মুহুর্তকে বিনোদন ভাবতে চাই!
অনুর বয়েস সবে পাঁচে পড়লো। সুন্দর চেহারা পটপট করে কথা বলে। বাবা মায়ের আদর সে সবসময়ই পেয়ে থাকে। বাবা মায়ের আলিঙ্গন তো অহরহ দেখে। একদিন বাবাকে জিজ্ঞাস করে বসলো।
বাবা, আম্মুর ঠোঁটে যেভাবে আদর করো আমাকেও সেইভাবে আদর করে দাওনা। বাবাতো একেবারে অবাক। কি আর করা। বাবা বললো, ছোটদের ওভাবে আদর করতে নেই। শুধুমাত্র বড়দের ওভাবে আদর করতে হয়।
একদিন রাতে হঠাৎ অনুর ঘুম ভেঙ্গে যায়। প্রায় সব শিশুরাই ঘুম থেকে জেগে উঠে কান্নাকাটি শুরু করে দেয় কিন্তু অনুর তেমনটি হতো না। ঘুম থেকে উঠেই সে দেখে মায়ের উপরে উঠে তার বাবা জোড়াজুড়ি করছে। অনু চিৎকার করে বলে ওঠে -
বাবা মাকে তুমি ছেড়ে দাও। বাবা মাকে ছেড়ে দাও।
বাবা আর কি করবেন, তারাতারি হন্তদন্ত হয়ে তার মায়ের উপর থেকে পাশে নেমে আসে অনুর কাছে। বলে
আম্মু-কিছুই তো হয়নি, তোমার আম্মুর পেটে ব্যাথা হচ্ছিল তাই আমি পেটটা চেপে দিচ্ছিলাম, এখন ভালো হয়ে গেছে। তুমি এখন ঘুমিয়ে পরো, লক্ষী আম্মু আমার।
অনুর আর ঘুম আসে না। সে ঘুমের ভান করে চোখ বন্ধ করে রাখে।
অনুর বাবা-মা সে ঘুমিয়েছে ভেবে আবার শুরু করে তাদের নিত্যদিনের অনুশীলন, ঠিক যেখান থেকে বন্ধ করেছিলো। অনু সব দেখলো কিন্তু কিছুই আর বললো না। সে তার বাবা-মায়ের অদ্ভুত এবং বিকৃত আওয়াজ, কসরতের ঝড়, অবশেষে নিস্তেজ হয়ে পড়া সবই দেখলো।
পরদিন অনু শুধু গতরাতের সেই স্মৃতির কথাই ভাবতে থাকে। একসময় মাকে সে বলে ওঠে-
আচ্ছা আম্মু, তোমার পেটের ব্যাথা ভালো হয়ে যাওয়ার পরও আব্বু কেনো তোমার পেটের উপরে উঠেছিল?
আম্মুর মুখ লজ্জায় লাল হয়ে যায়।
কি বলবে এখন তার এই ছোট্ট মেয়েকে।
আম্মু বলে, তোমার আব্বু তখন আমাকে আদর করছিলো।
অনু আবার বলে ওঠে, তাহলে আব্বু আমাকে ওভাবে আদর করে না কেনো?
চুপ, বোকা মেয়ে, ছোটদের ওভাবে আদর করতে নেই। যাও এখন পড়তে বসোগে, যাও।
অনু চলে যায় পড়ার টেবিলে, কিন্তু তার মাথা থেকে ওই বিষয়টা অর্থাৎ আব্বু আম্মুর আদর করার বিষয়টা মাথা থেকে কোনভাবেই যাচ্ছে না।
অনুর বাবা-মা বুঝতে পারে তাকে রাতে আর তাদের সাথে একঘরে ঘুমাতে দেয়া যাবে না, আলাদা ব্যবস্থা করতে হবে। পরের রাতে অনুকে অন্য ঘরে শোবার ব্যবস্থা করা হলো। অনু কিন্তু ঠিকই বুঝতে পারে, কেনো তাকে অন্য ঘরে ঘুমোতে হবে।
........................... [চলবে-]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।