যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
১.
হিমু আমার আইডিয়া নাজেনেবুঝে মেরেছে। কয়েকদিন আগে স্বপ্নে দেখলাম আমি বেহেস্ত-দোযখের মাঝে পুলসিরাতে দাড়ানো। শুনতাম এক চুল তার থিকনেস, কিন্তু সেদিন দেখলাম যমুনা সেতুর মত। বেহেস্তের দিকে ক্যামন ম্যারম্যারে আলো, দোযখের দিকে উজ্জ্বল। আমি সংগী এক লেডী ফিরিশতাকে জিজ্ঞাসিলাম, কি খবর এনজেল, হোয়াই লাইট অফ ইন বেহেস্ত! লেডি ফিরিশতা তার বুবুস দুলিয়ে বললো, ইউ নো, দে আর ডুইং!
আমি জিজ্ঞেস করলাম, হোয়াট দে আর ডুইং!
লেডি এনজেল লজ্জা পেল।
তাদের লিংগেও কাম জাগে ভেবে আমি অবাক হলাম। লজ্জা তো কামের একটা অনুভূতি। সে বলে, ইউ নো, গড ক্যান হিয়ার এভরীথিংক, আই ক্যান্ট টেল ইউ একঝাগট ওয়ার্ড। এই বলে চোখ দিয়ে এমন একটা ইশারা করলো, আমি বুঝে নিলাম বেহেস্ত জুরে কামকেলীর সুবিধার্থে লাইট ডিম করা হয়েছে।
এমন সময় ঘুম ভেংগে গেল।
আমার পাশের এনজেলের সাথে কামকেলী নিষেধ। কি আর করা চোরের হস্তমৈথুন কবিতাটি পড়ার জন্য পিসি অন করলাম।
২.
সেই থেকে আমি একটু ঝামেলায় আছি। প্রত্যেক বিশ্বাসীদের জন্য বেহেস্ত নিশ্চিত রয়েছে। এবং সন্ধ্যাবাতীর কথা হচ্ছে প্রত্যেকেই তার ধর্মকে সেরা মনে করে।
এবং যার জন্য সবাই সেরা। মানে যে যা বিশ্বাস করে তাই সেরা। আবেগের এমন রতিজ্বলা বোধ ও বুদ্ধি ধারণ করার মানে হচ্ছে অনেক দিক থেকেই মুক্তির একটা অবলম্বন খুঁজে পাওয়া। কোন একটা বিশ্বাস শক্তপোক্তভাবে আকড়ে ধরতে পারলেই হলো। কিন্তু কেন একটাতেই থাকবো পড়ে? প্রত্যেকটা বিশ্বাসই একবার এমন বিশ্বাসের সাথে সেরা মনে করে পালন করে দেখি! সুযোগ আরো প্রসারিত হবে! আমার মার্কেটিং অভিজ্ঞতা তাই বলে।
৩.
ঠিক করেছি আমিও ধর্মে নামবো। তবে এখন আমার শূণ্য ধর্মের ভরশূণ্যতা। কাজেই ঠিক করতে হবে কোন ধর্ম আমি সিলেক্ট করবো সর্বপ্রথমে। আগ্রহী ধর্মবাজদের তাদের ধর্মের আকর্ষণীয় ফিচারগুলো তুলে ধরার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হলে। লক্ষণীয়, এজন্য আপনাদের জামানত হিসাবে কোন অর্থ প্রদান করার দরকার হবে না।
তবে পাঁচের কম ধর্মের বিবরণ জমা পড়লে পুনঃবিজ্ঞপ্তি প্রচারিত হবে। আমাকে ধর্ম বেছে নেবার সুযোগ দেবার জন্য সবাইকে আহবান জানাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।