mojnu@ymail.com
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সমাজপতিদের দোররার শিকার ধর্ষিতার পক্ষে চারদিন পর অবশেষে থানায় ধর্ষক দুলালের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা হয়েছে। রবিবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক এডিসি (রাজস্ব) দীপক চক্রবর্তী পরিদর্শন করেন। পরে ঘটনার সত্যতা পেয়ে তাঁর নির্দেশে ধর্ষিতার মা আনোয়ারা বেগম বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-৪, তাং- ১৪/০৬/০৯ইং)। তবে আটককৃত সমাজপতিদের বিরুদ্ধে এখনো ভয়ে কেউ মামলা করতে সাহস করেনি এবং পুলিশ ধর্ষক দুলালকে এখনো গ্রেপ্তার করেনি।
থানার ওসি মুহাম্মদ জাকের হোসাইন জানান, রবিবার রাতে বাদির লিখিত এজাহার পাওয়ার পর তা নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হিসাবে রেকর্ড করা হয়েছে।
ধর্ষক দুলালকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। দোররার ঘটনায় এখনো কেউ থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি বলে ওসি জানান।
এদিকে এ ঘটনায় পুলিশের হাতে আটককৃত সমাজপতিদের অব্যাহত হুমকির মুখে নির্যাতিতরা দোররা মারার অভিযোগে মামলা দিতে সাহস পাচ্ছে না। তারা কারাগারে বসে আত্মীয় স্বজনের মাধ্যমে মা-মেয়েকে চরম হুমকি ধমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বদু খাঁর বাড়িতে গত বুধবার গভীর রাতে ধর্ষক দুলালকে ছেড়ে দিয়ে ধর্ষিতাকে ১০১ ও তার বৃদ্ধা মাকে ১০ দোররা মেরে রক্তাক্ত করেছে কথিত সমাজপতিরা।
গত বৃহস্পতিবার সকালে ধর্ষিতা ও তার মাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করার পর এখনো তারা চিকিৎসাধীন রয়েছে। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশ সুপার লুৎফুল কবিরের নির্দেশে সদর সার্কেলের এএসপি জাবেদুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ আবুল খায়ের খাঁ (৬৫), চৌধুরী মিয়া (৬৩), তাজুল ইসলাম (৪০), মানিক (৩৫) ও বেচুমিয়া (৩৫) নামে পাঁচ সমাজপতিকে গ্রেপ্তার করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।