ইচ্ছে করে হারিয়ে যাই তোমার সীমানায়
ভারত ও মিয়ানমার সমুদ্রসীমা নিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে জাতিসংঘে দাবি শুধু এগ্রেসিভ-ই নয় বরং তা সর্বগ্রাসী। ভারত ও মিয়ানমার বাংলাদেশের গভীর সমুদ্রের প্রায় পুরোটাই দাবি করে জাতিসংঘে দাবি উত্থাপন করেছে। ভারত গত ১৫ মে এবং মিয়ানমার গত বছর ১৬ ডিসেম্বর জাতিসংঘে সমুদ্রসীমার ওপর দাবি পেশ করে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিচার বিশ্লেষণ করে দেখেছে শুধু মিয়ানমার নয় ভারতও বাংলাদেশের গভীর সমুদ্রের প্রায় ২৫ হাজার নটিক্যাল বর্গমাইল এলাকা দাবি করে বসে রয়েছে যা কখনই গ্রহণযোগ্য নয়।
সমুদ্রসীমা নিয়ে সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ অনেক দেরি করে ফেলেছে।
আমাদের নৌবাহিনীকে অনেক শক্তিশালী করতে হবে। বর্তমানে গভীর সমুদ্রে তেল ও গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যাওয়ায় ঐ এলাকা এ অঞ্চলে বিশেষ আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। ভারত ১৯৮৬ সালের আগেই মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে গভীরসমুদ্র নিজেদের মধ্যে বণ্টন করে নিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে এখনো কোনো সমাধান হয়নি। এসবের জন্য পূববর্তী সরকারগুলোর উদাসীনতায় দায়ী।
সমুদ্র এলাকা দখলে রাখতে হলে সর্বাগ্রে প্রয়োজন নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করা। ভারতের কথা বাদই দিলাম মিয়ানমারের সঙ্গে তুলনা করলে যেখানে তাদের ১০টি চীনের তৈরি আধুনিক ফ্রিগ্রেট রয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের রয়েছে চারটি। এদের মধ্যে তিনটি ষাটের দশকের। এছাড়া মিয়ানমারের ২০০০ সালের তৈরি ২২টি মিজাইল গানবোড রয়েছে।
বাংলাদেশের আশির দশকের গানবোড রয়েছে মাত্র ৮টি।
বঙ্গোপসাগরে ভারতের দাবি সম্পূর্ণ অন্যায্য না হলেও মিয়ানামের দাবির কোনো ভিত্তি নেই; কারণ মিয়ানমারের কোনা নদীই বঙ্গোপসাগরে পড়ে না। সমুদ্রসীমা নিয়ে অযৌক্তিক দাবির বিরুদ্ধে গত মাসের প্রথমদিকে সরাসরি মিয়ানমারকে প্রতিবাদ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভারতের বিপক্ষে আপত্তি জানানোর ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চিন্তাভাবনা করছে। আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের কমিশন অন দ্য লিমিটস অব কন্টিনেন্টাল শেলফ (সিএলসিএস) মিয়ানমারের দবির শুনানি হবে।
উল্লেখ্য সিএলসিএস ২০০ থেকে ৩৫০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত সমুদ্রসীমার দাবি নিষ্পত্তি করে থাকে। ২০১১ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতিসংঘে তাদের দাবি উত্থাপন করার সময় পাবে।
তথ্যসূত্রঃ আমাদের সময়
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।