ঢাকার বাণিজ্যিক এলাকার বাতাসে কার্বন-ডাই অক্সাইড, কার্বন-মনোক্সাইড, নাইট্রোজেনের অক্সাইড, সালফার-ডাই অক্সাইড, শিসা, বেনজিন, অ্যালিহাইড, ক্লোরোফ্লোরোকার্বনসহ নানা ধরণের উপাদান প্রতি ঘন মিটারে ৬৬৫ থেকে ২ হাজার ৪৫৬ মাইক্রোগ্রাম। অথচ বাতাসে এ ধরনের সহনীয় উপাদান ২০০ মাইক্রোগ্রামের নিচে থাকা দরকার।
ঢাকার গাড়ী থেকে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১ কিলোগ্রাম শিসা, সাড়ে তিন টন অন্যান্য বন্তুকণা, ১৬ টন নাইট্রোজেন অক্সাইড, দেড় টন সালফার-ডাই অক্সাইড, ১ টন হাইড্রোকার্বন, ৬০ টন কার্বন-মনোঅক্সাইড নির্গত হচ্ছে। বাতাসে কার্বন-মনোঅক্সাইড যুক্ত হওয়াকে সিগেরেট ও অন্যান্য জ্বালানীকেও দায়ী করা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, প্রতিদিন ১ টন হাইড্রো কার্বন এবং ৬০ টন কার্বন-মনোঅক্সাইড বাতাসে মিশে বাতাসকে শুধু ভারিই করছে না, মানুষ বসবাসের অনুপযুক্ত ও বিষাক্ত করে তুলছে ঢাকা নগরীকে। বাতাসে কার্বনের সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য মাত্রা ২৯০ থেকে ৩০০ পিপিএম (পার্টস পার মিলিয়ন)। অথচ নগরীতে বাতাসে কার্বনের বর্তমান মাত্র ৩৫০ পিপিএম যা পরিমাণের চেয়ে ৫০ পিপিএম বেশি। এ অবস্থায় বাতাস কতটা ভারী এবং তাপ ধারণ ক্ষমতা কতটুকু বেড়ে গেছে তা সহজেই অনুমেয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।