আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কি করুম!!!

জীবনটা যেন এক বর্ণীল প্রজাপতি

মাঝে মাঝে কিছু করতে ইচ্ছা না করলেও করতে হয়!!!/# কাইল রাইতে ঘুমাইতে ঘুমাইতে বাজছে একটা। তারপরে, ভোরবেলাত আব্বা টাঙ্গাইল যাবে, জানতাম। তাই, এলার্ম দিয়া রাখছি ভোর ছয়টা বাজে বিশ মিনিটে উঠমু ঠিক কইরা রাখলাম। কিন্তুক শালার ঘুমটা ভাইঙ্গা গেল পৌনে ছয়টায়। মেজাজটা খারাপ হয়না!!! ঊঠতে হইলই।

কারন, বথরুমে যাইতে হবে। গ্যালাম। বাইর হইতেই আম্মা ডাকল, "শোন, তোমার আব্বারে চা-নাশতা দ্যাও। একটু পরে যাবেগা। " জ্বালা!!!আমি ভাবলাম, এট্টু শুইয়া আবার একটু পরে উঠবনে।

যত্তসব!! কি আর করা! যা কইছে কইরা দেই। নাইলে আবার দেরী হইয়া গ্যালে আব্বায় নাশতা না-খাইয়াই যাবেগা। অথবা, দ্যাখা যাবে, আমার মায়ের চুলার কাছে যাওন নিষেধ হইলেও, উনিই যাইবগা নাশতা বানাইতে। আর, একবার নাশতা বানায়া আবার শুইলে আর কি ঘুমে ধরে?!! শুইয়া থাকাই সার! তারপর, আবার কিছুক্ষণ পরেই উঠা লাগলো। আম্মার জন্য চা বানাইতে।

নাইলে বুয়ারে বানাইতে দিবে। আমাদের বুয়া আবার রু্টি বানানো ছাড়া ভাল ধরনের আর কোন কাজই পারেনা। চা বানাইতে দিয়া শ্যাষে দেখা যাইবো, দুধের অপচয় হইছে। তাই, সকালে একটু কষ্ট হইলেও আমিই বানাই। আজকে ঘুমের থিকা উইঠা অনেক কাজ আছে আগেই জানতাম।

আজকে বড় চাচিরা আম্মাকে দ্যাখতে আসবে। দুপুরে যদি আসে, তাহলে রান্নাটা ভাল কইরা করতে হবে। একটু বেশি পরিমানেও করা দরকার। মেহমান বইলা কথা। তাই সকাল সকাল বাজার করা দরকার।

কিন্তু, আজকেই আমার কোন কাজ করতে ইচ্ছা করতেছেনা!!! মনে হইতাছে আচ্ছা মতন কোল বালিশটা লইয়া একটা উলটা-পালটা হইয়া ঘুম দিতে!!! শরীরের মইধ্যে ম্যাঁজম্যাঁজ করতাছে। কিন্তুক, কিছুই করার নাই। সবই করা লাগব। তার ওপর আবার কিছু নাশতা-পানিরও ব্যবস্থা করা লাগব। আজকে আর ঘুম পাড়ার এক ফোডা সময়ও নাই।

বিকালে পাঁচটায় আবার পড়তে আসব। চলব সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত। তারপরে যদি ছুটো ভাই বাসায় থাকে আর জাগনা থাকে তাইলে আম্মার চোখের ওষুধ দেয়ার বেপারটা নিশ্চিন্ত। তারপরে যদি একটূ ঘুমাইতে পারি!!!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।