ঠিক করেছিলাম যদি এই পর্বের পাঠক/পাঠিকা হাজার অতিক্রম করে, তবে দ্বিতীয় পর্ব শুরু করব। আজ আড়াই দিনের মাথায় সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। ছবি আঁকার চোরাস্রোত আমাদের প্রত্যেকের ধমনীতেই বইছে। আপনাদের এই আগ্রহ আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে নতুন পর্ব লিখতে।
আমার এক দোস্তের যা ছবি আঁকার হাত না !! দারুন।
এরকম কথা আমরা হয়ত শুনে থাকি কাছের মানুষদের কাছে। কথাটি আক্ষরিক অর্থে ঠিক নয়। ছবি আমরা ঠিকই হাত দিয়ে আঁকি। কিন্তু এতে হাতের ভূমিকা গৌন। সত্যি বলতে কি ছবি আঁকার প্রক্রিয়াটি অসম্ভব জটিল এবং দুবোর্ধ্য।
আমরা আঁকাআঁকির জন্য হাতকে টুল হিসেবে ব্যবহার করলেও ছবি আঁকার প্রক্রিয়াটি আসলে সম্পন্ন হয় মস্তিষ্কে। হাত শুধু তার প্রভূভক্ত অনুচর, আজ্ঞাবহ দাস মাত্র।
আমরা যখন সামনে মডেল রেখে ছবি আকিঁ, তখন কি ঘটে ? আসুন বিশ্ষেষনী পদ্ধতিতে ভাবি
বুকে হাত দিয়ে বলুন তো কাগজে দাগ কাটার সময় জীবনে কখনো কি এর পেছনের এই উপন্যাসের কথা ভেবেছিলেন ?
খুব সাদামাটা ভাবে এই হল কাগজে একটি দাগ কাটার পেছনের গল্প। ছবি আঁকা শেখাবো বলে আপনাদের ভড়কে দেওয়ার একটা চেষ্টা করলাম মনে হয়। আসলে ব্যাপারটি বিপরীত।
আপনি যতই ছবি আঁকার পেছনের বৈজ্ঞানিক কারণগুলো জানবেন। ততই নিরাসক্ত ভাবে আঁকতে পারবেন। আপনার দেখার চোখ খুলে যাবে। ছবি আঁকার পেছনে হাতের চেয়ে চোখের ভূমিকা অনেক বেশী। পৃথিবীতে হাতবিহীন বহু শিল্পী আছেন।
পা, মুখ এমনকি জিহ্বা দিয়েও ছবি এঁকেছেন তারা। কিন্তু অন্ধ কোন চিত্রশিল্পী পাবেন না। যার চোখ নেই তার সার্কিটটি বিচ্ছিন্ন।
লিংকে দেখুন একটি ক্লাশে এই জটিল অংশটিই বোঝাচ্ছিলাম প্রায় শতাধিক ছাত্রছাত্রিকে।
আজ এই পর্যন্তই কচকচানি।
পরের ক্লাস থেকে শুরু হবে সত্যিকারের অনুশীলন। ধৈর্য ধরুন প্লিজ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।