"ব্লগকে সিরিয়াসলি নেবার কিছু নেই"...গরীব স্ক্রীপ্ট রাইটার
গত কয়েকদিনের প্রোগ্রাম বেশ অগোছালো ছিল। আউলা এইবার কোন ধরনের সমস্যা যেন না হয় এজন্য তানজু আর জেরীকে শাসিয়ে দিলো।
তানজু: বন্ধুরা আজ আমরা ব্লগে এনেছি সামু ব্লগের একজন চরম সুবিধাবাদী গা বাচানো ব্লগার যে কিনা সকল বির্তকের উর্ধ্বে ....
জেরী: ক্যান বির্তকের উধ্বরএ কেন! সেকি মইরা গেছে নাকি!
তানজু: জেরী প্লিজ আমাকে বলতে দাও! কথার মাঝে কথা দিবা না।
জেরী: ওকে:
তানজু: আমাদের অতি প্রিয় ব্লগার একরামুল হক শামীম , স্বর্ণযুগের একজন নামকরা ব্লগার জোনাকি.....বিউটি টিপস দিতে আসবেন আমাদের অতি প্রিয় পুতলা নামে খ্যাত শিরোনামহীন এবং
জেরী: আমাগো অন এন্ড অনলি চাণখ্য
তানজু একগাল হাসি দিয়ে: তো শুরু করা যাক আজকের অনুষ্ঠান....
শামীমের ভিডিও:
বারান্দায় গভীর রাতে গাইছে.....গাইবো না আর কোন গান শুধু তোমায় ছাড়া......লিখোব না আর কোন ..... (একবার মেয়েলী কন্ঠে আরেকবার ছেলেদের মত করে)
স্টুডিওতে:
তানজু: হুমম...শামীম কেমন মেয়ে পছন্দ তোর?
শামীম: যে সারারাত আমার সাথে বসে রাতের পর রাত চাঁদের সাথে গল্প করবে......
টিবয় নিবিড় অভ্র সামনে যেয়ে বলল: অমাবশ্যার রাইতে কি ব্যবস্থা নিবেন ঠিক করছেন?
শামীম: ওই ছ্যামরা সর এখান থেকে...
নিবিড় অভ্র: গরীব হইছে বইলা কি আমরা কিছূ জানি না? কিছু কইতে পারবো না?
তানজু: নিবিড় পরে এসব বলিস যা এখন।
নিবিড় সরে গেল।
তানজু: হ্যা শামীম বল...আর কিকি চাস তুই তোর জীবন সাথীর মাঝে?
শামীম: সেনসিটিভ মেয়ে হলে আমার চলবে না.....
জেরী: ক্যান তারে দিয়া কি হরতালের সময় পুলিশের সাথে ফাইট করাইবা?
তানজু খুবই হাসি পাচ্ছে এমন ভঙ্গি করে বলল: জেরী তোমার ফান করার স্বভাবটা না এখনও গেল না!! শামীম তুই বলতে থাক
শামীম: আমি বর্ষণ পছন্দ করি....আমরা দুজন প্রবল বর্ষণে রাস্তা দিয়ে সারাদিন ভিজবো...ঠিক যেন পিংকীর উপন্যাস বর্ষণের বৃষ্টি এর নায়ক নায়িকার মত..... তাই যদি সে সেনসিটিভ হয় তবে কিভাবে হবে? সে তো ঠান্ডা লাগিয়ে বসে থাকবে আমার তখন তার পিছেই সেবা করতে করতে জীবন পার হবে..... তাই...
জেরী: তোমারে বৃষ্টির বর্ষণ বানাইতেছি....যা বাইরে বৃষ্টি হইতাছে রাস্তায় দাড়ায় থাক (চিৎকার করে)
শামীম ভিতু মানুষ ভয়ে রাস্তায় দাড়িয়ে থাকলো।
নিবিড় অভ্র: ভাব কত! এহন দ্যাক কেমুন লাগে বিষ্টিরে.....
এরপরের পুতুলের বিউটি টিপস দেয়ার অংশটা দেয়ার কথা কিন্তু পুতুল এখনও পৌছায় নি! ফোন করে শোনা গেল সে এখনও তার সাজগোজ কমপ্লিট করতে পারে নি তাই দেরী হবে...অন্যদেরটা যেন করে নেয় সে সাজগোজ শেষ না করে আসতে পারবে না।
জোনাকির কোন ভিডিও দিতে অস্মীকৃতি জানানো তার কথা আমি কি গরু ছাগল নাকি যে ওভাবে ভিডিও করে সেটা ছেলে পক্ষ দেখবে!! আমি আগে ছেলে দেখতে চাই! আফটার অল আমি সেই স্বর্ণযুগের হিট ব্লগার... তাছাড়া এম্নিতেও ছেলেরা আমার তো পিছু ই ছাড়ে না!......
কেউ আর তাকে সা্ধাসাধি করলো না।
স্টুডিও তে:
তানজু: কেমন আছেন? আপনার সাথে মনে হয় আমার আর জেরীর আজই প্রথম সাক্ষাত হল।
জোনাকি খুবই তাচ্ছিল্য করে বলল: তো?
তানজু খুবই অবাক হল এই মেয়ের ম্যানার সেন্স এত খারাপ! সে কিছু বললো না।
জেরী: কেমন পোলা পছন্দ আপনের?
জোনাকি: ৬ফুট লম্বা, মাথায় ঘন কালো চুল, ফর্সা, কিউট স্মাইল, চোখ গুলা ভিজা ভিজা, অনেস্ট, রোমান্টিক কন্ঠ,.....
জেরী ঢোক গিলে বলল: আরো আছে নাকি!
জোনাকি: মাঝে মাঝে একটু রাগী, প্রচন্ড আত্নবিশ্বাস, নামাজদার, একটু জেদী, খাট্টি মিঠি, যেটা ঠিক সেটা ই করবে.....
জেরী এদিক ওদিক তাকাতে লাগলো। তানজু চুপ করে রইল আনকালচারডদের সাথে সে কথা বলে না। এমনিতেই সে জেরীকে সহ্য করছে দিনের পর দিন শুধু কটা টাকার জন্য যা কিনা তাকে নিয়ে যাবে সমু্দ্রের ওপারে...
জোনাকি একটু থেমে আবার শুরু করলো: কিছুক্ষণ পর চুল ঠিক করতে হবে মানে চুলে হাত দিয়ে কেমন জানি করে না??
জেরী বিশ্রীভাবে হাই তুলে বলল: করবো হয় তো! আমি জানি না। আপনারা যদি জোনাকির সাথে যোগাযোগ করতে চান তবে তবে যোগাযোগ করুন: FA 03 লিখে পাঠিয়ে দিন ৪২০৪২০ এই নম্বরে। আমরা আপনাকে জোনাকির ডিটেইল বায়োডাটা পাঠাবো।
(চাণক্য কে আউলা তার শোতে আনার জন্য অনেক চেষ্টা করেছে আগে থেকে কিন্তু সে রাজী হয় নি। চাণক্যের কথা: অন্তরসার শূন্য নির্বোধ বালিকার শো তে সে যায় না। পরে আউলা তার কুটনীতির মাধ্যমে চাণক্যকে এই বলে শো তে আনতে রাজি করেছে যে ব্লগার শিরোনামহীন ওরফে পুতুল আসছে কাজেই চাণক্য আর না করে নি! পুতুল এই কুটনীতির কথা জানে না। সে সহজ সরল মেয়ে ভেবেছে আউলাদি তাকে তার গুণের কদর করতে এনেছে)
আউলার শখ ছিলো চাণক্য আসলে তাকে লাল গোলাপ দিয়ে বরণ করে নিবে এজন্য গেটে পৌছালেই যেন তাকে নিবিড় ডাক দেয় এটা আউলা নিবিড় কে বলেছিল।
পুতুল এখনও এসে পৌছায় নি।
কিন্তু চাণক্য এসে পৌছামাত্র নিবিড় অভ্র চিৎকার দিল: আউলাপ্পি...আউলাপ্পি...ইইইই....দ্যাহেন কে আইসে?
আউলা দৌড়াতে দৌড়াতে মাটি কাপিয়ে নাচতে নাচতে এসে দেখে বালক নিবিড় কে চাণক্য থাপ্পাড়াইতেছে আর বলিতেছে: হতচ্ছাড়া তুই কেন ওই নির্বোধ বালিকা্কে ডাকিয়া আমার আগমনটাকে অশুভ করলি!
আউলা কোন মতে চাণক্যের হাত হইতে নিবিড় কে ছাড়াইয়া চাণক্যকে বসিবার স্থান প্রদান করিলো।
চাণক্য: ওহে নির্বোধ বালিকা...কোথায় সেই শিরোনামহীন নামের সুশীল বালিকা?
আউলা: জনাব উনি এখনই আসিলো বলিয়া আপনি আপনার সাক্ষাতকার প্রদান অনুষ্ঠান শুরু করিলে আমাদের বড় উপকার হইতো!
চাণক্য: বালিকা তুমি নির্বোধ, ভন্ড, কপট, আমি চলিয়া যাইতেছি আমাকে মিথ্যা বলিয়া আনিয়াছো...আজ তোমার রক্ষে নেই
এমন সময় পুতুল আসিয়া উপস্থিত হইল। চাণক্যকে তাহার ইন্টারভিউ দিতে এইবার রাজি করানো হইল।
তানজু: জনাব আপনার কেমন বালিকা পছন্দ?
চাণক্য এইবার প্রথমবারের মত মনে হয় লজ্জা পাইয়া পুতুলের দিকে একবার তাকায় আর বর্ণনা দেয়: দীর্ঘাঙ্গী, দিঘির ন্যায় কৃষ্ণ কেশ, সুদীপ্ত চাহনী....সুশীল....হাতের কারুকার্য দেখিয়া হৃদয় জুড়াইয়া যায়....
পুতুল এর পাশে নিবিড় দাড়িয়ে বলল: খাইছে! পুতুল আফা ছাণখ্য স্যারে কি আপনের পেরেমে পর্ছে নিকি!!
পুতুল একটু বিরক্ত হয়ে বলল: কি যা তা বলছিস! যা এখান থেকে!
নিবিড় গেল না শুধু চুপ করে গেল মিটমিটিয়ে হাসতে লাগলো।
চাণক্য বলিতে বলিতে পুতুলের দিকে তাকাইয়া বলিল: ২৩০০ বসন্ত হইয়া গেল পার তবু কেহ ধরিলো না এই হস্ত...ওকে সুশীল বালিকা পুতুল....তুমি কি ধরিবে এই হস্ত?
পুতুল আসিয়া তাহার পদযুগলের হিল জুতা খুলিয়া একখানা নিজে লইলো আরেকখানা বালক নিবিড়কে দিয়া বলিলো: মার আচ্ছা মত!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।