আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পার্বত্য চটগ্রাম বিষয়ক মণ্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটি এবং বাংলাদেশ জাতীয় মানবধিকার কমিশনের কাছে একটি নিবেদন (রিপোস্ট)

শরদিন্দু শেখর চাকমা। মানবাধিকার কর্মী ,সাবেক রাষ্ট্রদূত এবং অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব। যোগাযোগঃ saradindu.s.chakma@gmail.com ফোনঃ ৮৮০-২-৮৯৫৪১৯৮

শরদিন্দু শেখর চাকমা। মানবাধিকার কর্মী ,সাবেক রাষ্ট্রদূত এবং অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব। যোগাযোগঃ ফোনঃ ৮৮০-২-৮৯৫৪১৯৮ ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনে খালেদা জিয়া প্রধানমণ্ত্রী হন।

এরপর সারাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর মহাদুর্যোগ নেমে আসে। মানবাধিকার চরম ভাবে লঙ্ঘিত হতে থাকে। তবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের চরম শিকার হয় পার্বত্য চটগ্রামের আদিবাসীরা। উল্লেখ্য জেনারেল জিয়া তার রাজত্বকালে পার্বত্য চটগ্রামে ৪ লাখ বাঙালিকে পুনর্বাসনের জন্য নিয়ে গিয়েছিলেন। তাদের কিছু অংশকে খাগড়াছড়ি জেলা শহরের ৩ মাইল দক্ষিণে ভুয়াছড়ি মৌজায় একটি চাকমা গ্রামের পাশে বসান হয়েছিল ।

আদিবাসী চাকমা এবং শরণার্থী বাঙালীদের মদ্ধে শান্তি বজায় রাখার জন্য সেখানে একটি সেনা ক্যাম্প এবং একটি পুলিশ ক্যাম্প বসান হয়েছিল। ২০০৩ সালের ১৯ এপ্রিল গভীর রাতে সেই গ্রামের সেটেলার বাঙালিরা সেনা ক্যাম্পের কিছু সেনা সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে পাশের চাকমা গ্রামে আল্লাহু আকবর-নারায়ে তাকবির স্লোগান দিতে দিতে চাকমা গ্রামে চলে আসে এবং ২৩ টি বাড়িতে লুটপাট করে । এরপর ৯ টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। চাকমারা আতঙ্কিত হয়ে পাশের চাকমা গ্রামে আশ্রয় নেয় । তারপরের দিন ক্ষতিগ্রস্তরা যেসব সন্ত্রাসী সেটেলার বাঙালিদের চিনে তাদের বিরুদ্ধে খাগড়াছড়ি থানায় কেস দায়ের করে।

কিন্তু থানা কেস গ্রহন করলেও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি । ইতিমধ্যে সন্ত্রাসী বাঙালিরা সেই জ়ায়গায় নিজেদের বাড়ীঘর তৈরী করে ফেলে। এরপর ২৬/৮/২০০৩ তারিখে খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজিলার মহালছড়ি বাজারের দোকানি এবং মহালছড়ি ইউনিয়নের সেটেলার বাঙালিরা মহালছড়ি জোনের কিছু সেনা সদস্যকে নিয়ে মহালছড়ি ইউনিয়নের ৯টি আদিবাসি গ্রামে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত আক্রমন চালায়। প্রথমে তারা আদিবাসিদের বাড়িঘরে লুটপাট চালায়, এরপর বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করে । এতে ৯টি গ্রামের ৩৫০টির ও অধিক বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

তাছাড়া সন্ত্রাসীরা মহালছড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিনোদ বিহারী খীসা যিনি সন্ত্রাসীদের নিবৃত্ত করতে চেয়েছিলেন তাকে পিটিয়ে হত্যা করে। এছাড়া সন্ত্রাসীরা ২টি বৌদ্ধ মন্দির পুড়িয়ে দেয়,২টি বৌদ্ধ মন্দির তছনছ করে এবং মুল্যবান ধাতুর তৈরি ৪টি বুদ্ধ মূর্তি লুট করে নিয়ে যায় ;মা-মেয়ে সহ ৮ জন মহিলা এবং একজন অপ্রাপ্তবয়ষ্ক বালিকাকে ধর্ষন করে। এদের মধ্যে কয়েকজন গণধর্ষণের শিকার হয়। তাছাড়া ৯ মাসের ১টি শিশুকে আছাড় মেরে হত্যা করা হয়। খবর পেয়ে খাগড়াছড়ির তখনকার সাংসদ ওয়াদূদ ভূইঞা , খাগড়াছড়ির ব্রিগেড কমান্ডার, ডি.সি এবং এস.পি মহালছড়িতে যান।

ঘটনাটি দেখে জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবির খান হতবাক হয়ে যান এবং সাংবাদিকদের বলেন , পাহাড়িরা অসহায় এবং তিনি নিজেই নিরুপায় । সাংবাদিকদের একথা বলার জন্য তাকে খাগড়াছড়ি হতে বদলী করে দেওয়া হয়। তখন মহালছড়ি থানার ওসি সাংবাদিকদের বড়াই করে বলেছিলেন, তিনি ৫০০০ সন্ত্রাসী বাঙালিদের বিরুদ্ধে কেস দায়ের করেছেন । কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই পরিস্থিতি ভিন্নরূপ নেয় ; এবার শরণার্থী বাঙালিরা যেসব আদিবাসি নেতা ঘটনার পরে খুবই সোচচার হয়েছিলেন,তাদের বিরুদ্ধে থানায় কেস দায়ের করে এবং থানার ওসি তাদের ধরার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত মোকদ্দমার কিছুই হয়নি,জেলার পরবর্তী ডিসি হুমায়ুন কবির(খান নয়)আমাকে বলেছিলেন ,উভয় পক্ষ কেস গুলো মীমাংসা করে ফেলেছিল।

উল্লেখিত ২টি ঘটনায় সন্ত্রাসীদের কোন শাস্তি না হওয়ায় অন্য সেটেলার বাঙালিরা উল্লসিত ও বেপরোয়া হয়ে পরে। তারা বুঝতে পারে আদিবাসিদের জমি দখল করলে, এমনকি তাদের হত্যা করলেও কিছুই হবে না। এবার তারা আরও বেপরোয়া হয়ে আদিবাসিদের বাগান-বাগিচা,জমি এমনকি তাদের ধর্মীয় স্থানের জমিও দখল করতে থাকে। ১৩/৫/২০০৫ তারিখে খাগড়াছড়ি জেলা পার্বত্য ভিক্ষু সঙ্ঘ, জেলা হেডম্যান এসোসিয়েশন,পার্বত্য চটগ্রাম জুম্ম শরণার্থী কল্যাণ সমিতি এবং খাগড়াছড়ি জেলা নাগরিক কমিটির যৌথ উদ্যোগে খাগড়াছড়ি শহরে এক সভা আহবান করে। ঐ সভায় বিশেষ আমন্ত্রনে আমিও উপস্থিত ছিলাম।

ঐ সভায় জানানো হয় যে,ইতিমধ্যে বাঙালিরা প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খ্লা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় পার্বত্য বৌদ্ধ অনাথ আশ্রমের জমি , বেণুবন বৌদ্ধ বিহারের জমি, ঘনমুয়া কারবারি পাড়ার বৌদ্ধ বিহারের জমি, ত্রিপুরাদের কৃষ্ণ দয়াল পাড়ার হরি মন্দিরের জমি দখল করে নিয়েছে। সভাই আরও জানানো হয় যে খাগড়াছড়ি জেলার সাংসদ ওয়াদূদ ভূইঞার উদ্যোগে পার্বত্য চটগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থে রামগড় উপজেলায়,মাটিরাঙ্গা উপজেলায় এবং মানিকছড়ি উপজেলায় আদিবাসিদের জায়গা-জমি জোর করে দখল করে শরণার্থী বাঙালিদের পুনর্বাসন করা হচ্ছে। ৮/৪/২০০৬ তারিখে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা নাগরিক কমিটি একটি প্রচারপত্র বিলি করে। এতে অভিযোগ করা হয় যে, ২০০১ সালের নির্বাচনের পর খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসার পর থেকে বাঙালিরা আদিবাসিদের জায়গা-জমি জোর করে দখল করার কাজ আবার নতুন করে শুরু করেছে। প্রচারপত্রে আরো অভিযোগ করা হয় যে সেনাবাহিনী,প্রশাসন ও বিএনপি নেতাদের উস্কানিতে এবং পরামর্শে আদিবাসিদের জমি বেদখল করা হছে।

উল্লেখ্য মহালছড়ি ঘটনাও একই উদ্দেশ্যে ঘটান হয়েছিল। প্রতিবাদে সে বছর আদিবাসিদের সবচেয়ে বড় সামাজিক উৎসব “বিজু” সে বছর পালন না করার আহবান জানানো হয়। কিন্তু এতে সরকার বা প্রশাসনের এবং ক্ষমতাশালীদের কোন টনক নড়েনি। আর ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পর পার্বত্য চটগ্রাম আদিবাসিদের জমি বেদখলের ঘটনা আর বেশি গতিলাভ করে। “ভুমি আগ্রাসন প্রতিরোধ ছাত্র যুব কমিটি” কর্তৃক প্রকাশিত “ভূমি আগ্রাসন জাতিসত্তা নিধনের অপর নাম” নামক পুস্তিকায় বলা হয় যে খাগড়াছড়ি উপজেলার ২টি ইউনিয়নে এবং মহালছড়ি উপজেলার ২টি ইউনিয়নে মোট ১৪টি গ্রামের ১৩৩ ব্যক্তির এবং একটি স্কুলের ৩৯৯.২২ একর জমি সেটেলার বাঙালিরা ইতিমধ্যে দখল করে নিয়েছে।

পুস্তিকায় ঐ ১৩৩ ব্যক্তির নাম সহ প্রত্যেকের জমির হিসাবও দেওয়া হয়েছে। আর রাঙামাটি জেলায় খোদ রাঙামাটি শহরের চাকমাদের শ্মশান ভূমি দখল করে সেখানে সেটেলার বাঙ্গালিদের জন্য বাড়িঘর নির্মাণ করা হয়েছে। গত ২৮-৩০ জানুয়ারী ২০০৮ তারিখে দেশের কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি অধ্যাপক অজয় রায়,পঙ্কজ ভট্টাচার্য,কামাল লোহানি, সৈয়দ আবুল মকসুদ, ডঃ রশীদ ই মাহবুব, ডঃ সৌরভ শিকদার সহ মোট ১০ জন খাগড়াছড়ি এবং রাঙ্গামাটির জেলার বিভিন্ন জায়গা সফর করেন এবং ঢাকায় এসে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান যে ইতিমধ্যে খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষীছড়ি থানাধীন ভুজুলিচুক পাহাড়ে অবস্থিত একটি বৌদ্ধ মন্দির সেনাবাহিনী ভেঙ্গে দিয়েছে এবং এই ঘটনা ঘটে ৩১/১২/২০০৭ তারিখে সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয় যে ১৪/১/২০০৮ তারিখে খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি থানায় অবস্থিত করল্যাছড়ি গ্রামের অরন্যকুটির নামক বৌদ্ধ আশ্রমের বৌদ্ধ ভিক্ষু শ্রীমৎ আর্য্যজ্যোতি ভিক্ষুকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ বৌদ্ধ ভিক্ষুরা সেখানে জোর পূর্বক আশ্রম নির্মাণ করেছেন। পরে অবশ্য আদালত তাকে জামিনে মুক্তি দিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে আর জানানো হয় যে গত ১৭/১/২০০৮ তারিখে রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি থানায় অবস্থিত হাজাছড়া গ্রামের বিশ্ৱমৈত্রী বিহারের ভিক্ষুদের সেনা কর্তৃপক্ষ ভয়ভীতি দেখিয়ে বিহার ছেড়ে চলে যাবার নির্দেশ দিয়েছে। তাছাড়া খাগড়াছড়ি জেলার রেঙকায্যা মৌজায় ৩৭একর , ছোট মেরুঙ মৌজায় ১৪৯.১৮ একর, বড় মেরুঙ মৌজায় ৫.২ একর এবং বোয়ালখালী বৌদ্ধ বিহারের ২৬একর জমি বেদখল করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয় যে দেশে জরুরী অবস্থা জারীর পর ২০০৭ সালের মার্চ থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত খাগড়াছড়ি সদর থানার ২টি ইউনিয়নে এবং মহালছড়ি উপজেলার ২টি ইউনিয়নে মোট ১৪টি গ্রামের ১৩৩ ব্যক্তির এবং একটি স্কুলের ৩৯৯.২২ একর জমি সেটেলার বাঙালিরা ইতিমধ্যে দখল করে নিয়েছে। তাছাড়া রাঙ্গামাটির বুড়ীঘাটে ১০জন আদিবাসির ২৫ একর জমি সন্ত্রাসী বাঙ্গালিরা দখল করে নিয়েছে। আর বান্দরবান জেলার ব্যাপারে বলা হয়েছে যে বান্দরবান জেলা শহরে ঘনবসতিপূর্ণ বালাঘাটা মৌজায় মোট ১৩১.২৭একর এবং একই জেলার রুমা গ্যারিসন সম্প্রসারণের জন্য ৯৫৬০ একর জমি অধিগ্রহনের প্রক্রিয়া সমাপ্তির পথে।

২৭/৪/২০০৮ তারিখে রাঙ্গামাটি জেলার সর্ব উত্তরে ভারতের মিজোরাম সীমান্তের কাছে সাজেক ইউনিয়নের জ্ঞানেন্দু চাকমা, বিকাশ চাকমা, বিনয় চাকমা, ক্লিনটন খীসা, শান্তি বিকাশ চাকমা এবং দ্ৱীন মোহন খীসা ঢাকায় এসে রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলন করে জানান যে ২০ এপ্রিল তারিখে সাজেক ইউনিয়নে ৪ টি চাকমা গ্রামে সেনাবাহিনী ও সেটেলার বাঙ্গালিরা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় । ৪টি গ্রাম হল পূর্বপাড়া, গঙ্গারামমুখ,রেতকাবামুখ এবং ডানে বাইবাছড়া। ফলে ৪টি গ্রামের ৭৭টি বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তাছাড়া রেতকাবা গ্রামের গীর্জাটি সহ ডানে বাইবাছড়া গ্রামের ইউনিসেফের ২টি পাড়া কেন্দ্রও পুড়ে যায়। তারা আর জানান যে সেনাবাহিনীর স্থানীয় কমান্ডার লেঃ কর্ণেল মাজিদ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ ও ব্যবসায়ী গোলাম মওলা ষড়যন্ত্র করে ঘটনাটি ঘটিয়েছেন চাকমাদের উচ্ছেদ করে সেখানে বাঙ্গালি পুনর্বাসনের জন্য।

আরও উল্লেখ্য চাকমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়ার পর সেটেলার বাঙ্গালিরা ৫০-৬০টি বাড়িঘর সেখানে নির্মাণ করেছে। এরপর ১৯/৮/২০০৮ তারিখে রাত্রে আনুমানিক ১০টার সময় আলি এবং আরও ৩ জন সেটেলার বাঙ্গালি রেতকাবামুখ গ্রামের লাদুমনি চাকমার বাড়িতে জোর করে ঢুকে তাকে টানাহেঁচড়া করে নিয়ে যায় এবং এরপর তাকে হত্যা করে রাস্তার পাশে লাশ ফেলে যায়। ৪দলীয় জোট সরকার এবং সেনাবাহিনী সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আরও অনেক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এখানে সকল ঘটনা বর্ণনা করা সম্ভব নয়। এরকম অবস্থায় আমি নবগঠিত বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে ঘটনাগুলির যথাযথ তদন্ত করে দেখার জন্য এবং ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে ন্যায় বিচার পায় এবং নিজ নিজ জমি ফেরত পায় তার ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.