিন্ন হয় কিন্তু গাধাদের রং একই হয়। কথার মারপ্যাঁচে বাঙালি লোকটি জিতে গেলেও বাস্তবতাকে কিন্তু অস্বীকারের জো নেই। বাস্তবে আমরা আসলেই নানা রংয়ের।

আর আমাদের একেকটা মুখোশের রং একই রকম। আর তাই বাংলা ছবির গানে আছেÑ‘মুখ ঢাকা মুখোশের এই দুনিয়ায়, মানুষকে কী দেখে চিনবে বল?’

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।