পথ হারাবো বলেই এবার পথে নেমেছি।
[আমার এই পোস্টের উদ্দেশ্য সাঈদ আনোয়ার ও চার্লস কভেন্ট্রীর মধ্যে তুলনা করা বা এই জাতীয় কিছু না। ]
ব্লগার "অ্যামাটার" কিছুক্ষণ আগে সাঈদ আনোয়ার = কভেন্ট্রি?? আবারও প্রমাণ হল, পরিসংখ্যান কত বড় প্রতারক! শীর্ষক পোস্ট দিয়েছেন। তার পোস্টের পর আমিও এই টপিক নিয়ে লিখার লোভ সামলাতে পারলাম না।
তাই আসুন পর্যালোচনা করে দেখা যাক পাল্লা কার দিকে ভারী-
ওডিআই ব্যাটিং পরিসংখ্যানঃ
আলোচনাটা যখন এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রান করার রেকর্ড নিয়ে(যা কিনা ব্যাটিং রেকর্ড),তাই এই দুই ব্যাটসম্যানের শুধু ব্যাটিং (ওডিআই) রেকর্ড তুলে ধরা হলঃ
সাঈদ আনোয়ারঃ
ম্যাচ-২৪৭
ইনিংস-২৪৪
নটআউট-১৯
সর্বমোট রান-৮৮২৪
এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রান-১৯৪
গড়-৩৯.২১
স্ট্রাইক রেট-৮০.৬৭
সেঞ্চুরী-২০
হাফ সেঞ্চুরী-৪৩
চার-৯৩৮
ছয়-৯৭
চার্লস কভেন্ট্রীঃ
ম্যাচ-১৫
ইনিংস-১৪
নটআউট-১
সর্বমোট রান-৪৯৫
এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রান-১৯৪
গড়-৩৮.০৮
স্ট্রাইক রেট-৯৯.৭৯
সেঞ্চুরী-১
হাফ সেঞ্চুরী-২
চার-৪১
ছয়-১৯
যেভাবে হল মহাকাব্যিক ১৯৪:
সাঈদ আনোয়ারঃ
রান-১৯৪
ক্রিজে অতিক্রান্ত সময়-২০৬ মিনিট
বল-১৪৬
চার-২২
ছয়-৫
স্ট্রাইক রেট-১৩২.৮৭
ব্যাটিং পজিশন-১
ভেন্যু-চেন্নাই, ভারত মার্চ ২১,১৯৯৭।
চার্লস কভেন্ট্রীঃ
রান-১৯৪
ক্রিজে অতিক্রান্ত সময়-১৯১ মিনিট
বল-১৫৬
চার-১৬
ছয়-৭
স্ট্রাইক রেট-১২৪.৩৫
ব্যাটিং পজিশন-৩
ভেন্যু-বুলাওয়ে, জিম্বাবুয়ে আগস্ট ১৬,২০০৯।
নিয়ামক বিষয়াবলীঃ
১. ম্যাচের উত্তাপঃ সাঈদ আনোয়ার সেই ইনিংস খেলেন ভারতের মাটিতে ভারতেরই বিরুদ্ধে ৪৫০০০ দর্শকের সামনে এক স্নায়ুক্ষয়ী ম্যাচে (ইন্ডিপেন্ডেন্স কাপ,৯৭)।
চার্লস কভেন্ট্রী এই ইনিংস খেলেছেন হোম ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যেখানে বাংলাদেশর র্যাং কিং ৯। জিম্বাবুয়ে আছে আরো পরে।
২. প্রতিপক্ষের শক্তির তারতম্যঃ সাঈদ আনোয়ারকে সেই ম্যাচে খেলতে হয়েছে পূর্ণ শক্তির ভারতের বিরুদ্ধে যেখানে কভেন্ট্রী খেলেছেন ইনজুরি জর্জরিত বাংলাদেশর নির্বিষ বোলিং লাইনের বিরুদ্ধে।
৩. দলের মোট সংগ্রহে কন্ট্রিবিউশানঃ
সাঈদ আনোয়ার-৫৯.৩৩%
চার্লস কভেন্ট্রী-৬২.১৮%
এক্ষেত্রে চার্লস কভেন্ট্রী এগিয়ে আছেন।
৪. আজ বুলাওয়েতে তাপমাত্রা ছিলো ১৬ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড যা ক্রিকেট অনুকূল। অন্যদিকে সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ড গড়ার সেই ম্যাচে চেন্নাইয়ে তাপমাত্রা ছিলো ৩০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডের উপরে। অত্যাধিক গরমের কারণে সাঈদ আনোয়ার পানিশূণ্যতায় ভুগছিলেন যেজন্য ১৮.৪ ওভারের পর তার রানার হিসেবে আসেন শহীদ আফ্রিদি।
সাঈদ আনোয়ার বিশ্বের অনেক ক্রিকেট ভক্ত ও উঠতি ক্রিকেটারের কাছেই এখনো আইডল।
চার্লস কভেন্ট্রীও হয়তো ভবিষ্যতে ভালো পারফরম্যান্সের মাধ্যমে অনেকের হৃদয়ে জায়গা করে নিবেন। তারপরও এই দুই ক্রিকেটারের মধ্যে আসলে কোনোভাবেই তুলনা চলে না। চার্লস কভেন্ট্রীর এই পারফরম্যান্স ফ্লুক নাকি তার প্রতিভার বহিঃপ্রকাশ তা সময়ই বলে দেবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।