মানুষ বেঁচে থাকে তার কর্মে এই মাত্র ফিরলাম শাহবাগ থেকে। টানা ৮ দিন সংগ্রামের পরেও দুর্বিনীত তরুণদের উৎসাহ এতোটুকুও কমেনি। বাঙালি জাতি তথা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে যেই আন্দোলন গড়ে তুলেছে তা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।
আমরা যারা আন্দোলন করছি তাদের প্রায় কেউই মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি। তারপরেও শুধুমাত্র শুনে এবং বই পরে এই মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী অপশক্তির নৃশংসতার কথা যতটুকু জানতে পেরেছি তাতেই শিউরে উঠতে হয়।
তাদের নিরপরাধ নারী ও শিশু হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার নাৎসি বাহিনীকেও ছাড়িয়ে গেছিলো। এই দেশের জন্মকেই তারা স্বীকার করেনি এবং এখনও করেনা। স্বাধীনতার পরে এরাই গড়ে তোলে জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশ। এখানে লক্ষণীয় যে, "বাংলাদেশ" কথাটি পরে অবস্থিত, অর্থাৎ তারা বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দল নয় বরং পাকিস্তান আমলের জামায়াত ইসলামীর ই বাংলাদেশ শাখা। অতি সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের দেয়া বাধ্যবাধকতায় পরে তারা এই নাম পরিবর্তন করে "বাংলাদেশ" কথাটি শুরুতে সংযোজন করতে বাধ্য হয়।
তাদের জারজ সন্তান ইসলামী ছাত্র শিবিরও তাদের এই আদর্শ ধারণ করে আসছে। সবচে বড় কথা হল তারা তাদের এই কর্মকাণ্ডে লজ্জিতও নয়। স্বাধীনতাবিরোধী এবং যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবীতে এত বিশাল জনমত তৈরি হবার পরেও তাদের আস্ফালন এতটুকু কমেনি বরং তারা রাজপথে সন্ত্রাস তৈরি করে এই আন্দোলন ও বিচার বন্ধ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এমনকি ওরা নাকি আমরা যারা আন্দোলন করছি তাদের তালিকাও তৈরি করছে পরে ক্ষমতায় গেলে দেখে নেবে বলে।
জামায়াত-শিবির-যুদ্ধাপরাধী চক্রের মূল শক্তি ওদের শক্ত অর্থনৈতিক ভিত্তি এবং সুশৃঙ্খল সংগঠন তাই ওদের অর্থনৈতিক ভিত্তিকে ধ্বংস না করলে ওদের ধ্বংস করা যাবেনা।
আর এই আন্দোলন থেকে ওদের ধ্বংস না করা গেলে ওরা আরও দ্বিগুণ শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসবে। এই জাতিকে ওরা চিরতরের জন্য কলঙ্কিত করে রাখবে।
আমাদের বিবেক এই ৪২ বছর আমাদের প্রতিনিয়ত তাড়না দিয়েছে এই অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য। আমরা আমাদের পূর্ববর্তী প্রজন্মকে ৪২ বছর সময় দিয়েছি এই দেশকে কলঙ্কমুক্ত করার জন্য। কিন্তু এখন দায়িত্ব আমাদের।
এখনি সময় এই অপশক্তিকে সমূলে উৎপাটন করার। প্রত্যেক পাড়া-মহল্লায় জামায়াত-শিবির-যুদ্ধাপরাধী বিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলুন। সামাজিক ভাবে ওদের সব জায়গা থেকে বয়কট করুন। ওদের অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো বয়কট করুন। ওদের নাম-ঠিকানাসহ তালিকা তৈরি করুন।
জয় বাংলা, প্রজন্ম চত্বর দীর্ঘজীবী হোক, বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক............
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।