আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে এশিয়ান ইউনিভার্সিটির সমাবর্তন পণ্ড

পরে লিখব

শিক্ষার্র্থীদের বিক্ষোভের মুখে পণ্ড হয়ে গেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়ান ইউনিভার্সিটির সমাবর্তন অনুষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের অনুপস্থিতিতে সমাবর্তন অনুষ্ঠান শুরু করার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠান বর্জন করেন। সোমবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র) বিশ্ববিদ্যালয়টির পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠান শুরুর পরপরই এ ঘটনা ঘটে। (বিস্তারিত) এটি ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তন। এতে ৯৫০ জন ডিগ্রী অর্জনকারীকে সনদ দেওয়ার কথা ছিল।

দাওয়াতপত্র অনুযায়ী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হিসেবে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের আসার কথা থাকলেও তিনি এবং বিশেষ অতিথি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম আসেননি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করায় রাষ্ট্রপতি এ সমাবর্তনে যোগ দিতে রাজি হননি বলে সোমবার একটি পত্রিকায় খবর বের হয়। এমন পরিস্থিতিতে দুপুর সাড়ে বারটার পরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবুল হাসান মো. সাদেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এর কিছু আগে থেকেই ' ছাত্ররা মানি না' 'রাষ্ট্রপতি ছাড়া হবে না' বলে হৈ-হুল্লোড় করতে থাকেন। অনুষ্ঠান শুরুর পর বিশৃঙ্খলা আরো বাড়তে থাকে।

দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বক্তব্য শুরুর করার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার্থীরা দাঁড়িয়ে 'রাষ্ট্রপতি ছাড়া মানি না' বলে চিৎকার করতে থাকে। এরমধ্যে একদল শিক্ষার্থী উত্তেজিত অবস্থায় ডায়াসের দিকে চলে যান। এ অবস্থায় উপাচার্য বক্তব্য বন্ধ করে দ্রুত চলে যান। মঞ্চে বসা অন্য বক্তারাও তার সঙ্গে স্থান ত্যাগ করেন। তাদের মধ্যে সমাবর্তন বক্তা ভারতের ইন্দিরা গান্ধী জাতীয় উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ভিএন রাজা শেখারন পিল্লাইও ছিলেন।

এরপরও ছাত্ররা হৈহুল্লোড় করতে থাকে। এসময় স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালনরত একজনকে ধাওয়া করে শিক্ষার্থীরা। এমনি অবস্থায় ভয়ে কর্তৃপক্ষের লোকজন, অতিথি এবং অনেক শিক্ষার্থী অনুষ্ঠানস্থল থেকে থেকে বের হয়ে যায়। এসময় 'রাষ্ট্রপতি ছাড়া সনদ নেবেন না' জানিয়ে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিতে থাকে। মাহবুব আলম নামে এমবিএ ডিগ্রী অর্জনকারী এক শিক্ষার্থী সাংবাদিকদের বলেন," রাষ্ট্রপতি ছাড়া এ সমাবর্তন আমরা চাই না।

আমাদের একটাই দাবি রাষ্ট্রপতি ছাড়া সনদ নেব না। " সনদ নিতে আসা তোফাজ্জল হোসেন নামে আরেক ছাত্র বলেন,"এমনিতেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দাম নেই। এরমধ্যে চ্যান্সেলর ছাড়া সনদ নিলে মূল্য থাকবে কোথায় ?" রহিমা খাতুন নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন," রাষ্ট্রপতি ছাড়া সমাবর্তন মানব কি করে। " সাইফুল ইসলাম নামে আরেক ছাত্র বলেন,"এশিয়ান ইউনিভার্সিটি নিয়ম ছাড়াই সমাবর্তন করছে। " এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবুল হাসান মো. সাদেক সোমবার বেলা দুইটা ৫০ মিনিটে বলেন,"সমাবর্তন অনুষ্ঠান মুলতবি করা হয়েছে।

" তিনি বলেন,"শিক্ষার্থীদের জন্য সমাবর্তন স্মৃতি হয়ে থাকে। তারা আশা করেছিল চ্যান্সেলর আসবেন। এজন্য আবেগ কিছুটা থাকবেই। " সমাবর্তন অনুষ্ঠান শুরুর ঠিক আগে উপাচার্য সাংবাদিকদের জানান, রাষ্ট্রপতি অসুস্থ থাকার কারণে আসতে পারছেন না। এছাড়া মন্ত্রিসভার বৈঠক থাকায় শিক্ষামন্ত্রীও আসতে পারছেন না।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করছেন, সমাবর্তন বাবদ কর্তৃপক্ষ প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে তিন হাজার করে টাকা নিয়েছে। রাষ্ট্রপতি আসবেন না এটা বিশ্ববিবদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আগেই জানানো উচিত ছিল। বিক্ষোভের মুখে দেশে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন পণ্ড হয়ে যাওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম বলে জানিয়েছেন সমাবর্তনে উপস্থিত বেশ কয়েকজন। সুত্র: বিডি নিউজ ২৪। কম


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.