আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সামুব্লগ বিবাহ -৪

"ব্লগকে সিরিয়াসলি নেবার কিছু নেই"...গরীব স্ক্রীপ্ট রাইটার

সাইফুরের ভিডিও: সিএনজি ড্রাইভারদের কাছে ঝাড়ি খেয়ে চুপ দাড়িয়ে আছে সাইফুর। (ব্যাকগ্রাউন্ডে সাইফুরের কন্ঠ: কি করবো আমি এমনই! কাউকে কঠিন কথা বলতে পারি না) আজ যে আমি এখনও সিঙ্গেল তার কারণও আমার এই চুপ থাকা) স্টুডিও তে: তানজু: কেমন আছেন? জেরী: অত খাতির দেখানো লাগবে না। কামের কতা কই। সাকিরা আপনের ঘটনা কি? আপনি চুপ থাকনের ফলে যে ঘটনাটা রিসেন্টলি হইছে কইবেন প্লিইইজ... সাইফুর: হা অবশ্যই। আমার বাসা থেকে আমার বিয়ের ব্যাপারে কোন তাড়াহুড়া তো দূরের কথা কোন কথাই বলছিলো না তখন আমার খুবই প্রিয় একজন আপু তারার হাসি যার কথা আমি খুব মেনে চলি বললেন বিয়ে করতে।

আমি বাসায় লাজ শরমের মাথা খেয়ে বললাম। আমি মেয়ে পছন্দ করি তো ফ্যামিলিতে ওই মেয়েকে পছন্দ করে না। বহুত কষ্টে এক মেয়েকে পছন্দ হল। বাবা বলল, আরো এক বছর পর অন্তত এমবিএ করো তারপর বিয়ে....এটুকু বলে সাইফুর একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল। তানজু মনযোগ দিয়ে শুনছিলো, বলল: তারপর? সাইফুর: তারপর আর কি!! ওই মেয়ের বিয়ের কার্ড পাঠিয়ে দিলো কিছুদিন পর।

জেরী: কেবলা একটা! ঠিক হইছে! তানজু: কাম অন জেরী একজন মানুষের কষ্টে সমবেদনা না দিতে পারো অন্তত তাকে কষ্ট দিও না! জেরী: তাইলে আবার এইখানে ক্যান আইছেন! এইবার কি আপনার সাথে যার বিয়া ঠিক হইবে তা বিয়া খাইতে যাইবেন? ছাগলা! সাইফুর এবারও এত বড় অপমান হজম করে বসে থাকলো। কিন্তু তানজু প্রতিবাদ করলো জেরী তাকেও ২/৪ কথা শুনিয়ে দিল, তুমি কি আমার মত জনপ্রিয় উপস্থাপিকা যে আমারে জ্ঞান দাও! আগের পর্বটা দ্যাখো! দেখবা তোমারে বাদ দিতে আর আমারে রাখতে দাবী করছে দর্শকরা! তানজু বলল: সাইফুর ভাই প্লিজ আপনি আর অপমানিত হবেন না। আপনি প্লিজ এখান থেকে চলে যান। সাইফুর: ওকে মুকুলের ভিডিও: দোহায় মুকুল দৌড়িয়ে বেড়াচ্ছে আর গাইছে...ও বন্ধু শুনতে কি পাও...এ গান আমার ওও এ গান আমার......ছুঁয়ে যাবে এই সুর হৃদয়ে তোমার.... (মুকুল একটু বেশিই নার্ভাস টিভি শো তে এই প্রথম তাই সাথে বন্ধু রাশেদকে সাথে নিয়ে এসেছে। রাশেদের অবশ্য এখানে আসার আরেকটা কারণ আছে সে গতদিন তার কোড নিয়ে যায় নি তাই কেউ তার খোজ নিচ্ছে না।

এমন কি লাকি আপাও না!) জেরী রাশেদ কে দেখে: আপনি আবার আইজকা কি চান? রাশেদ: আমার কোড নিতে আইসি! জেরী: এইখানে কি! ওইখানে যাইয়া দাড়ান। রাশেদ চলে যেতে উদ্যত হলে মুকুল হাত চেপে ধরে বলল: তুই চলে যাবি? তানজু: ঠিকাছে রাশেদ ভাই আপনি এখানেই বসুন। রাশেদ: ওকে। তানজু: কেমন মেয়ে পছন্দ মুকুল ভাই আপনার? মুকুল কিছুই মনে করতে পারলো না, বলল: এ রাশেদ আমার যেন কেমন মাইয়া পছন্দ? সেই কাগজটা তো মনে হয় হারায় ফেলছি! কি কমু এখন! রাশেদ: তা আমি কেমনে জানবো? জেরী: তা আইসেন কেন! এ আবুইল্যা রে আনসে কোনখান দিয়া! মুকুল আরো নার্ভাস হয়ে গেল। জেরী জোরে একটা ঝাড়ি মেরে বলল: কেমন মাইয়া পছন্দ কইয়া এইখান থিকা আউট হন।

মুকুল পকেট হাতাতে হাতাতে হঠাৎ কাগজটা পেয়ে গেল। এইবার কবিতার মত পাঠ শুরু করল: পাত্রীর ফ্যামিলি মূল্যবোধসম্পন্ন হৈতে হৈবো। আমাগো মত মধ্যবিত্ত পরিবারহৈতে হৈবো। পাত্রীর হাইট নূন্যতম ৫'-২" হৈলে ভালো হয়। গায়ের রঙ শ্যামল..... এটুকু বলে মুকুল একটা বড় নিঃশ্বাস ফেলল।

তানজু: ব্যস এটুকু তো?! মুকুল আবার শুরু করলো: পড়াশোনা তো নূন্যতম এইচএসসি পাশ হতেই হবে। ডিজুস কালচারের গুষ্ঠী কিলাই। সব ফটকা এই ডিজুস পোলাপান! পর্দানশীন দরকার নাই। মনের পর্দা থাকলেই হৈলো। চাকুরীজীবী, স্টুডেন্ট - কোনটাতেই আপত্তি নাই।

তয় নোয়াখালীর বাইরের মেয়েরা মফস্বল শহরে আসতে রাজি হবে বলে মনে হয় না। তাই নোয়াখালীর মেয়ের বিকল্প নাই। তারপরে আবার নোয়াখালী শহরের মেয়েরাও আমারে পছন্দ করবে বৈলা মনে হয় না! তারা আবার ঢাকা শহরের প্রতিষ্ঠিত ছেলেকে পছন্দ করে। সুতরাং গ্রামের দিকেই করতে হবে মনে হয় বিয়া! আরেকটা কাগজ খুজে না পেয়ে মুকুল পকেটে আবার হাত দিলো। জেরী বিরক্ত হয়ে বলল: অনেক কইছেন আর কওন লাগবে না।

তানজুকে সুযোগ না দিয়েই আবার শুরু করলো: আপনারা যদি এই মুকলার সাথে যোগাযোগ করতে চান তবে যোগাযোগ করুন: MA 0৬ লিখে পাঠিয়ে দিন ৪২০৪২০ এই নম্বরে। আমরা আপনাকে মুকলার ডিটেইল বায়োডাটা পাঠাবো। তানজু রেগে বলল: আউলাবু আমাকে এখানে কি জন্য নিয়ে এসেছো! শুধুই এই ম্যানার্স না জানা আনকালচারডটার হাতে পদে পদে হেনস্তা করতে? আউলা: তুমিই না বললে তোমার এই শো করে কিছু টাকা পেলে ওই টাকা টা দিয়ে অস্ট্রেলিয়া যাবা! তাই আমি উপকার করতে চেয়ে.... জেরী কথা শেষ করতে দিলো না আউলাকে। জেরী উত্তেজিত হয়ে: তানজু কেন অস্ট্রেলিয়া যাবে! ওইখানে আমার জানু থা্কে তারে ভাগানো খায়েশ নাকি! কথা ক রাক্ষসী! আজও রাশেদ তার কোড পেল না। শান্ত আর হনলুলুও ফিরে গেল এই পোস্টটা আগে যখন দিলাম সাথে আরো কিছু ছিল বাঘে খাইলো এই নিয়া ২দিন আমার পোস্ট কে নেবে এই ব্যর্থতা!


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।