আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সামুব্লগ বিবাহ - ২

"ব্লগকে সিরিয়াসলি নেবার কিছু নেই"...গরীব স্ক্রীপ্ট রাইটার

চিকনমিয়ার ভিডিও: তখন দুপুরবেলা কসমেটিকসের দোকানের মালিক চিকনমিয়া ব্যস্ত ভঙ্গিতে হন্টনরত দুই তরুণীকে দেখে চিল্লিয়ে উঠছেন....আফাগো আফাগো.....একটু আসেন.... তরুণীরা: না ভাই সময় নাই পরে আসবো চিকনমিয়া: আফা পিলিজ আসেন। এক কাপ চা খায়া যান…মেয়ে গুলো তাড়াতাড়ি কেটে পড়লো। এরকিছুক্ষণ পর আবারও কয়েকজন স্কুলপড়ুয়া মেয়েদের আফা চা খাইয়া যান বলে চিৎকার দিল। স্কুল পড়ুয়া মেয়েদের কেউ আফা বলে রেসপেক্ট করলে তারা খুশি হয় তাই তারা চা খেতে গেল। স্কুলপড়ুয়া মেয়েগুলো চলে যাবার পর চিকনমিয়া আস্তে আস্তে বলল, ও ছানদা ও ছানদা...... স্টুডিও তে: অচেনা: চিকনমিয়া আমরা শুনেছি আপনি অনেক জনপ্রিয় একজন দোকানদার কিন্তু আপনার জন্য পাত্রীর খুবই সঙ্কট! কেন? চিকনমিয়া: কিতা কইতাম? টুটুল: আমি বুঝেছি!! সবাইকে আফা ডেকে ফেলেছে।

বিয়ে করার মেয়ে এই কারণে নেই! তাই না? চিকনমিয়া লাজুক হেসে বলল: কতাডি হাচা রে। তয় ছানদারে আফা ডাকি নাই কুনুদিন। ও ছানদা ও ছানদা তুমি কুতাই অচেনা: সুপ্রিয় ব্লগারগন এখানে আর বলার কিছুই নেই। শুধু এটুকুই বলবো, শান্তা২৯ এর অপেক্ষায় থাকা চিকনমিয়ার সাথে যদি আপনাদের যোগাযোগ করতে ইচ্ছে হয় তবে যোগাযোগ করুন: MA 02 লিখে পাঠিয়ে দিন ৪২০৪২০ এই নম্বরে। আমরা আপনাকে চিকনমিয়ার ডিটেইল বায়োডাটা পাঠাবো।

অন্যরকম ওরফে অনযুর ভিডিও: ফুটপাতে দাঁড়ায়া চা খাচ্ছে, আশেপাশে প্রচার লোকজন, মারাত্মক ভীড়, ছেলে-মেয়ে, নারী, শিশু বৃদ্ধ, কোন বাদ নাই। মাত্র ৪দিন পর ১লা বৈশাখ, সবাই বৈশাখের শপিংয়ে বের হয়ছে। অনযু চা খায় আর দেখে, দেখে আর চুমুক দেয়! হঠাৎ দেখে সাদা শাড়ী পড়া এক অতীব সুন্দরী আমার সামনে দাঁড়ায়া রিক্সা ঠিক করতেছে। সাদা শাড়ী কালো প্রিন্ট, হাতে সাদা কাঁচের চুড়ি, বৈশাখি সাজ। রিক্সা ঠিক হয়ে গেছে, এবার সে রিক্সায় উঠবে, কিন্তু শাড়ী পড়ে রিক্সায় উঠতে মনে হয় অভ্যস্থ নয়।

রিক্সায় উঠার সময় বেচারীকে হাঁটু পর্যন্ত শাড়ী তুলতে হয়েছে! ঘটনাটা অনযুর এত কাছেই ঘটেছে যে চোখের আড়াল করার কোন উপায় ছিল না। টিভি সিনেমায় এধরনের দৃশ্য অনেক দেখেছে, কিন্তু শাড়ী পড়া বাঙ্গালী নারীর পা এই প্রথম দেখলো, দেইখাই রবি'দার একটা গানের লাইনের কথা মনে পড়ে গেল, পুরা গান মনে নাই, শুধু কয়েকটা কথায় মনে আছে, "এমনও ধবল পা....."! বাহ: কি চমৎকার! তবে বেচারী মনে হয় Veet ব্যবহার করছে কিছু দেরি হয়ছে, খোঁচা খোঁচা রয়ে গেছে....! অচেনা: দেখলাম ভালই লুলাইলেন। অনযু: ভাই এইটাকে যদি লুলামি বলেন তাহলে আর কি বলবো! টুটুল: বাই দি বাই, আপনার কেমন পাত্রী পছন্দ? অনযু: দেখতে বেকুব তবে ষোলআনা সেয়ানা পাবলিক, রসিক, বব কাডিং চুল। এই তো ! ব্যস! টুটুল: ফা ভাবীটা কে? অনযু: সেটার আমি কি জানি! টুটুল: আপনি জানেন না মানে! আপনি গোপন করতে যাচ্ছেন! আমরা শুনেছি ফেইসবুকে ফা ভাবীকে নিয়ে আপনারা খুবই... অনযু: এটা কি ধরনের কথা! আপনারা কি আমাকে এখানে অপমান করতে নিয়ে এসেছেন?? অচেনা: আপনারা যদি বদরাগী অনযুর সাথে যোগাযোগ করতে চান তবে যোগাযোগ করুন: MA 03 লিখে পাঠিয়ে দিন ৪২০৪২০ এই নম্বরে। আমরা আপনাকে অনযুর ডিটেইল বায়োডাটা পাঠাবো।

এবার আসুন আমরা দেখি একজন সফল ইঞ্জিনিয়ার উদাসী স্বপ্ন যার প্রথম বিয়েটা ছিল অসফল তার ভিডিও: আমি সারাজীবন ফাকি দিয়ে এসেছি। আমি আমার ভার্সিটির ৬৫ জনের মধ্যে ৫৮তম হয়েছিলাম....দেখুন আজ আমি কোথায়! (উদাসী একটা টাওয়ারের উপর) স্টুডিওতে: অচেনা: উদাসী আপনার প্রথম বিয়েটা অসফল ছিলো, যদি বলতেন কেন তাহলে ভবিষ্যতে যারা আপনার সাথে যোগাযোগ করবে তাদের সুবিধা হতো। উদাসী: দেখো মিয়া আমার কুনো সমস্যা আছিলো না। সমস্যা আছিলো তার। সে আসলে আমার মনের মত আছিলো না! টুটুল: কি কি গুন আপনি তার মধ্যে দেখতে চান? উদাসী: আমার পাত্রী পছন্দ কইতে গেলে যেইটা দরকার সেইটা হলো ১. নোয়াখালীর হইতেই হইবো ২. উকালতী পাশ করতেই হইবো ৩. যেকোনো কাইজ্জা বিবাদে চ্যাম্পিয়ন হইতেই হইবো বিয়ার আমি যতো ক্যাচাল বান্ধাবু, আমার পাত্রী সেই কাইজ্জায় গিয়া হারাইয়া উল্টা যা আমার না তাও নিয়া আইবো! এমুন পাত্রী পাইলে আমি অখনই কবুল কইতে রাজী! তয় একাধিক হইলে কাউরেই মানা করুম না, তবে সেইখানে প্রায়োরিটি সেট কইরা পারফরমেন্স মাইপা ডিসিশন নিমু, কারে কবে কখন বিয়া করমু! অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী স্বপ্নজয় যার বয়স মাত্র ২৩ কিন্তু পাকনামির জন্য তার নাম পাকনাজয়।

অল্পবয়সেই বিয়ে করতে চান আসুন দেখা যাক তার ভিডিও: পাকনা মোবাইলে কথা বলছে...ক্যামেরা দেখতেই ফোনটা রেখে দিল.....পাকনা ম্যাসেঞ্জারে কথা বলছে..ক্যামেরা দেখতেই মনিটর অফ...সবকিছুতেই লুকোছাপা ভাব! স্টুডিওতে: অচেনা: আচ্ছা স্বপ্ন আপনি সবকিছু কেন লুকাতে চাইছেন? কিসের ভয় আপনার? স্বপ্ন: আসলেএ....আ..আ...আমি.... (মোবাইল বেজে উঠল) টুটুল: হ্যালো বউ, স্যরি! আমার ভুল হইছে টুটুল ভাই আমি শান্ত। আমারে না আপনার বাসায় দাওয়াত করে খাওয়ানোর কথা ছিল?, ওপাশ থেকে টুটুল: শান্ত পরে কথা হবে আমি বিজি। শো এর শুটিং চলতাছে। অচেনা: টুটুল ফোন অফ করো। টুটুল ওকে বলল কিন্তু করলো না।

( টুটুলকে তার বউ বাসা থেকে বের করে দিয়েছে। তার বউয়ের রাগ না কমলে ঢুকতে দিবে না। টুটুলের ধারনা তার বউয়ের রাগ কমলে তাকে ফোন করবে তাই সে ফোন অফ করছে না) অচেনা: আপনি আপনার জীবন সাথীর মধ্যে কি কি গুণ দেখতে চান? স্বপ্ন: উমম.... আমার পছন্দ খুব সিম্পল মেয়ে, যে আমাকে পিসির সামনে..... (আবার মোবাইল বেজে উঠল) টুটুল: বউ আমার ভুল হইছে, স্যরি, আমি আর করমু না... টুটুল ভাই তুমি তো তোমাদের শো তে আমারে এখনও ডাকলা না, ওপাশ থেকে জয়িতা। টুটুল: কে? জয়িতা: আরে আমি জয়িতা। চিনতে পারো নাই!! টুটুল: ওই শো চলতাছে পরে কথা হবে।

অচেনা: টুটুল তোমার দোহাই লাগে, ফোনটা কি অফ করবা? টুটুল এবারও ওকে বলল কিন্তু করলো না। অচেনা আবার: কি কি গুণ দেখতে চান? স্বপ্ন: আমার পছন্দ খুব সিম্পল মেয়ে, যে আমাকে পিসির সামনে থেকে উঠতে বলবেনা, শপিং লিস্টে সিগ্রেট ১ নম্বরে লিখবে, প্রতি ঘন্টায় চা - সাথে হাল্কা টা দিবে, কার সাথে... (আবার মোবাইল বেজে উঠল) স্বপ্ন রেগে: টুটুল ভাই এমন একটা ভাব করতাছেন যেন বউ একা উনারই আছে! এতক্ষণ আইসি এইখানে দেখছেন আমার বউ একবারও ফুন দিছে? অচেনা: আপনি বিবাহিত!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।