আল বিদা
বুধবারে ছুটিতে কে কোথায় যাচ্ছে তা নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছিলাম (Click This Link) । অনেকেই তাদের গন্তব্য জানিয়েছিলেন। কেউ জানতে চায় নি আমার প্ল্যান কি তাই তখন বলিনি আমার প্ল্যান।
আপনাদের হয়ত আমার দার্জিলিং ট্যুরের কথা মনে আছে যেখানে আমার সাথে পরিচয় হয়েছিল গ্রামীনফোনের হিরন, চ্যানেল এয়ানের সুজন মেহেদী আর এলিকোর জিয়া ভাইয়ের সাথে। তাদের সাথেই আবার প্ল্যান হল রাঙ্গামাটি যাওয়ার।
তবে এবার আর যেতে পারলেন না জিয়া ভাই। তবে সাথে এড হল অন্য আরো ২ জন।
ইউনিক নন এসি বাসে ১২ তারিখ রাত ১০.১৫ টার বাসে রওয়ানা দেয়া হল রাঙ্গামাটি। যদিও সে রাতে পথে কোন এক দূর্ঘটনা ঘটায় মারাত্নক জ্যাম লেগে গিয়েছিল তবে ভাগ্যক্রমে আমরা তা পাই নি। ভোর বেলাতেই পৌছে গেলাম রাঙ্গামাটি।
কিন্তু হোটেল সুফিয়ার রুম তখনও খালি না হওয়ায় আমদের অপেক্ষা করতে হল। এই ফাকেই সকালের নাস্তা শেষ করে ঠিক করা হল শুভলং যাওয়ার। শুভলং রাঙ্গামাটি থেকে ট্রলারে ১.৫ ঘন্টার পথ। আমরা একটি ট্রলার ভাড়া করলাম ৯০০ টাকায়। সে আমাদের রাজবন বিহার, রাজবাড়ী ঘুরিয়ে নিয়ে যাবে শুভলং।
আমাদের মূল উদ্দেশ্য শুভলং ঝর্না দেখা। বহুদিন আগে কে যেন শুভলং ঝর্নার ছবি ব্লগে দিয়েছিল সে থেকেই আমার ইচ্ছা ছিল যাওয়ার। সাথে নিয়ে নিলাম বন্ধুদের।
রাজবন বিহার আর চাকমা রাজার বাড়ী নিয়ে কিছু লিখলাম না। শুধু ভাল যে লেগেছিল তা বললাম।
শুভলং যেতে যেতে অপূর্ব প্রাকৃতিক দৃশ্য চোখে পড়ে। যে দিকেই তাকাই মুগ্ধ হয়ে যাই। আনন্দের কথা এই যে প্রকৃতি এখানে এখনও অবিকৃত আছে বলে মনে হয়। পথে যেতে যেতে দুধারের মানুষ জন দেখা যায়। তবে পাহাড়ী জীবন তেমন আর দেখা যায় না।
শুধু আনারস, কলা আর সেগুন গাছের সমারোহ আছে। শুভলং ঝর্নায় পানি ছিল। তবে মাধবকুন্ডের ঝর্নার মত এত পানি না। সেই পানিও আবার ৩ স্তরে নিচে নেমে আসে। শুভলং এলাকায় গিয়ে দেখা গেল হিল্লোল-চুমকিরা কোন এক নাটকের শ্যুটিং করছে।
শুভলং ঝর্নার পাশে আছে শুভলং বাজার। বাজারটি এক আর্মি ক্যাম্পের সাথে। সেখানে লেকের সুস্বাদু মাছ দিয়ে লাঞ্চ সেরে নিলাম। আশ্চর্য লাগল বাজার ব্যবস্থা দেখে। শুভলং ঝর্নার পাশে আরেকটি ঝর্না আছে।
দুইটি ঝর্নাই দেখার মত। পথে প্যাদা টিংটিং এ নামার ইচ্ছা থাকলেও আর নামা হয় নি। ফিরে এলাম রাঙ্গামাটিতে।
পরদিন গেলাম ঝুলন্ত ব্রীজে। এই ব্রীজ নিয়ে তো বলার আর কিছু নেই।
বৃষ্টির মাঝেই লেকে নৌকা নিয়ে ঘুরতে ভাল লাগে। বৃষ্টিতেই যেন লেক-পাহাড়ের রুপ খোলে।
খুব ভাল লাগল এবারের রাঙ্গামাটি ট্যুর। আর সঙ্গী হিসেবে হিরন-সুজন পরিবারের তুলনা হয় না। তারা এমনই সঙ্গী যে ছোটখাট ভুল নিয়ে কোন কথাই হয় না।
চমৎকার এক সফর সঙ্গী তারা।
যারা যেতে চান তারা বর্ষাতে গেলেই ভাল। সাথে ছাতা বা রেইন কোট নিয়ে নিতে পারেন। ইউনিক, শ্যামলী, সৌদিয়া, এস আলম বাস যায়। সময় লাগে প্রায় ৮ ঘন্টা।
হোটেল সুফিয়া আর হোটেল গ্রীন দুটোই ভাল হোটেল। এছাড়া পর্যটন তো আছেই। ইউনিক বাসের নাম্বার 8318151, 9337846, 01190-534998 আর হোটেল গ্রীনের নাম্বার ০৩৫১-৭১২১৪, ০১৮১৫-৪৫৯১৪৬। পরে আরও নাম্বার এড করে দিব ইনশাল্লাহ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।