আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

করপোরেট ক্রাইম

রাসেল মল্লিক

আমি আসলে নিজেও পুরোপুরি পরিস্কার না আসলে কর্পোরেট ক্রাইম বলতে কি বুঝানো হয়। আমি আমার অভিঙ্গতা থেকে যা ধরতে পারি তা হলো এরকম.... ১. যখন কোন প্রতিষ্ঠান তার কর্মচারীদের ন্যায্য পাওনা পরিষোধ না করে শুধু মাত্র কোম্পানির দোহাই দিয়ে, তাহলে তা নিশ্চিন্তে কর্পোরেট ক্রাইম। যেমন, যখন একজন ওয়ার্কার গর্ভকালীন মার্তৃত্ব ছুটি পাওয়ার অধিকারী তখন যদি তাকে সেই সুবিধা এবং ছুটি না দেওয়া হয় তবে তা ক্রাইম। ২. যদি উদ্পাদন কারী প্রতিষ্ঠান তার শ্রমিকদের ন্যার্য ওভারটাইম কাট ছাট না এডজাস্ট করে, তবে তা কর্পোরেট ক্রাইম। ৩. যদি শ্রমিক কর্মচারী বা অফিসারদের বেতন ও অন্যান্য সুবিধাবলী নানা অযুহাতে বৃদ্ধি রহিত রাখা হয় বছরের পর বছর... তাহলে এটাও ক্রাইম।

৪. জোর করে ওভারটাইম করানো, প্রাপ্য ছুটি না দেওয়া, সময়মত বেতন বৃদ্ধি না করা ইত্যাদি এই ক্রাইমের অন্তর্গত। এক ব্যক্তি কোন অপরাধ করলে তা বোঝা যত সহজ, কোন প্রতিষ্ঠান যদি তার উদ্ধতর কর্মকর্তাদের যোগসাজসে এধরনের ক্রাইম করতে থাকে তবে তা হুট করে ধরা কঠিন হয়ে যায়। ফলে অনেক সময়ই অপরাধ থেকেযায় বিচার ব্যবস্থার বাইরে। আর তাই উর্দোক্তারাও এর মজা পেয়ে গেছেন ভালোবাবেই। আমাদের এখানে, গার্মেন্টস সেক্টরে এ ধরনের কর্পোরেট ক্রামই অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।

এটাকে তারা ক্রাইম মনেই করছেন না... বরং বলতে চাচ্ছেন এটা কর্পোরেট কালচার। রাসেল মল্লিক ৩১ মে, ২০০৯

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.