"ব্লগকে সিরিয়াসলি নেবার কিছু নেই"...গরীব স্ক্রীপ্ট রাইটার
গতদিন অচেনা বাঙালী আর টুটুল ক্যাচাল করার জন্য শো থেকে বাদ দেয়া হয়েছে ২জনকেই। নতুন নেয়া হয়েছে জেরী ও তানজু কে।
জেরী: বন্ধুরা আজ আমরা দেখাবো... ডিজুস জেনারেশনের প্রতিনিধি নরাধম ওরফে নাড়িয়াকে, আজীবন ছাত্র থাকার সংকল্পে থাকা রাশেদ কে, ৮০ বছরের বৃদ্ধ বিবর্তনবাদী, মাইকেল মেহেদীর জন্য প্রতীক্ষারত বেলী আপা নামে খ্যাত জয়িতা আপুকে
তানজু: আরো সাথে থাকছে দুজন ছোটভাই শান্ত ও হনলুলুর একান্ত সাক্ষাতকার।
নরাধমের ভিডিও:
প্যান্টের একটা পা ফুল আরেকটা কেটে থ্রি কোয়ার্টার চোখে গোলাপী চশমা, কানে দুল, হাতে এক গুচ্ছ চুড়ির মত কানে হেডফোন ফুয়াদের র্যা প গানের তালে তালে নৃত্যরত।
স্টুডিওতে:
তানজু: হুমমমম..... আপনি দেখছি অনেক স্মার্ট...
নাড়িয়া গলে পড়ে কিছূ বলতে যাবে তার আগেই জেরী বলল, স্মার্ট পোলা বিয়ার জন্য ভালা না।
তানজু চিবিয়ে চিবিয়ে: জেরী শুদ্ধ করে কথা বলো....রিক্সাওয়ালাদের মত করে ক্যানো কথা বলছো!
আবার যেন কিছুই হয় নি ভংগিতে তানজু নরাধমকে বলল: কেমন গুন থাকা চাই আপনার জীবন সাথীর মধ্যে?
নরাধম: জীবন সাথী!!! ও হ্যালো! আমি সারাজীবন একজনকে টলারেইট করতে পারবো না!
তানজু: মানে?
নরাধম: মানে আমি ম্যারেজ যেহেতু একটা কন্ট্রাক কাজেই ওটাকে সারাজীবনের জন্য কন্টিনিউ না করে ১/২ বছরের জন্য কন্ট্রাক ম্যারেজ করতে চাই!
জেরী: কইছিলাম না স্মার্ট পোলা বিয়া করনের লিগা ভালা না! ল্যাবেনডিস মার্কা পোলা ভালা! এহন দ্যাখো ভাব কত!
তানজু: কি সব লোক জন নিয়ে আসো আউলাবু! এদের নিয়ে শো করলে তো আমাদের পথে বসতে হবে।
আউলা নেক্সট জয়িতার পার্ট শুরু করতে বলল।
জয়িতার ভিডিও:
মাইকেল মেহেদীর ছবিখানা হাতে নিয়ে জয়িতা ঘুরে ঘুরে গান গাইছে...তোমাকে চাই শুধু তোমাকেই চাই...আর কিছু জীবনে পাই বা না পাই........
স্টুডিওতে:
তানজু: হুমমম লাভলী..... আপনি দেখছি পাত্র ঠিক করেই ফেলেছেন....
জেরী: তাইলে আর এইখানে কেন আইসে? খালি টিভিতে নিজেরে দেখানোর হাউস (শখ)
জয়িতা: জেরী এই প্রোগ্রামে আসার আমার কোন ইচ্ছাই কোনকালে ছিল না। মাইকেল আর ব্লগে আসে না আমি তাকে মিস করি সে কি বুঝে না??
তানজু: প্লিজ জেরীর কথায় কিছু মনে করবেন না।
জয়িতা আবেগী ভংগিতে বলল: প্রায়ই তার পোস্টে ঘুরতে যাই ভাবি সে হয় তো আমাকে নিয়ে নতুন কবিতা লিখেছে কিন্তু মাইকেল ফিরে আসে না আমি একবুক আশা নিয়ে বসে আছি।
এই প্রোগ্রামটায় আমাকে আউলা এনেছে শুধুমাত্র মাইকেল কে যদি কেউ কোনভাবে একটু আমার ম্যাসেজটা পৌছে দিতে পারে সেজন্য।
জেরী: কেমন পোলা খুজতাছেন বিয়া করনের লাইগা?
জয়িতা: এটা কি ধরনের প্রশ্ন! আমার মাইকেল তো ঠিক করাই!
তানজু: ভদ্রতামূলক প্রশ্ন প্লিজ মাইন্ড করবেন না যদিও আমরা মাইকেল স্যারকে চিনি তারপরও একটু বলুন আপনার কথা।
জয়িতা: আমার মাইকেল রাজপুত্রের মত, আমাকে প্রচুর ভালবাসে আমি জানি শুধু দুনিয়ার ভয়ে কিছু বলতে পারে না। ও অনেক রোমান্টিক আর আমাকে বেলী ফুলের মালা এনে দিবে সে মালা আমি খোপায় পরবো।
তানজু: মাইকেল স্যার আপনি প্লিইইইজ জয়িতা আপুর সাথে যোগাযোগ করুন।
বিবর্তনবাদীর ভিডিও:
৮০ বছর বয়স্ক একজন বিপত্নীক বুড়ো..লাঠি নিয়ে কুজো হয়ে বিড়াল তাড়াচ্ছে রান্না ঘরে। (বিবর্তনবাদী কথা ব্যাকগ্রাউন্ডে, আমার স্ত্রী একজন সুগৃহিনী ছিল। আমি আজও তাকে ভালবাসি কিন্তু এখন আমার বয়স হয়েছে একা থাকতে গেলে যমের ভয় পাই কখন আসে আর তাই বিয়ে করতে চাই)
স্টুডিওতে:
তানজু: লাভলী.... হাউ রোমান্টিক....
জেরী: এইখানে কি রোমান্টিক আর লাভলী দেখলা! এক বুড়া ৮০ বছর বয়সে ভীমরতি ধরছে বিয়া করবে! এতে ভাল কথা কেমনে কইলা!
বিবর্তনবাদী: আমাকে কিছু বলছেন? (বুড়া কানে শোনে না)
জেরী: না বুড়া মিয়া কিছু কই নাই!
তানজু: জেরী প্লিজ ডিসেন্ট লাংগুয়েজ ইউজ করো!
জেরী: ডিসেন্ট ল্যাংগুয়েজ মাই ফুট!
বিবর্তনবাদী: কি মাইয়াডা কিউট!
তানজু: কেমন পাত্রী খুজছেন আপনি?
জেরী: ১৬ বছরের কিশোরী খুজনের কতা! আমি এইরকম অনেক বুড়া দেখছি।
বিবর্তনবাদী: না আমার পোলা নুরা না
তানজু: ওকে চাচামিয়া আপনি এখন আসতে পারেন।
বিবর্তনবাদী: না চা খাবো না।
ধন্যবাদ।
তানজু: আপনারা যদি এই বৃদ্ধের সাথে যোগাযোগ করতে চান তবে যোগাযোগ করুন: MA 05 লিখে পাঠিয়ে দিন ৪২০৪২০ এই নম্বরে। আমরা আপনাকে বিবর্তনবাদীর ডিটেইল বায়োডাটা পাঠাবো।
রাশেদের ভিডিও:
বই খাতা নিয়ে টেবিলে বসে থাকা অবস্থায় রাশেদ বলছে, বই ই আমার জীবন এটা ভেবে ভুল করবেন। আজ যদি বিয়ে হতো আমার তবে বউ ই আমার জীবন হতো।
দেখতে দেখতে কিভাবে যে ৪৫টি বসন্ত পার করে ফেলেছি....বুঝতেও পারলাম না।
স্টুডিওতে:
জেরী: আপনের বয়স ৪৫ এখনও বিয়া হয় নাই কেন? পাত্রী পান নাই? চরিত্র রচনা পড়া হইছে?
রাশেদ: আসলে এর আগে আমার ১১বার বিয়ে ঠিক হয়েছিল কিন্তু যখন ই পাত্রীপক্ষ শোনে আমি এখনও ছাত্র তারা পিছিয়ে যায়। (চশমাটা খুলে শার্টের হাতায় চোখটা মুছে নেয় রাশেদ)
তানজু: স্যরি! আপনাকে ইমোশনাল করে ফেললাম।
রাশেদ: না ঠিকাছে! হাতি যখন খাদে পড়ে তখন পিপড়াও লাথি মারে আর আমি তো সাধারণ বয়স্ক ছাত্র!
তানজু: আপনার জীবন সাথীর মধ্যে কি কি গুন থাকা অবশ্যই জরুরী?
রাশেদ: শিক্ষিতা, সুশীলা ধর্মমানা, মাথায় নিচু করে থাকা মেয়ে। চেহারা অপ্সরার মত।
তানজু: হাউ লাভলী! শিক্ষিত বলতে কতটা?
রাশেদ: এইট পাশ!
জেরী: তাইলে তো কুনো সমস্যা নেই আমাগোর লাকি আফা ইন্টার পাশ আছে!
তানজু: কোন লাকি আপা?
জেরী: লাবন্য লাকি আপা বেচারীর সংসারে সুখ নেই। আর এই লোকের যা বয়স তাতে এর থেকে ভাল মাইয়া ভাগায় আইনা দেওয়া সম্ভব না।
তানজু: জেরী কে যদি এই শো তে রাখা হয় তাহলে আমি থাকবো না। জানে না হাউ টু টক এন্ড হাউ টু বিহেইভ! ইনাফ!
জেরী: ওকে তুমি যাও!
২জনের তর্ক চলতে থাকলো..রাশেদ তার কোড নাম্বার না নিয়েই চলে গেল।
অনেকক্ষণ ঝগড়াঝাটির পর হনলুলু আর শান্তর একান্ত সাক্ষাতকারের জন্য আবার সবকিছু রেডি করা হল।
এবার এরা ২জন ঝগড়া বাধালো কে আগে সাক্ষাতকার দিবে। ২জনেরই ভয় কখন জেরী আর তানজুর ঝগড়া বাধবে তাদের অংশ শেষকালে বাদ যাবে। তার থেকে আগে আগে সাক্ষাতকার দিয়ে কেটে পড়তে হবে।
শান্ত: ধুর মিয়া আমি আগে দিলে তোমার সমস্যা কি!
হনলুলু: আমার সমস্যা তুমি। আমি আগে দিবো
শান্ত: না আমি আগে
হনলুলু: তুমি এখনও ছাত্র।
পড়াশুনা শেষ করো চাকরি বাকরি কইরা তারপর এসো।
শান্ত: আমি ছাত্র হইলেও মাইয়াগো সাথে সামনা সামনি কত কথা কইতে পারি! আর তুমি..ব্যটা ভেবলা..ডিজুস ভযেস আড্ডায় ফোন দিয়া ...এক মাইয়ার কন্ঠ শুইনা কথা ই কইতে পারো না! আইসো ইন্টারভিউ দিতে!
রগচটা হনলুলু শান্তর নাকে একটা ঘুষি মারলো!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।