comments.plz@gmail.com
৫) পৌত্তলিকতার কিছুটা পরিশোধিত বা পরিবর্ধিত রূপ হিসেবে আসে বিমুর্ত বস্তুর উপাসনা। বা বলা যায়, বিমুর্ত কোনো শক্তির প্রতীক হিসেবে কোনো বস্তুকে ধরে নিয়ে সেটার উপাসনা করা।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায় বিভিন্ন গ্রহের কথা। যাদের বিভিন্ন শক্তির প্রতীক হিসেবে ধরে উপাসনা করা হয়।
যেমনঃ-
=শনি গ্রহের ধীর গতিতে পরিভ্রমণের জন্য স্বেচ্ছাচারীতা ও ক্ষতির প্রতীক হিসেবে দেখা হ'তো।
=মঙ্গল গ্রহের আগুনের মতো লালচে আভার জন্য যুদ্ধ ও বিশৃংখলার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।
=একই ভাবে বৃহস্পতি ঘের সোনালীচ্ছটা এবং বিশালতার জন্য এর প্রভাব কে সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।
=শুক্র তার শুভ্র আভার কারনে ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়ে থাকে।
পৌত্তলিক আরব জাতি, সময় (Dahr) কে আলাদা একটা সত্ত্বা হিসেবে উপাসনা করতো। তারা সময় কে এভাবে চিহ্নিত করে ছিলো যে, সময় ছড়িয়ে আছে অনন্ত থেকে অনন্তে এবং তা সারাক্ষণ মানুষের সৌভাগ্য ও দুর্ভাগ্য বিতরনে নিয়োজিত আছে।
সুপ্রাচীন ইজিয়ান ধর্মেও এই মৌলিক বিশ্বাসকে প্রায় একই ভাবে ব্যখ্যা করা হয়েছিলো। তারা সময়কে দেখতো স্বেচ্ছাপ্রনোদিত এবং অনন্ত হিসেবে । একই ধরনের বিশ্বাসের ছায়া এখনও দেখতে পাওয়া যায় বিভিন্ন প্রাচীন এবং আধুনিক ধর্মগুলিতে।
৬) পরবর্তী ধাপ হিসেবে আসে দেবসত্ত্বা (Deity) হিসেবে পুনর্জন্মের বিষয়টা। যেখানে সাধারণ রক্ত-মাংসের মানুষের মনোবাসনা, ভালোলাগা, মন্দলাগার ব্যাপার গুলো মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়, যেমন- দেবসত্ত্বারা সাধারণ মানুষের মতই ঝগড়া করে, ভালোবাসে,ইর্ষাকাতর হয় এবং জীবন কে উপভোগ করে।
এধরণের মিলনে আধা-দেবতা (Demigod) আর বাস্তবের বীর মানুষদের দেবতা রূপে উপাসনা করারও একটা স্থান তৈরী হয়।
গ্রীক কবি এবং শিল্পীরা এই প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাবার পুরোধা হিসেবে বিশেষ ভুমিকা রেখেছিলেন। তারা এই বিষয়টাকে নাটকীয় একটা ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে মূলতঃ মানব সমাজে প্রচলিত সমস্যাগুলো নিয়েই আলোচনা করেছেন। তাদের ভিতরে মানবতাবোধ গড়ে ওঠার সাথে সাথে বিশুদ্ধ ধর্মীয় ধারণা লোপ পেতে থাকে, যে ধারণা গুলো স্বর্গীয় জগৎকে মানবীয় নিষ্ফলতা আর অপরাধ মুলক বিষয়গুলো থেকে দুরে সরিয়ে রেখেছিলো।
এই গ্রীক ধারণার উত্তরাধিকারই পরবর্তীতে Hierarchical খ্রীস্টানিটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
চলবে......
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।