অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের রাজনৈতিক বক্তব্য প্রদান নিয়ে বিগত বেশ কিছুকাল বিতর্ক চলছে। বিশেষ করে যাঁরা যখন সরকারে থাকেন, তাঁরা এ ধরনের লোকদের অনেকের বক্তব্য পছন্দ করেন না। আবার তাঁদের পক্ষে সেই বক্তব্য গেলে তা অবলীলায় ব্যবহার করেন। অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের রাজনৈতিক বক্তব্য নিয়ে অনেকে তির্যক মন্তব্য করতেও পিছপা হন না। কেউ কেউ তো ইদানীং এমনও বলছেন, ‘নির্বাচন এলেই একদল অরাজনৈতিক ব্যক্তি দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন।
’ অথচ অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়া কেন তাঁরা অগ্রহণযোগ্য মনে করেন, তা বোধগম্য নয়।
রাজনীতি রাষ্ট্র ও সমাজের মূল চালিকাশক্তি। সেই রাজনীতি সমাজের ভালো-মন্দ সবকিছুর সঙ্গেই জড়িত। আর রাষ্ট্রের নাগরিকেরা সবাই প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতি করে না। তাই রাজনীতি না করলেও যেসব বিষয় সমাজকে আলোড়িত করে, তা নিয়ে কথা বলার অধিকার তো সবারই রয়েছে।
আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসংগত বিধিনিষেধ সাপেক্ষে সব নাগরিকের মতামত প্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। আর অরাজনৈতিক ব্যক্তি বলতে সম্ভবত রাজনৈতিক দলের সদস্য নন, এমন লোকদের বোঝানো হয়। তাঁদের রাজনৈতিক বক্তব্য প্রদানের ওপর আইন দ্বারা কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়নি। আর তা করার চিন্তাও যৌক্তিক বলে কেউ মনে করবেন না। তাহলে বাধাটা কোথায়?
আগের সময়ের প্রসঙ্গ বাদই দিলাম; নব্বইয়ের দশক থেকেই বিষয়টি আলোচনা করা যাক।
এরশাদের শাসনামলের শেষ দিকে গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর আন্দোলনকে তুঙ্গে নিতে আবশ্যক ছিল দুই নেত্রীর ঐক্য। আর সেই ঐক্যপ্রচেষ্টায় নেপথ্য থেকে মূল ভূমিকা রেখেছিলেন মুখ্যত রাজনীতিক নন এমন কিছু ব্যক্তি। পদত্যাগে বাধ্য হলেন এরশাদ। ১৯৯১ সালে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুনভাবে গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু করল জাতি। সংগতভাবে জনগণ আশা করেছিল, প্রতিষ্ঠিত হবে সুশাসন।
সময়ে সময়ে ক্ষমতার পালাবদল ঘটবে নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে। কিন্তু তা কি আদৌ হয়েছে? জবাব পাঠকের জানা। তবে স্বীকার করতে হবে, এ সময়ে দেশের সামাজিক ও আর্থিক খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এতে প্রধান দুটি দলের নেতৃত্বে সব কটি সরকারের ধারাবাহিক অবদান রয়েছে। তবে সুশাসনের অভাবে এর সুফল যথাযথভাবে ভোগ করতে পারছে না জনগণ।
আর সংগত কারণেই ধারণা করা যায়, সুশাসন নিশ্চিত করা গেলে এ অগ্রগতির মাত্রা আরও ওপরে থাকত। তাহলে এসব বিষয় নিয়ে নাগরিকেরা কথা বলতে পারবেন না, এমন তো হওয়ার কথা নয়। আর নির্বাচন ঘনিয়ে এলে এসব কথাবার্তা আরও বেশি করে বলাই তো স্বাভাবিক।
তারপর থাকছে ক্ষমতার পালাবদলবিষয়ক একটি মৌলিক নাগরিক ভাবনা। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, স্বাভাবিক প্রত্যাশা ছিল নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতার পালাবদল ঘটবে।
সেই মৌলিক নাগরিক ভাবনাটি এই দুই দশকে আরও গভীরতর হয়েছে; বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ঘটনা-দুর্ঘটনার জন্য। অবশ্য একবারই ব্যতিক্রম ছিল—২০০১ সালে। তখনকার সরকার নির্দিষ্ট মেয়াদান্তে দায়িত্ব ছেড়ে দেয়। এ ছাড়া প্রতিটি ক্ষেত্রেই ব্যত্যয় ঘটেছে। ১৯৯১ সালে নির্বাচিত সরকার ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি একতরফা নির্বাচন করে।
জনপ্রতিরোধে শাসনব্যবস্থা অচল হয়ে পড়লে নিজেরাই বিরোধী দলের দাবি অনুসারে সংবিধানে নির্বাচনকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান করে ত্রয়োদশ সংশোধনী পাস করে। আর এর পেছনে অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের ইতিবাচক ভূমিকা নগণ্য ছিল না। আবার ২০০১ সালে নির্বাচিত সরকার ২০০৬ সালের অক্টোবরে মেয়াদ শেষে ক্ষমতা ছেড়ে দেয় বটে, কিন্তু ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ পালাবদলের পথে পুঁতে রাখে অজস্র কণ্টক। যেমন একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের বয়সসীমা বৃদ্ধি আর নির্বাচন কমিশনে কতিপয় বিতর্কিত নিয়োগ। আর শেষতক সদ্য-ক্ষমতা-ত্যাগকারী দলটির প্রেরণায় প্রধান উপদেষ্টা পদে রাষ্ট্রপতি স্বয়ং দায়িত্ব নিয়ে নতুন সংকটের সূচনা করলেন।
এ অবস্থায় তখনকার বিরোধী দল নির্বাচনে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানায়। ২০০৭ সালের সূচনায় একটি একতরফা নির্বাচনের দিকে দেশ যাচ্ছিল। তখনকার রাজনৈতিক প্রতিবাদ-প্রতিরোধের পাশাপাশি এসব অরাজনৈতিক ব্যক্তির সিংহভাগই একতরফা নির্বাচন-প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে জোর অবস্থান নিয়েছিলেন। সেই নির্বাচন এক-এগারোর সামরিক হস্তক্ষেপে বন্ধ হয়। গঠিত হয় নতুন আরেকটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
তখন বড় ধরনের জনদাবি ছিল সব ভোটারের ছবিযুক্ত একটি ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং ভোটার পরিচয়পত্র প্রদান। আরও দাবি ছিল নির্বাচন কমিশনসহ নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার। অন্য কতিপয় প্রতিষ্ঠান বিতর্কিত হয়ে পড়ায় সেগুলো সংস্কারের দাবিও ছিল।
এক-এগারোর পরিবর্তনের পর গঠিত সরকারের বৈধতা, সাফল্য কিংবা ব্যর্থতা এ নিবন্ধের আলোচ্য বিষয় নয়; তবে যেটুকু আলোচনা না করলেই নয় তা হচ্ছে, সেই সময়েই দেশের সব ভোটারের ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা ও ভোটার পরিচয়পত্র প্রদানের যুগান্তকারী কাজটি হয়। একটি দক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন এবং এর সুপারিশে সরকার নির্বাচনী আইনে বেশ কিছু সংস্কার করে।
কমিশনও একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের সহায়ক আচরণবিধি তৈরি করে। নির্বাচনী বিধি-ব্যবস্থা সংস্কারসংক্রান্ত কমিশনের এসব কার্যক্রমে রাজনৈতিক মহলের পাশাপাশি অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের বহু সুপারিশও মূল্যবান ভূমিকা রেখেছে। সেই কমিশনের কার্যক্রমের প্রতি শেষাবধি সর্বাত্মক সমর্থন দিয়েছে এই অরাজনৈতিক মহল।
আর হাল আমলের অবস্থা সবার জানা। নির্বাচন হবে কি না, আর তা হলেও সবার অংশগ্রহণ থাকবে কি না, এ নিয়ে সংশয়ে আছে জনগণ।
সংশয়টিও যৌক্তিক। কোনো পক্ষই এক বিন্দু ছাড় দিতে চাইছে না নিজ অবস্থান থেকে। দুই বছর আগে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাস হওয়ার পর থেকে এই অচলাবস্থার সূচনা। সরকার চাইছে সংবিধান অনুসারে ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করতে। আর বিরোধী দল এতে অংশ নিতে অসম্মত।
তাদের দাবি, নির্বাচন হতে হবে একটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে। দেশের প্রধান দুটি দলের বিপরীতমুখী অবস্থানের কারণে রাজনৈতিক মহলের পাশাপাশি আপামর জনগণের উদ্বিগ্ন হওয়াই স্বাভাবিক। এ অবস্থার নিরসন করে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি পক্ষপাতহীন নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বর্তমান সময়ে অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের তৎপরতাকে অসংগত বলা যাবে না।
উল্লেখ করতে হয়, অরাজনৈতিক ব্যক্তিরা কখনো বিচ্ছিন্নভাবে বিবৃতি দিয়ে কিংবা পত্রপত্রিকায় কলাম লিখে আর কেউ কেউ টেলিভিশনের টক শোতে অংশ নিয়ে মতামত দেন। কখনো বা তাঁদের কেউ কেউ কতগুলো অরাজনৈতিক ফোরামে সেমিনার ও গোলটেবিল বৈঠকের মাধ্যমে বক্তব্য দেন।
এসব মতামত ভিন্নধর্মী। সরকারের বর্তমান অবস্থানকে সরাসরি সমর্থন করেও বেশ কিছু মতামত লক্ষ করা যায়। তাই দোষটা কোথায় হলো বুঝতে পারা দুষ্কর।
দেখা যাচ্ছে, সৃষ্ট অবস্থা নিরসন ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রয়াসে জাতিসংঘের মহাসচিবও সক্রিয়। তিনি কথা বলেছেন প্রধান দুই নেত্রীর সঙ্গে।
একাধিকবার পাঠাচ্ছেন তাঁর বিশেষ দূত। নিউইয়র্কেও উভয় দলের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলেই জানা যায়। ঢাকায় অবস্থানরত বিভিন্ন কূটনৈতিক মিশনের প্রধানেরাও একই লক্ষ্যে খোলামেলাভাবেই কাজ করছেন। তাঁদের কারও পরামর্শ মানা হোক বা না হোক, শোনা হচ্ছে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে। নির্বাচন কমিশনও এসব কূটনীতিকের সঙ্গে সুদীর্ঘ বৈঠক করেছে।
তাঁরা কেউ এ দেশের নাগরিক নন; তবে আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষী বলেই উদ্বিগ্ন। পক্ষান্তরে, যাঁরা এ দেশের নাগরিক, যাঁদের ভোগ করতে হচ্ছে বা হবে এ অচলাবস্থাজনিত রাজনৈতিক অস্থিরতার কুফল; সেসব ব্যক্তি রাজনীতি করেন না বলেই এসব বিষয়ে উদ্বিগ্ন হওয়া বা আলাপ-আলোচনা করা কিংবা মতামত দেওয়া আদৌ দূষণীয় হতে পারে না।
আলোচনা দাবি রাখে, যেসব অরাজনৈতিক ব্যক্তিকে দোষারোপ করা হচ্ছে, তাঁরা কারা। ব্যাপক অর্থে, রাজনৈতিক দলের সদস্য নন—এমন সবাই হলেও সমালোচনার তির মূলত রাজধানীকেন্দ্রিক কিছু ব্যক্তির দিকে। যাঁরা কলাম লেখেন, টক শোতে যান, বিবৃতি দেন আর সেমিনার কিংবা গোলটেবিলে বক্তব্য দেন, তাঁদের দিকে।
কখনো বলা হয়, একটি রাজনৈতিক শূন্যতা সৃষ্টি করে তাঁরা ক্ষমতার ভাগীদার হতে চাইছেন। থাকতে পারেন এ ধরনের মনোভাবসম্পন্ন দু-একজন ব্যক্তি। কিন্তু সবাই তা নয়—এমনটা বলার অপেক্ষা রাখে না। নিছক জনগণের কল্যাণ-ভাবনায় একটি দায়িত্ববোধ থেকেই তাঁরা এ ধরনের মতামত দিয়ে যাচ্ছেন। অবশ্য শুধু আমাদের নয়, প্রতিবেশী ভারতেও বিপক্ষে মতামত গেলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
যেমন নরেন্দ্র মোদিকে বিজেপি ভারতের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী প্রার্থীরূপে সামনে আনলে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী নোবেল বিজয়ী ভারতীয় অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন তীব্র প্রতিবাদ জানান। দলটি দাবি জানায় এ বক্তব্য প্রত্যাহারের। কিন্তু তিনি তা করতে সম্মত হননি। উল্লেখ করা বাহুল্য, অমর্ত্য সেন রাজনীতিক নন। কিন্তু তাঁর বক্তব্যটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক।
আমাদের অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের অনেকে দেশকে বিরাজনীতিকরণের চেষ্টায় আছেন, হামেশাই এ ধরনের অভিযোগও করা হয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো রাজনীতিকেরাই দেশের প্রধান দুটি দলকে কার্যত ক্রমান্বয়ে বিরাজনীতিকরণ করে ফেলছেন। ১৯৭২ সালে গঠিত গণপরিষদের সদস্যদের পেশার সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে নির্বাচনগুলোর মাধ্যমে গঠিত জাতীয় সংসদ সদস্যদের পেশাগত পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করলেই বক্তব্যটির যথার্থতা দেখতে পাওয়া যাবে। আর এর কারণ হিসেবে নির্বাচনকালে মনোনয়ন-বাণিজ্যের অভিযোগটিও উপেক্ষা করার মতো নয়।
পরিশেষে বলতে হয়, রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক, দেশি কিংবা বিদেশি—যেকোনো গোষ্ঠী বা ব্যক্তির বক্তব্য কারও পক্ষে গেলে তাঁরা সেটা লুফে নেন; আর বিপক্ষে গেলে বিভিন্ন অভিযোগ করতে থাকেন।
অতি সম্প্রতি বিদেশি কূটনীতিকেরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন। বিষয়টি নিয়ে ঢাকার একটি বাংলা দৈনিকের সংবাদ শিরোনাম: ‘ইসিকে বিদেশি কূটনীতিকদের জেরা— আওয়ামী লীগ রুষ্ট বিএনপি তুষ্ট’। এখন বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে দল দুটিকে এর বিপরীত দিকেই দেখা যেত। শিরোনামটি দেখে ‘আপেক্ষিক তত্ত্ব’ আবিষ্কারক বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের একটি উক্তি মনে পড়ছে। তাঁর আপেক্ষিক তত্ত্ব সত্য বলে প্রমাণিত হওয়ার পর অনেকটা পরিহাসপ্রিয় এ বিজ্ঞানী বলেছিলেন, ‘আমার আপেক্ষিক তত্ত্ব সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে।
এবার জার্মানি বলবে আমি জার্মান, আর ফরাসিরা বলবে আমি বিশ্বনাগরিক। কিন্তু যদি আমার তত্ত্ব মিথ্যা হতো, তাহলে ফরাসিরা বলত আমি জার্মান, আর জার্মানরা বলত আমি ইহুদি। ’ এমন রাজনৈতিক সংস্কৃতিতেই তো আমরা বাস করছি। তাই অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের রাজনৈতিক বক্তব্য প্রদান নিয়ে বিভিন্ন তির্যক মন্তব্যে বিস্মিত হওয়ার কিছুই নেই।
আলী ইমাম মজুমদার: সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
majumder234@yahoo.com।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।