তোমার ডাকঘরে আসবে না আর কোন চিঠি,
কেননা এ চিঠি লিখতে বসেছি মৃত্যুরও পরে।
স্মৃতিময় চিঠির কাগজ জলের রঙ নিয়ে জন্মায়;
সেই চিঠি পড়তে পড়তে ভাবতেই পারো, আমার মৃত্যুও এক
পাখির উড়ন্ত ভ্রমণ, গন্তব্যের প্রতি প্রেরকের যাত্রা।
ধুলো ঝরে গেছে আজ চিঠির বাক্সে
আর আমার রয়েছে বাক্সভর্তি অনিশ্চিয়তার ইন্টারভিউ।
ঘুম ভাঙে স্বপ্নহীন রাতের প্রান্তে;
যখন প্রাপক হয়ে চেয়ে থাকি প্রেরকের আশায়।
অথচ প্রাপকও ভাবে না, সে নিজেই প্রেরক।
প্রেরকের ঠিকানায় প্রাপক পাঠাবে কি আর কোন চিঠি ?
পৃথিবীর প্রতিঘরে মনিটর বসিয়ে রাখছে প্রভু;
আমাদের ছোট ঘরে পৃথিবীর চিঠি এসে ভির করে
জমে আছে সকলের সাজানো মগজে।
বিজ্ঞাপনের ক্ষেতে কৃষকের হাতে সেলফোন ধরিয়ে দিয়েও আলোকায়ন- তাদের পেটে জুটাতে পারলো না খাদ্য।
কেবল নিয়ন বাতির ঝলসানিতে যতোখানি দেখছি,
ততটুকু অন্ধ হচ্ছি ক্রমশ...
আমাদের চুল থেকে বৈদ্যুতিক বিহঙ্গ উড়ে মিশে যায়
স্যাটেলাইট নিমজ্জনে। যেইখানে সভ্যতার গোলাপিবাগানে সারাদিন বিনারেটে নেটওয়ার্ক থাকে ...
কোন ফোনে কথা বলা যায় বলো সারারাত মৃতদের সাথে।
২৩.০৯.২০০৭
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।