ছাগু তোষণ নীতি নির্ভর মডারেশন প্রক্রিয়াকে ধিক্কার জানাই. ব্লগের এক কোনায় জেনোসাইড বাংলাদেশের লোগো ঝুলিয়ে ছাগু তোষণ নীতির নামে ভন্ডামি বন্ধ করুন... নইলে এই মডারেশন নীতি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থাকার নাটক বন্ধ করুন.. ব্লগ পর্যবেক্ষনে, আপাতত শুধু কমেন্টাই..
ঘটনার সূত্রপাত মাথা নষ্ট নামক এক ব্লগারের ক্রমান্বয়ে করা তিনটি পোষ্ট। পোষ্টে কি ছিলো আর কমেন্টে কি হয়েছে তা বলে সবার মেজাজ আবার খারাপ করার ইচ্ছা নেই। তবে ঘটনার প্রকৃত সূত্রপাত কিন্তু আরও আগে স্পাইডার কিংবা প্রশান্ত শিমুলের করা পোষ্টে (সরানো হয়ে গেছে তাই লিংক দেওয়া গেলো না)। ড্রেনড্রাইটের ভুত যে এখোনো আমাদের মাঝে কি পরিমানে বিদ্যমান সেটা উপরে উল্লিখিত পোষ্টগুলোর প্লাস সংখ্যা দেখলেই বোঝা যায়। হতেই পারে, আমাদের এক একজনের মানসিকতা, মূল্যবোধের পার্থক্য থাকতেই পারে।
কিন্তু আজব ব্যপার হলো মাথা নষ্ট তার পোষ্টে মা-বাবা কে নিয়ে এতো বাজে বাজে কমেন্ট করার পরেও ২৪টা না ২৫টা প্লাস !!! জানিনা মা-বাবাকে নিয়ে এমন পোষ্টে প্লাস দেবার মানসিকতা নিয়ে কারা কারা ব্লগিং করতে আসে। ব্যক্তিগতভাবে আমার এই মানসিকতা দেখে খারাপ লাগলো তাই শেয়ার করলাম।
এবার আসি হাফপ্যান্ট আর স্বচ্ছতার প্রসংগে। হাফপ্যান্ট ব্লগার সম্প্রতি জনপ্রিয় হয়ে উঠা একটা উপাধি। হাফপ্যান্ট ব্লগাররাই সাম্প্রতিক ব্লগ আন্দোলনের কর্মী আবার এই হাফপ্যান্ট ব্লগাররাই সম্প্রতি মডারেশনের নানা অত্যাচারে অতিষ্ঠ।
ব্লগে কিছুদিন ঘোরাঘুরি করে কিছু মজার নিকের সাথে পরিচয়, কেউ কোনো বিশেষ গোত্রের চীফ হিসেবে পরিচিত আবার কেউ কেউ রেসিডেন্ট উপাধীতে ভূষিত। এইসব সত্য কিংবা রিউমার সেটা জানার অথবা এদের সাথে ঝামেলায় গিয়ে ব্যান কিংবা জেনারেল হবার সৌভাগ্য কিংবা দূর্ভাগ্য কোনোটাই হয় নি এখন পর্যন্ত। কিন্তু আশেপাশের অনেকেরই হয়েছে দেখলাম। সাধারনত দেখা যায় এসব এলিট গোত্রের কোনো ব্লগারকে নিয়ে যতই রেফারেন্স নিয়ে পোষ্ট দেন না কেনো আর সেই পোষ্ট যতই পজিটিভ রেটিং পাক না কেনো, আধাঘন্টার মাঝে মডারেশনের খড়গ নেমে আসতে বাধ্য। হতেই পারে, মডারেশনের অনেক নীতিমালা আছে এই নিয়ে।
কিন্তু নীতিমালা গুলো কি সমানভাবে সবার জন্য প্রযোজ্য? নোটিশবোর্ড যদি বলেন হ্যাঁ তবে মাথা নষ্ট নামক নিকের এরকম তিনটা পোষ্ট ও কমেন্টের আজ সকাল দশটা পর্যন্ত ঝুলে থাকাকে কি বলা যাবে?
ঐ পোষ্ট আজ সকাল পর্যন্ত ঝুলে থাকলো, যে যাই বলতে যায় মা-বাবা নিয়ে গাল খেয়ে চলে যায়। আচ্ছা আমি যদি ঐ পোষ্টে পাল্টা গালি দেই তবে আমিও কি মডারেশনের খপ্পরে পরবো? নোটিশবোর্ড থেকে এমন একটা ঘোষনা দেওয়া হলে কেমন হয় যে কোনো পোষ্ট যেটা ৩খ, ৩ঘ, ৩ঞ কিংবা ৪চ কিংবা সমমনা নীতিমালা ভঙ্গকারী হয় আর সেটার মডারেশন হতে দুই ঘন্টার বেশী সময় লাগে সেক্ষেত্রে সেই পোষ্টের কমেন্টে করা যেকোনো ভাষার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। এমনটির দরকার কারন দেখা গেলো কোনো ব্লগার আরেক ব্লগারের মা-বাবা তুলে গালি দিলো, গালি খাওয়া ব্লগার গালি সহ্য করে রিপোর্ট করলো, কিন্তু মডারেশনে অনেক দেরী হলো আর এর মাঝে ঐ পোষ্টে হিট কিন্তু চালু আছে আর সবাই দেখছে ঐ ব্লগারের মাকে নিয়ে গালি দেয়া হয়েছে। মাথা গরম করে যদি ঐ ব্লগার পাল্টা গালি দেয় তো মডারেশনের খড়গে তার পড়া কি উচিত?
মেজাজ খারাপ তাই আবোল তাবোল কথা লিখে ফেললাম। সামুতে ভিজিটর হিসেবে আনাগোনা অনেকদিনের।
সামুতে ঘুরতে ভালো লাগে তাই আসি। কিন্তু এসব আজেবাজে ব্লগারদের প্রশ্রয় দিয়ে অথবা শিবির থেকে শুরু করে এমনকি হিজবুত তাহেরীর মতো সংগঠনের প্রচারনার প্লাটফর্ম হয়ে সামহোয়ারইনের ভবিষ্যত কি উজ্জল আলোয় আলোকিত হচ্ছে দিন দিন কে জানে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।