আল বিদা
বর্ষা তো সবারই প্রিয়। বিভিন্নভাবে বর্ষাকে দেখেছি। কিন্তু এবার রাঙ্গামাটিতে দেখলাম একেবারে ভিন্ন এক রুপে। এর আগে একবার আমি রাঙ্গামাটি দেখেছিলাম ২ বৈশাখে। খরতাপে তখন যাই দেখছিলাম তাই বিরক্ত লাগছিল।
এবার দেখলাম বৃষ্টিতে।
শুভলং যাওয়ার পথে একটা ট্রলার নিলাম। ট্রলারে ছাদ থাকাতে বৃষ্টিতে ভিজি নাই। তবে বৃষ্টি দেখছিলাম মন ভরে। সাথে সহযাত্রী প্রিয় কিছু মানুষ।
চারদিকে শুধু পাহাড় আর পাহাড়। এর মাঝেই কাপ্তাই লেক একেবেকে গিয়েছে। যেদিকেই তাকাই সবুজ আর সবুজ। কোথাও ঘন বন আবার কোথাও কলা, আনারস আর সেগুনের বাগেন। মাঝে মাঝে কাঠবিড়ালি, বানর দেখা যায়।
মাছ ধরার নৌকা, জাল নিয়ে জেলে দেখা যায়। আর পাহাড়ের অনেক জায়গা দিয়ে পানি পড়ে ছোট ছোট ঝর্নার মত তৈরী হচ্ছে। মুগ্ধতা আর কাকে বলে। এমনই মুগ্ধতা যা বলে বোঝানো যাবে না। দ্বীপে তো মানুস থাকেই।
এ এক অন্যরকম দ্বীপ। চারদিকে পানি আর মাঝে পাহাড়। আর এই পাহাড়েই মানুষের বসতি। কোথাও কোথাও বিডিআর, আনসার আর আর্মির ক্যাম্প। পুরোটা পথ আপনাকে ভুলিয়ে রাখবে প্রকৃতি।
আর সাথে যদি প্রিয় কোন গান বা রবীন্দ্রসঙ্গীত থাকে তাহলে আর কথাই নেই।
রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত ব্রীজ এবার রোদ আর বৃষ্টি দু অবস্থাতেই দেখলাম। আহা কি অপরুপ। বৃষ্টিতে ব্রীজকে আরও তেজস্বী মনে হয়। লেকে যখন বৃষ্টির পানি পড়ে তখন তো ঢেউয়ের তালে মনও দোলে।
*খুব অনুভূতি দিয়ে লেখার পর মনে হল যা লিখতে চেয়েছি তা লেখা হয় নি কিছুই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।