আল বিদা
স্কুলে যখন পড়তাম পৃথিবীর ৩ ভাগ জল আর ১ ভাগ স্থল তখন মনে হত পৃথিবীর ক্ষতি কখনও হবে না। গাছ কাটলে বা পাহাড় কাটলে কি ক্ষতি তা বুঝতেই পারতাম না। পরিবেশবাদীরা যখন পরিবেশ নিয়ে চিল্লাচিল্লি শুরু করল তখন মনে হল তাদের কাজ নেই বলে কিছু একটা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। কখনও মনে হত টিভি ক্যামেরার সামনে আসার জন্য এসব করছে। আন্তর্জাতিক সম্মেলন হলে মনে হত কত কিছু নিয়েই যে সম্মেলন করা যায়! হায় আমি কতই না বোকা ছিলাম।
আমরা এই অনেক বছর ধরে দেখছি বসন্ত ঋতু দেখা যায় না। এমনকি শরৎও দেখা যাচ্ছে না। গত বছর শীত পড়তে দেখলাম না। এই বছর দেখছি বর্ষার আর সেই তেজি ভাবটা নেই। সৌদি আরবে বর্ষা না এলে কেউ কিছু মনে করবে না।
বাংলাদেশের মত নাতিশীতোষ্ঞ ষড়ঋতুর দেশে কোন একটা ঋতু দেখা না গেলে বুঝতে হবে পরিবেশের কোন সমস্যা যাচ্ছে। মনে হয় না সেইদিন আর বেশী দূরে যখন গ্রীষ্ম ছাড়া আর কোন ঋতু বাংলাদেশে থাকবে।
এ নিয়ে আমাদের কোন সমস্যা নাই। কারন এ হয়ত আমাদের দেখা হবে না। কিন্তু যে ভবিষ্যত প্রজন্ম রেখে যাব তারা কিভাবে এই চরম আবহাওয়ায় বেচে থাকবে? তারা তখন আমাদের কেবল দোষারোপই করবে না?
আসুন গাছ লাগাই।
আমরা যারা ঢাকা শহরে থাকি তারা গাছ লাগানোর জন্য হয়ত কোন জায়গাই খুজে পাব না। এখন কি করা যায়? আমাদের যাদের আত্নীয় গ্রামে থাকে তাদের কিছু টাকা দিয়ে বলতে পারি গ্রামের যে কোন জায়গায় নি:শর্তভাবে গাছ লাগাতে। নি:শর্তভাবে এজন্যই বলছি গাছের ফল, লাকড়ি বা কাঠ কে নিবে তা নিয়ে কোন চিন্তা না করেই গাছ লাগাতে হবে। আর টাকা এজন্যই দিয়ে দিবেন যেন তার দায়বদ্ধতা থাকে। গ্রামের আত্নীয়ও যদি পাওয়া না যায় ব্লগেই দেখুন না কেউ আছে কিনা যে আপনার হয়ে কিছু গাছ লাগিয়ে দিবে।
ধরে নিলাম কোনভাবেই গাছ লাগান সম্ভব হচ্ছে না। বাসার ভিতরে, বারান্দায়, ছাদে, সিড়িতে বা যে কোন জায়গায় টবে গাছ লাগান। টবের গাছ পরিবেশের কোন কাজে আসবে কিনা জানি না। আসলেও কতটুকুই বা কাজে আসবে। তবে আপনি ততটুকুই করলেন যতটুকু আপনার সম্ভব।
আর এইটাই খুব গুরুত্বপূর্ন। আমাদের যার যার জায়গা থেকে যতটুকু সম্ভব পরিবেশের জন্য কিছু করা। পুরো পরিবেশের দায়িত্ব যেমন আমার না তেমনি বাংলাদেশেও মানুষ আমি একা না। ১৫ কোটি মানুষের ৫ কোটি মানুষও ১টি করে গাছ লাগালেই আবহাওয়ার চেহারা পাল্টে যাবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।