আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পঁচিশ



একাকিত্ব আর চার দেয়ালের বন্দিত্বের যন্ত্রণা নিয়ে নাকি-কান্নার নাসারন্ধ্রী-নালিশি-সুরে, সালিশি-স্বরে একপ্রকার গঞ্জনা দিয়েই বৃত্তান্ত দিলো ছেলেটি: সবই নীল-কষ্ট দিনযাপনের ঘুমজড়ানো শূন্যতার। আমি বার বার তাকে থামিয়ে দিতে চেষ্টা করি। গলা চড়াই। হাত উঁচাই। আঙুল চটকাই-- বলতে চাই--জানি আমি।

পেরিয়ে এসেছি; ঠিক একই পথ নয়, কিন্তু অনেকটা একই পথ! আর এগুতে না পেরে বলি : বুঝানো যাবে না সব--পাখির কিচিরমিচির পশু-মানুষের কলরব! কিন্তু জানি আমি... কিন্তু ছেলেটি থামে না। আমি থামি। শুনি আমি সেসব--সেইসব; শৈশব থেকে...নিতান্তই একান্তই ব্যক্তিগত তারপর, তারপর, তারপর, তারপর... মনে মনে ধমক দিয়ে থামালেও বাস্তবে চমক দিয়ে থামালাম। কণ্ঠে ছটাকখানেক মধু চটকে দিয়ে আমার পক্ষে যত চমৎকারভাবে থামানো সম্ভব সেভাবে থামিয়ে বললাম-- তোমার বয়স কত? বললো সে; শুনলাম। শুনতে চান? ‘পঁচিশ।

’ এ গল্প যখন পাঁচমুখ হলো একজন আশ্চর্য হলেন এবং বললেন, ও পঁচিশ নিয়ে এত বাড়াবাড়ি! আরেকজন সবকিছুর পেছনেই খুঁজে পেলেন নারী! আরেকজন কারো কোনোপ্রকার বোঝাবুঝির ধার না-ধেরেই উপদেশ দিলেন; ছেলেটিকে পাঠিয়ে দিন তার গ্রামের বাড়ি, মায়ের নাড়ি, সবুজপ্রান্তর, বিশাল নীলাকাশ, আর রকমারি জলাশয়ের কাছে। ইঙ্গিতপূর্ণভাবে কে একজন প্যাঁ পোঁ করার মতো প প করতে লাগলেন। আমি অবশ্য এখনো ভাবছি; ছেলেটিকে আসলে কী করা যায়! কী বলা যায়!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।