শরীর ছড়িয়ে দিয়েছি সমস্ত পৃথিবীর উপরে
আমার পিঠের চাপে সূর্যকে পায় না ঘাস
সবুজ আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিল
আমি তাই হয়েছি তার ধূসর হন্তারক।
সুর্যের গায়ে দেখি তোমাদের তীব্র আঁচড়ের দাগ
তার ঝরা রক্ত, পুঁজে লাল হয়ে আছে সাগর
আর তোমারা বলেছো”এই তো অসাধারন সুর্যাস্ত
হৃদয়ের অনন্ত থেকে মগজের দূরত্ব যে সূর্যের অন্ত
লবনের কণার ফাঁক গ’লে গ’লে চলে গেছে
ইতঃস্তত পায়ের চিনহ – চলে গেছে কোথায়
রক্তবিন্দুও তা জানে না; শুধু স্ফটিক দিনযাপন
শুধু ঘাম উড়ে উড়ে জমে ওঠা মেঘ থেকে
মাংসের উষ্ণতায় নামে শিশুর গালের রঙের বৃষ্টি।
শরীর জড়িয়ে ধরেছে পৃথিবীর সব মাটি
আমার নধর, ভারী পাথুরে দেহের চাপে
থেমে যাবে কি সব অঙ্কুরোদ্গম
রাতের সীলগালা করা বরফ অন্ধকারে
পরীর ফসিলের গন্ধ পেয়ে – এই ড্রাগন দেহ
এক অদ্ভূত রক্তবীজ ফেঁটে
হয়ে ওঠে রক্ত-পল্লবিত গাছ
মরা তারার ফসিলের নির্জন চোখের ভেতরে আছড়ে পড়া
এক বিলুপ্ত সমুদ্রের নিঃসঙ্গ ঢেউয়ের শব্দে,স্পর্শে,নোনা গন্ধে,
পুরোন আগুনের নতুন করে জেগে ওঠা উৎসে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।