বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখা দুই আহ্বায়কের হাতে জিম্মি। দীর্ঘ দিনেও যেমন কাউন্সিল করেনি, তেমনি কাউকে দায়িত্বেও যুক্ত করছে না। এ নিয়ে জেলা ও উপজেলার নেতাদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও হাতাশা বিরাজ করছে।
জানা যায়, ২০১১ সালের ১৯ এপ্রিল একজনকে আহ্বায়ক ও পাঁচজনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ছয় সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। গঠনতন্ত্র মতে কমিটিকে ৯০ দিনের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার কথা। কিন্তু ওই ৯০ দিনের কমিটির বয়স এখন ৮৫৪ দিন। এদিকে কমিটির আহ্বায়ক আবদুল মালেক জনি দলীয় কর্মীদের হাতে খুন হন চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি। এ ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে তিন যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে যুগ্ম আহ্বায়ক সালাউদ্দিন সাকিকে আহ্বায়ক ও নুরুল আমিনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে গঠিত হয় জেলা কমিটি। অভিযোগ আছে, এ দু্ই আহ্বায়ক জেলা কমিটিকে জিম্মি করে রেখেছেন। মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় নতুন করে কমিটি করতে বললেও তারা অনীহা প্রকাশ ও অসহযোগিতা করে আসছেন। এই কারণে উপজেলা ও কলেজ কমিটিগুলোও নতুন করে গঠন করা হচ্ছে না। এর মধ্যে আনোয়ারা উপজেলা কমিটি এক বছর আগে বিলুপ্ত হয়।
পটিয়ায় আছে আট বছর আগের বিভক্ত দুটি আহ্বায়ক কমিটি। আর বোয়ালখালিতে ১০ বছর ও বাঁশখালীতে আট বছর আগের আহ্বায়ক কমিটি থাকলেও লোহাগাড়া, চন্দনাইশে কমিটিই নেই। জেলার কলেজগুলোরও একই অবস্থা। পটিয়া সরকারি কলেজে অনুমোদনহীন দুটি আহ্বায়ক কমিটি, আনোয়ারা কলেজেও একই অবস্থা। বোয়ালখালি স্যার আশুতোষ ডিগ্রি কলেজ, পশ্চিম পটিয়া এজে চৌধুরী কলেজ, পটিয়া ছালেহ নুর কলেজ, চন্দনাইশ গাছবাড়িয়া ও বরমা কলেজ, বাঁশখালী ডিগ্রি কলেজ ও পৌরসভায় কোনো কমিটি নেই বলে দলীয় সূত্রে জানা যায়। আহ্বায়ক সালাউদ্দিন সাকী বলেন, নানা কারণে এতদিন পর্যন্ত উপজেলা কমিটিগুলোর কাউন্সিল করা হয়নি। তবে কেন্দ্রের নির্দেশ ইউনিট কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিয়েছি। ইতোমধ্যে বিভিন্ন উপজেলা কমিটি গঠনের জন্য এক মাসের কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর বোয়ালখালি শাখার কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হবে।
ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, দুজন দিয়ে জেলার কার্যক্রম চলছে। কিন্তু নতুন করে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া এখনো শুরু হয়নি। আগামী নির্বাচনের আগে কমিটি গঠন করা হতে পারে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।