"ব্লগকে সিরিয়াসলি নেবার কিছু নেই"...গরীব স্ক্রীপ্ট রাইটার
রেজওয়ান শুভর ভিডিও:
ক্যাফেতে বসে আছে...মুখবন্ধ। ক্লাসে বসে আছে ...মুখবন্ধ। বন্ধুদের সাথে বসে আসে ...মুখ বন্ধ।
স্টুডিওতে:
তানজু: কেমন আছেন শুভ?
শুভ: আছি আর কি! আমাদের আর থাকা থাকি!
তানজু: মানে?
শুভ: সুশীলদের অত্যাচারে অতিষ্ট আর কি!
জেরী পাল্টা প্রশ্ন করলো: আপনের ভিডিওটা এইরকম ক্যান। মুখবন্ধ ক্যান?
অত্যন্ত অপমানিত হবার ভংগি করে শুভ বলল: আপনারা কি অন্ধ? আপনারা জানেন না! হাউ ইজ দ্যাট পসিবল!
জেরী: ও বুঝছি আপনে কমেন্ট ব্যান।
তো কেমন লাগে এইরম কথা না কইতে পারলে??
শুভ: আমি লেডির পোস্টে কমেন্ট দিতে পারি না! এরপরও আপনাদের চিৎকার করে বলতে হবে! আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে??
তানজু: স্যরি আপনি উত্তেজিত হবেন না। বলুন কেমন মেয়ে আপনার পছন্দ?
শুভ: দেখেন আমি যেহেতু বুয়েটে পড়ি তাও আবার সিএসই তে আমার বউ তো সেই রকমই হবে! তাই না??
তানজু: হ্যা বুঝছি এডুকেটেড মেয়ে হলেই আপনার চলবে!
শুভ: আপনের কি ধারণা আমি এইখানে তামাশা করতে এসেছি??
তানজু: মানে!
শুভ: আমি বুয়েটে পড়ছি তাও সিএসই তে আমি কি এতই ফেলনা!?
তানজু: আমি সেটা কখন বললাম!
শুভ: কথা ঠিকমত বলতে আগে শিখুন তারপর প্রোগ্রামের হোস্ট হতে আসবেন।
জেরী : ঠিকাছে এইবার বাকীগুলা কন!
শুভ: আমি দেখেছি অন্যদের কথার মাঝে জেরী আপনি বহুত ক্যাচাল করেন। এটা আমার সাথে করবেন না! মাইন্ড ইট!
পিচ্চি একটা ছেলের ভাব দেখে জেরী রাগে দিগ্বিদিক হয়ে বলল: ওকে
শুভ: ধরেন আমি যেই মাইয়ারে বিয়া করমু তার ৩ টা কোয়ালিটি থাকতে হইবো ...
১. বউরে অবশ্যই খুবই হাসিখুশি , মিশুক আর পোংটা টাইপের হইতে হইবো। প্রচুর কথা বলার বাতিক থাকতে হইবো।
সারাদিন কুটকুট কইরা কথা বলবে ... পুটপুট কইরা হাসবে .... সবার সাথে মিশবে .. প্যাচাল পাড়তে পাড়তে আমার ব্রেইন ড্যামেজ কইরা দিবে এইরকম আরকি .......
২. বউ এর গেটআপ ড্রেসআপ অবশ্যই অবশ্যই খুবই সিম্পল হইতে হইবো .... এই ধরেন নরমাল একটা সালোয়ার কামিজ পড়া মাইয়া আরকি ... একেবারে হুজুরনী হইলে ও সমস্যা আবার ডিজুস হইলে তো একেবারে কেরোসিন .. সাধারন একটা মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে যেরকম কাপড় পড়ে , ওইরকম । এই জিন্স-ফতুয়া টতুয়া পড়া মাইয়া আমার দুই চক্ষের বিষ .. আফসোস .. ঢাকায় যাই দেখি সব এই টাইপের ..
৩. বউ এর চুল অবশ্যই কালো হইতে হবে ... মানে অনেকে চুল লাল-নীল-হলুদ-বেগুনী করে না ?? ওইরকম হইলে হইবো না ... আর চুল একটু বড় হইতে হইবো আরকি .. বেশী না , এই ধরেন কোমড় পর্যন্ত
তানজু একটু ভয়ে ভয়ে বলল: আর কিছু যা আপনি আর যোগ করতে চান?
শুভ বলতে যাচ্ছিল কিন্তু জেরী তাকে সুযোগ দিলো না। জেরী: অনেক হইছে এইবার যা। ছেমরা চুল একটু বড় হইতে হইবো বেশী না..কোমড় পর্যন্ত!!! রাইখ্যা দেখছিস চুল!! আগে নিজে বেণী করার সমান চুল রাখবি তারপর কোমড় সমান চুল বেশি না কবি!
শুভ: আউলা আপু আমাকে এভাবে এইসব লোকজনের হাতে নাজেহাল করার জন্যই .....
জেরী না এইবার তানজু বলল: যাবার রাস্তাটা ওইদিকে
রেজওয়ান শুভর ইন্টারভিউ এরপর জেরী বিদ্রোহ ঘোষণা করলো তার কেমন ছেলে পছন্দ এই নিয়ে একটা পর্ব না হলে সে আর এই শো করবে না। তানজুও জেরীর দেখাদেখি মোড়ামোড়ি শুরু করলো...তারটাও যেন নেয়া হয়।
উপায় না দেখে আউলা ইন্টারভিউ দিতে আসা ভাঙ্গা পেন্সিলকে বলল: ওদের অংশটায় উপস্থাপনা করতে। (আউলার লাভের লাভ ফ্রি তে ভাঙ্গা পেন্সিলের চেহারা ভাল বলে পাম দিয়ে কাজ করিয়ে নেয়া)
ভাঙ্গা পেন্সিল রাজি হয়ে গেল সানন্দে। (ভাঙ্গা পেন্সিলও কম না সে কি অবুঝ নাকি সে উপস্থাপনা করলে তার আর ইন্টাভিউএর ডেট আর কবে পড়ে তার নাই ঠিক! কাজেই সে ডিসিশান নিলো জেরী তানজুকে সুযোগ তেমন দেয়া যাবে না। তার কথা সে বলেই যাবে!)
তানজু আর জেরীর ভিডিও:
এই ভিডিওটাতে তেমন কিছু নেই ওদের শো এর কিছু অংশ তুলে একটা ভিডিও বানিয়েছে আর তাতে মানুষ মানুষের জন্য গানটা সেট করা হয়েছে।
ভাঙ্গা পেন্সিল: কেমন আছেন?
তানজু মৃদু হাসল।
জেরী: ভালাই।
ভাঙ্গা পেন্সিল: কেমন ছেলে আপনাদের পছন্দ?
তানজু একটু গুছিয়ে বলবে বলে চুপ রইল ভাবল আগে জেরী বলুক তারপর সে বলবে। জেরী: ক্যাব...
ভাঙ্গা পেন্সিল সুযোগ না দিয়ে: আজকাল ব্লগে একটা বিষয় খুবই চলতেছে। কারা বেশি রোমান্টিক? পাবলিক নাকি পেরাইভেট! আমি তো কই পাবলিকের পোলা আর পেরাইভেটের মাইয়া!
জেরী: কথা কইতে দিবি?
ভাঙ্গা পেন্সিল: ও শিওর! গো এ্যাহেড! বলেন কেমন ছেলে? তানজু আপা আপনি কন। জেরীরটা তো শেষ।
জেরী একটু চুপ করলো। ভাবলো একটু দেখে নিই তামাশা!
তানজু: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী....
জেরী: ফ্রেঞ্চকাট দাড়ি??
তানজু: হ্যা
জেরী: তুই কি সত্যই আমার জানুর দিকে নজর দিলি রে??
তানজু: কি করবো বল! ইভা রহমানের মত আমার মন তো মানে না
ভাঙ্গা পেন্সিল জোরে জোরে কাশি দিয়ে ওদের কথা থামালো। এবার আবার শুরু করলো: সুধী ব্লগারগন আপনারাই বলুন আমি কতটা রোমান্টিক আর এলিজিবল.....এটা গ্যারান্টেড যে আমি পাবলিকের সবচেয়ে রোমান্টিক পোলা....
জেরী টিবয় বালক নিবিড় অভ্রকে এসএমএস করে দিল, মেইন সুইচ অফ করে দিতে। নিবিড় ক্যামেরা মোবাইল চালায় এটা ঠিক, তার মোবাইলে ওয়ারিদের ইন্টারনেট আছে এটাও ঠিক তবে খালি নিজের নামটাই স্বাক্ষর করতে পারে পড়াশুনা জানেনা। তাই কিছু না বুঝে ভাঙ্গা পেন্সিলের কাছে এসে এসএমএস টা পড়তে দিলো।
ভাঙ্গা এবার জেরীকে নিয়ে কটাক্ষ শুরু করলো।
ক্রোধে চোখে সর্ষে ফুল দেখলো জেরী। তার ইন্টারভিউ দেয়ার সব শখ মিটে গেছে। সে তানজুকে সে ইশারা করলো। ২জন মিলে আস্তে করে ভাঙ্গার ২ হাত ধরলো।
ভাঙ্গা: আরে করেন কি!
ভাঙ্গাকে দরজার কাছে নিয়ে যেয়ে ২জন একসাথে ২টা লাথি মেরে বের করে দিলো।
ভাঙ্গা সিড়ি দিয়ে গড়াতে গড়াতে এক প্রাইভেটের মেয়ের পায়ের উপর পড়লো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।