I am what I am and that's how I would be. No I am not stubborn. I just want to be myself.
আমি পিশাচ, কারণ আমার এখন পৈশাচিক উল্লাস হচ্ছে! যত্রতত্র পড়ে থাকা অগণিত মরদেহ আমার প্রতিটি শিরায় শিরায় আনন্দের উত্তেজনা বইয়ে দিচ্ছে। এই হত্যাযজ্ঞের পেছনে আমার অনেক মেধা ও শ্রম দিয়েছি; দিনের দিনের পর দিন ঠান্ডা মাথায় প্ল্যান করেছি! নিজের গা বাঁচিয়ে কিভাবে একযোগে এই গণমৃত্যু ঘটানো যায় তার জন্য অনেক চিন্তা-ভাবনা করে গতকাল রাতটাই বেছে নিয়েছি। বাচ্চাদের তাড়াতাড়ি ঘুম পাড়িয়ে কর্তাকে ও ঠেলে বিছানায় মশারির ভেতরে ঢুকিয়ে আমি নিশ্চিন্তমনে মৃত্যুফাঁদ পেতেছি একের পর এক।
আজ স্কুল ছুটি, ওনার অফিস নেই। ওরা এখনও ঘুম।
আর আমি?? নিজের বাহাদুরিতে নিজেকে নিজেই বাহবা দিচ্ছি, "সাবাশ, শাফ্ক্বাত! তোমার পক্ষেই সম্ভব!!"
আমার অনেক অনেক রাগ ছিল ওদের সবার উপর। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস আমি চুপচাপ সহ্য করেই গিয়েছি। এতটা নৃশংস আমি হতে চাইনি! কিন্তু কী করবো ওরা যদি সীমা অতিক্রম করে?
কিলবিলে কালো তেলাপোকাগুলো আমার বাচ্চার পড়ার বই ছিঁড়ে ফেলেছে! রান্নাঘরের কোণায়কানায় গু ছড়িয়ে রেখেছে সবসময়। আমি তা-ও সহ্য করেছি। বাসায় আমি ছাড়া কাজের লোক নেই, কোনও ব্যাপার না, ধৈর্য্য ধরে ধরে ওদের অপকর্মের ছাপ মোছার চেষ্টা করেছি।
দিনের পর দিন। প্রতিদিন।
কিন্তু যখন কাক-ফাটা গরমের এক মধ্যান্হে দেখি আমার ঘুমন্ত শিশুর পা-কামড়াচ্ছে, তখনই মাথায় আগুন ধরে গেল! তোরা আমার ঘরে থাকিস, আমারটা খেয়ে পড়ে বাঁচিস, আর আমার বাচ্চার উপর এই জুলুম!? তাদের সাহস দেখে আমি অবাক হয়ে গেলাম!
তখনই সিদ্ধান্ত নিলাম এদের সমূলে বিনাশ করতে হবে। নির্বংশ করতে হবে। ঘরের সবাইকে মশারির নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠিয়ে দিয়ে আমি গভীর রাতে শুরু করলাম তেলাপোকার বিষ ছড়ানো।
ঘরের কামরার পর কামরা, ফার্নিচারের পর ফার্নিচার, দেয়াল, দরজা সবজায়গায় মহাসমারোহে করলাম চকের আঁকিবুকি। নিশ্চিত করলাম তারা প্রতি পদক্ষেপে যেন বিষাক্ত যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকে। যেন সকালে ঘুম থেকে উঠেই আমি তাদের গুষ্ঠি-ছাওয়াল সবকয়টাকে ঠান্ডা-মৃত দেখতে পাই!
উফ্!! কী যে আনন্দ!! আমাকে এখন এক-এক করে সারা ঘরের বিষের দাগ মুছতে হবে, নিজের পাশবিকতার কোনও প্রমাণ রাখা যাবেনা। আমাকে সারা ঘর ঝেঁটিয়ে ওদের ক্লেদাক্ত শরীরগুলো চোখের আড়াল করতে হবে। অনেক শ্রমের কাজ, কিন্তু অনেক আনন্দেরও!!
আমি কি পিশাচ? আমি তবে খুনী? মু-হা-হা-হা-হাআআআআ!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।