আমি কিছুই লিখব না।
ভূমিকম্প, বন্যা, সাইক্লোন ও ভূমিধসের মতো দুর্যোগে সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে আছে বাংলাদেশ, চীনসহ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ। সোমবার প্রকাশ করা জাতিসংঘের দুর্যোগ সূচকে ভয়ানক ঝুঁকির মধ্যে থাকা চারটি দেশের বাকি দুটি হচ্ছে ভারত ও ইন্দোনেশিয়া।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভয়াবহতা ও এর পরিণাম বিষয়ে জেনিভায় এক আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরুর মুহূর্তে ইউএন ইন্টারন্যাশনাল স্ট্রাটেজি ফর ডিজাস্টার রিডাকশন (ইউএনআইএসডিআর) সূচকটি প্রকাশ করেছে। চারদিনব্যাপী সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১৮ শ' কর্মকর্তা অংশ নিচ্ছেন।
'মর্টালিটি রিস্ক ইনডেক্স' নামের সূচকটি প্রকাশের সময় ইউএনআইএসডিআর এর প্রধান মার্গারেটা ওয়ালস্টর্ম সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, 'বিপদের শঙ্কার মধ্যে নেই এমন দেশ বাস্তবে আর নেই। " তিনি বলেন, বড়ধরনের ঝুঁকির মধ্যে যে সব দেশ এখন নেই, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পরিবেশগত পরিবর্তন ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে ভবিষ্যতে তারাও ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।
কোন কোন দেশে দুর্যোগে বেশি মানুষ মারা যায় তা পরিমাপ করার পাশাপাশি সম্ভাব্য বিপদের দিকটিও হিসাব করা হয়েছে সূচকে। একইসঙ্গে একটি দেশের দুর্যোগ মোকাবেলার শক্তিসামর্থ্যও বিবেচনায় নিয়ে এটি তৈরি করা হয়েছে।
ওয়ালস্টর্ম বলেছেন, সূচকে দেখানো হয়েছে দুর্যোগ-আঘাতের ভয়াবহতার রাশ টেনে ধরা সম্ভব।
জাপানের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, জাপানে সবচেয়ে বেশি সাইক্লোন আঘাত হানলেও তালিকায় মধ্যমানের ঝুঁকির দেশ হিসেবে স্থান পেয়েছে। নাগরিক প্রতিরক্ষাসহ ঝুঁকি কমানোর নানা ব্যবস্থা নেওয়ার কারণে তার প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়েছে।
তিনি জানান, গড়পরতা হারে মানুষের জীবনের সবচেয়ে ঝুঁকির বিবেচনায় তালিকার শীর্ষে আছে বিপুল জনসংখ্যার চারটি দেশ- বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও ইন্দোনেশিয়া। তবে কম জনসংখ্যা কিন্তু ঝুঁকি বেশি- এরকম ক্ষেত্রে শীর্ষে আছে কলোম্বিয়া এবং ক্রমান্বয়ে নিচের দিকে রয়েছে কমোরোস, ডোমিনিকা, ভানুয়াতু এবং ফিজির মতো দেশগুলো।
হাইতি ও ইথিওপিয়ার মতো মধ্যম-ঝুঁকির সারিতে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বলা হয়েছে, সাইক্লোন ও ভূমিকম্প উভয় দুর্যোগের আওতায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অনেকেই এই দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ইউএনআইএসডিআর এর বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা পাসকেল পেডুজ্জি বলেছেন, সূচকটির একটি দুর্বলতা হচ্ছে, এতে বিভিন্ন দেশের খরার বিষয়টি বাদ দেওয়া হয়েছে। কারণ খরায় ক্ষতির দিকটি আবহাওয়া বা অন্যান্য প্রাকৃতিক কারণের চেয়ে অনেক বেশি সংঘাত ও সামাজিক অস্থিতিশীলতার সঙ্গে সম্পর্কিত।
তিনি বলেন, খরাকে অন্তর্ভুক্ত করা হলে তালিকায় অনেক আফ্রিকান দেশেরই ঝুঁকির মাত্রা আরও বাড়ত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।