ব্লাডঃ এবি নেগেটিভ।
সিগারেট টা আগে থেকেই পকেটে ছিলো। ওটা মুখে পুরে হোটেলের ক্যাশে বসা ছেলেটার কাছে-
ভাই ম্যাচটা একটু দেখি ?
ছেলেটা ম্যাচ বের করে দুইটা ঝাঁকি দিয়ে-
এই যে দেহেন ম্যাচ, দেকছেন ?
বলেই তা আবার ক্যাশে রেখে দিলো।
কী করবো, হতভম্ভ হয়ে গেলাম। লজ্জায়, অপমানে মনে মনে বললাম-
মাটি তুই ফাঁক হ, আমি গাছে উঠি।
মনটাকে স্বাভাবিক রেখে আস্তে করে পিছনে গিয়ে চুলা থেকে ধরিয়ে টেবিলে বসলাম। হঠাৎ বুদ্ধি এলো-
এক কাপ চা দেখি ?
বয় চা দিয়ে গেল। মনের সুখে সিগারেট টানছি। চা ঠান্ডা হয়ে গেল। কাউকে কিছু না বলে চলে আসতেছি।
হঠাৎ পেছন থেকে ডাক পড়লো-
এ্যডা চা- ৩ ট্যাহা।
আমিতো কিছু খাইনি। কিসের বিল ? আমিতো চা খাইনি !
খাননি মানে ? আপনি চা’র অর্ডার দেননি ?
হুম। আমি শুধু চা দেখতে চেয়েছি।
মিয়া ফাইজল্যামী করার জাগা পাননা, না ? বিল দিয়া কতা কন।
তর্ক বেধে গেল। প্রায় দুইটা খাবার জোগাড়। ইতোমধ্যে অনেক লোকজন জড়ো হয়ে গেছে। আমি তাদের কে বুঝিয়ে বললাম ভাই আসলে টাকা ৩ টা বড় কথা নয়। ঘটনা হচ্ছে . . .।
এবার বলুন দোষ কার ?
প্রশ্নটা শেষ না হতেই কোথা থেকে কে একজন লাভ দিয়ে এসে ক্যাশিয়ারকে থাপড়ানী শুরু করে দিল।
বিলটা দিয়ে চলে আসলাম। পরে জানলাম ক্যাশিয়ারটা একটা বয়, আর উনি (যিনি থাপড়েলেন) মালিকের ছেলে, একটু সময়ের জন্য বাইরে ছিলেন।
(আগের লেখা)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।