আমি কিছুই লিখব না।
১৬ ঘণ্টা বিচ্ছিন্ন থাকার পর শুক্রবার সন্ধ্যায় কক্সবাজারে সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ পুনঃস্থাপিত হয়েছে।
বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনোয়ার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "আমরা জানতে পেরেছি, সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। "
টাইফুনের আঘাতে সমুদ্র তলদেশের এশিয়া প্যাসিফিক ক্যাবল নেটওয়ার্ক-২ (এপিসিএন-২) ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের মাঝে বাংলাদেশের সংযোগ ক্যাবল কাটা পড়ায় দেশে ইন্টারনেট সংযোগের গতি ধীর হয়ে পড়ে।
শুক্রবার ভোররাতে কক্সবাজারে সাবমেরিন কেবল সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়।
মনোয়ার হোসেন শুক্রবার দুপুরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "রাত পৌনে ৩টার দিকে কেবল সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। "
মেরামতের কাজ চলছে জানিয়ে তিনি আশা প্রকাশ করেন, শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ ইন্টারনেট সংযোগ স্বাভাবিক গতি ফিরে পাবে।
মনোয়ার জানান, সড়ক সংস্কার কাজের অংশ হিসেবে একটি গাছ শেকড়সহ ওপড়ানোর সময় কেবল ছিড়ে যায়।
তিনি জানান, ২০০৫ সালে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলে (সিইএমইডাব্লিওই-৪) যুক্ত হওয়ার পর ২০ বারের বেশি কেবল সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। এর মধ্যে স্থলভাগেই বেশি বার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়।
বৃহস্পতিবার ইন্টারনেট সংযোগে ধীরগতির জন্য সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠান সিংটেল জানায়, টাইফুনের কারণে এশিয়া প্যাসিফিক ক্যাবল নেটওয়ার্ক-২ সাগরের তলদেশে বুধবার বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ইন্টারনেট সংযোগ ব্যাহত হচ্ছে।
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খাবিরুজ্জামান বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "সিঙ্গাপুর থেকে হংকং এর মধ্যে সাবমেরিন ক্যাবল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এ কারণে আমাদের এখানে ইন্টারনেট সংযোগে ধীরগতি নেমে এসেছে। "
তবে মেরামত শেষে বৃহস্পতিবারের মধ্যে ইন্টারনেটে স্বাভাবিক গতি ফিরে আসার কথা সিংটেল জানিয়েছিল।
তবে এর মধ্যেই চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মাঝামাঝি এলাকায় কেবল কাটা পড়ে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।