তোকে দেখিনা, কতো হাজার বছর হয়ে গেলো...
বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার ওয়ানডে সিরিজ চলছে। বাংলাদেশ টিম জিম্বাবুয়ে যাবার পর প্রস্তুতি ম্যাচে হেরে যাবার ফলে মনের মধ্যে একটা অজানা আশংকার কুজন্ম হয়েছিলো। চিরকালিন বাঙালি সন্দিহান মন বলছিলো- এবার যদি বাংলাদেশ নিজেরাই হোয়াইটওয়াশ হয়! যদি জিম্বাবুয়ের কাছে মানইজ্জত খুইয়ে আসে দল...!
কিন্তু প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের খেলা দেখে এসব ভাবনারা এখন নষ্ট অতীত। আশরাফুলের দুরন্ত দূর্বার সেঞ্চুরীতে বাংলাদেশ পেয়েছে তাদের ইতিহাসের অন্যতম বিজয়। খেলা দেখে মনেই হয়নি- এই দলটা দুই দিন আগেও থার্ডক্লাস একটা টিমের কাছে হেরেছে।
আসলে বাংলাদেশ ক্রিকেট যে সঠিক পথেই আছে এটা এখন একটু হলেও বুঝা যায়। আর টিমের প্রত্যেকটা খেলোয়াড় যখন নিজেদের উজাড় করে খেলে তখন এমন মনে হওয়াটাই স্বাভাবিক।
আজ বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচ। আশা করছি এ ম্যাচেও বাংলাদেশ প্রভাব বিস্তার করে জয় ছিনিয়ে আনবে। আশাটা করতে পারছি-কারণ, টিমের প্রত্যেকের মাঝেই এখন দেখিয়ে দেবার একটা মানসিকতা লক্ষ করা যাচ্ছে।
যেটা আগে ছিলোনা।
তামিম-জুনায়েদের অপেনিং জুটিকে আরো ভালো করতে হবে। যাতে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট এই জায়গাটা নিয়ে আর দুশ্চিন্তায় না ভোগে। তামিম-জুনায়েদের সে ক্ষমতাটা অবশ্যই রয়েছে। মিডলঅর্ডারে আশরাফুল-রকিবকে এমনই দৃঢ় থাকতে হবে, যেমন শেষ খেলায় দেখা গেছে।
আসলে আশরাফুল যদি ভালো করে তাহলে কিভাবে যেন টিমের সবাই চেন্জ হয়ে যায়! বাংলাদেশ টিমের সমর্থক হিসেবে এই চেন্জটা আমি সব সময়ই চাইবো...
বোলারদের, বিশেষ করে পেসারদের আরো সামর্থের পরিচয় দিতে হবে। মাশরাফির অনুপস্থিতির কারণে প্রতিপক্ষ যাতে কোনোক্রমেই এই জায়গাটায় দূর্বলতা খোজার সাহস না পায়। স্পিনারদের উচিৎ নিজেদের কাজটা ঠিকমতো চালিয়ে যাওয়া। যেভাবে তারা ও.ইন্ডিজ থেকে এবং অনেক আগে থেকেই করে আসছে।
এসব কিছুর সমন্বয় সম্ভব হলে বাংলাদেশর জয় রুখে দেয়াটা জিম্বাবুয়ের মতো দলের জন্য আসলেই অনেক কঠিন।
বাংলাদেশ সুন্দর ক্রিকেট খেলুক, আবারো বিস্তার করুক প্রভাব-প্রতিপত্তি... এই শুভ প্রত্যাশায় অপেক্ষা করছি খেলা শুরু হওয়ার...।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।