ঢাকার ৪৭টি খাল অবৈধভাবে দখল ও ভরাট জলাবদ্ধতার মূল কারন বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। এ টা সত্য যে শহরের বৃষ্টির পানি নিস্কাশনের জন্য প্রধান পথ ঢাকার আশেপাশের খাল ও নদী। এটা আমরা সকলে জানার পরেও নিজেদের স্বার্থ্য হাসিলের জন্য এগুলো ভরাট করে রাস্তা, আবাসন, দোকানপাট ইত্যাদি তৈরি করছি। এতে করে অল্প বৃষ্টিতে ঢাকা শহরে জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে। সরকার বিভিন্ন সময় খাল, জলাশয়ের পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে থাকেন কিন্তু কিছু দিন পর তা আবার ভরাট হয়ে যায়।
কিন্তু যারা ভরাট করছে বা দখল করছে তাদের কোন বিচার হয় না। এই দখলদারদের আইনী শাস্তির বিধান থাকলেও প্রয়োগ নেই। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নদী,খাল এবং জলাশয়কে সম্মুখে দিয়ে পরিকল্পনা করা হয় আর আমাদের দেশে এগুলোকে কিভাবে ভরাট করা যায়, আবর্জনা ফেলা যায়, শিল্পকারখানার দূষিত পানি দিয়ে দূষণ করা যায় এই চিন্তা করে পরিকল্পনা করা হয়। নদী, খাল, জলাশয় মানুষের বিনোদনে মাধ্যম হতে পারে এটা আমাদের পরিকল্পনা বিধদের মাথায় কখনও আসে নি। বিভিন্ন দেশে নদী, খাল এর পাশে হাঁটার ও বসার ব্যবস্থা রাখা হয়।
আমাদেরও এভাবে চিন্তা করতে হবে। আমরা জানি বাড়ির আঙ্গিনায় কখনো কেও আবর্জনা ফেলে রাখে না। তাই খাল, নদী, জলাশয় মানুষের ব্যবহার উপযোগী করে পরিকল্পনা করলে এগুলো দখল, দূষণ, ভরাট হতো না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।