ঢাকা শহরের বর্তমান সমস্যার মধ্যে যানজট অন্যতম এবং এই সমস্যার জন্য রিকশা প্রয়োজনের তুলনায় বেশী জায়গা দখল করে এবং ধীরগতি সম্পন্ন দায়ী করে ঢাকার বিভিন্ন রাস্তা থেকে রিকশা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। এর প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে মিরপুর রোড, এয়ারপোর্ট রোড, রাইফেলস্কয়ার থেকে আজিমপুর ইত্যাদি বিভিন্ন রাস্তায় রিকশা উচ্ছেদ করা হয়েছে। কিন্তু এতে কি দেশবাসী যানজট থেকে মুক্ত হতে পেরেছে? এতে দেশে যানজট কমেনি বরং দিন দিন যানজট বাড়ছে।
রিকশা প্রাইভেট কার এবং বাসের তুলনায় কম জায়গা দখল করে এবং অন্যান্য পরিবহনের তুলনায় বেশী যাত্রী বহন করে। তাছাড়া আমাদের দৈনন্দিন জীবনে রিকশার গুরুত্ব অপরিসীম।
ঢাকা শহরের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, শপিং মল ইত্যাদি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্বল্প দুরত্বের মধ্যে অবস্থিত । স্বল্প দুরত্বের স্থানগুলোতে বাস বা প্রাইভেট কারের তুলনায় রিকশার মাধ্যমে চলাচল করা সুবিধাজনক। তাছাড়া রিকশা জ্বালানী মুক্ত হওয়ায় তা পরিবেশ দূষণমুক্ত ও পরিবেশ বান্ধব পরিবহন।
রিকশার উপর আমাদের দেশের অনেক পরিবার নির্ভরশীল। এছাড়া পড়াশুনার খরচ চালাতেও অনেক বেকার যুবক রিকশা চালায়।
রাস্তা থেকে রিকশা উচ্ছেদ করার ফলে রিকশা চালকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। দৈনন্দিন জীবনের খরচ চালাতে তাদের হীমসীম খেতে হচ্ছে। তাছাড়া মূল রাস্তার থেকে রিকশা উচ্ছেদ করার ফলে তার পাশের বিভিন্ন ছোট রাস্তা দিয়ে চলাচল করার ফলে দুরত্ব বেড়ে যাওয়ায় নষ্ট হচ্ছে আমাদের প্রয়োজনীয় সময় এবং দিতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।
বর্তমানে আবারও যানজটের জন্য দায়ী করে প্রগতি সরণী রোডে রিকশা উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে। এতে পূর্বের মত সাধারন মানুষই ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
অতএব সাধারন মানুষের কথা চিন্তা করে এই রিকশা উচ্ছেদ বন্ধ করতে হবে এবং যানজটের জন্য প্রকৃত কারণ বের করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।