আমার আগের হেডিং টা সরাই দিছি
বাংলাদেশের ইনিংস শেষ। খেলার বিরতি চলছে।
ভাবলাম দুডো চারডে কথা লিখে যাই।
শুরুতেই বলি - আহা আহা। কল্পনা করেন আপনে মুখের মইদ্যে বগুড়ার দই একগালে আরেকগালে জামতলার মিষ্টি নিয়ে বসে আছেন।
সেই রকম আহা আহা করলাম আইজকে তামিম আর সাকিবের ব্যাটিং দেইখা।
তামিম তো শুরুতেই সলিড ব্যাটিং। দেখেশুনে শট। চার ছক্কা।
দেখতে দেখতে করে ফেললেন ফিফটি।
তার সাথে ছিলেন জুনায়েদ। তারা দুজন ৭১ রান এর পার্টনারশিপ করে জুনায়েদ সায়েব রান আউট হলেন।
এলেন আশরাফুল।
১১০ রানের মাথায় গেলেন আশরাফুল।
এলেন সাকিব
কত কায়দায় যে চার আর ছক্কা মারা যায় তাই আইজকে আমাদের ক্যাপ্তান সায়েব দেখালেন।
কিছু নমুনা দেই:
একবার এক ওভারে তিনি হালকা খোড়াচ্ছিলেন। তার একটু আগে মাজায় হালকা টান খাইছেন। বোলার মামা খুব খুশি। দিলো গায়ের মধ্যে বল। খেলো ছক্কা।
পরের বল। আবারো ছক্কা। পর পর দুটো।
তো এরকম পুল শট, কভার ড্রাইভ কত কি ছলচে। তো এক পর্যায়ে খেলেন কোমোরে টান।
ওহো ওহো। (মনে করেন আপনে জিভে হঠাত করে কামড় দিছেন) ।
কি হবে এখন? নো চিন্তা।
এলেন ফিজিও মাঠে। সাকিবরে দিলেন দুডো বড়ি।
তারপর তারে দিলেন ডলা। ডলা খাইয়া সাকিব আবার খুড়ায় খুড়ায় রেডি।
বোলার তো আবারো মহা খুশি। আবার চান্স নিলেন বডি লাইন বলিং করে-ভাবছিলেন হয়তো সাকিব ব্যাটারে আহত করতে পারলে মন্দ হয় না।
কিন্তু কিসের কি।
সেই বলটাই চলে গেলো বাউন্ডারির বাইরে। চার রান।
এর একটু পরেই আরেক ওভারে নিলেন ২৪ রান। এক পর্যায়ে একটা চরম ফাস্ট বলে , ব্যাট টা কে মুখের সামনে লম্বা লম্বি ধরে, উইকেট কিপারের (খেয়াল কইরা কিন্তুক ) মাথার উপর দিয়া চালান করে দিলেন ৪ রানের জন্য।
তারো একটু পরে, এক ওভারে তিনি দৌড়ে নিলেন ৪ রান।
মানে জিম্বাবার ঘাড়ে আইজকে সাকিব ভুত চাপছিলো।
তবে হ্যা, একটা কথা বলতেই হয়, সাকিব এর ২ টা ক্যাচ কিন্তু জিম্বাবারা ফালাইছে ৭০-৭৫ রানের মাথায়। লোপ্পা লোপ্পা ক্যাচ কিন্তু ফিল্ডারের হাতের থেইকা বল লাফ মাইরা নাইমা গ্যাছে
শ্যাষে তিনি ১০০ করলেন মাত্র ৬৩ বলে। বাংলাদেশের দ্রুততম শতক।
এর আগের টা ছিলো আমাগো কাপালি ভাই এর।
সেটা আছিলো ৮৫ বলে।
যাহোক, ১০০ করার এট্টু পরেই নিজে এট্টু জোরে দৌড়াতে যেয়ে রান আউট হয়ে গেলেন। অবশ্য আমার মতে ভালোই হইছে। উনার আসলে রেস্ট দরকার আছিলো।
তারপর বাকিরা মিলে রান নিয়ে গেলেন ৩২০ এ।
এখন দেখা যাক বোলিং এ কি হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।