যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
এ সংবাদ মর্তলোকের কোথাও প্রকাশিত হবার কথা না থাকলেও খোদ ইজরায়েলেই প্রকাশিত। গাজায় ২২ দিন ব্যাপী হত্যাযজ্ঞে জড়িত সৈন্যরা অকপটে বলেছে তাদের অভিজ্ঞতা। ২১শে মার্চ প্রথম আলোর ৯ পৃষ্ঠায় এপি ও ব্রিটেনের ইন্ডিপেন্ডেট পত্রিকার সূত্রে লিখেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একজন স্কোয়ার লিডারের কথা। আবিব নামের ঐ সৈন্য তাদের সাবেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বলেন,
"যে কোন বাড়িতে ঢুকেই নির্বিচারে গুলি শুরু করার নির্দেশ ছিল আমাদের ওপর। যাকে সামনে পাব, তাকেই হত্যা করার নির্দেশ ছিল।
তখন আমি নিজের কাছেই প্রশ্ন করেছি, কীভাবে এ হত্যা তাৎপর্যপূর্ণ হতে পারে? কিন্তু আমাদের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বুঝিয়েছেন যে গাজা থেকে না পালানোই এখানকার অধিবাসীদের অপরাধ। তাই গাজায় থেকে যাওয়া সবাইকে মেরে ফেলা যুক্তিযুক্ত। "
মনে হচ্ছে সৈন্যদের হুকুম পালন করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। তখন তাদের আবেগ, স্বাভাবিক বিচারবুদ্ধি প্রয়োগের কোন সুযোগ নাই, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা যা আদেশ দেন সেটা পালন করাই তখন কাজ - হত্যা অথবা যেকোন জঘন্য অপরাধ করতে বলা হোক না কেন সবই তারা তখন করতে পারে। আরেকজন সৈনিক র্যাম বলেছেন আরো ভয়াবহ কথা।
"একটি পরিবারকে মুক্তি দিয়ে ডান দিকে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু পরিবারটি আমাদের ভাষা না বোঝায় বা দিকে রওনা দেয়। ওদিকে কারও যাওয়ার অনুমতি ছিল না। ফলে একজন সেনা খুব কাছ থেকে মা ও তার দুই সন্তানকে গুলি করে হত্যা করে। আমার মনে হয় ওই সেনা কোন দুঃখও পায়নি।
কারণ সে নির্দেশ পালন করেছে। অভিযানের পরিবেশ ও সেনাদের আচরণ দেখে আমি এতটুকুই বুঝেছি যে আমাদের সৈনিকদের তুলনায় ফিলিস্তিনিদের জীবন অনেক অনেক কম মূল্যবান। "
এইসব সৈন্যরা তাদের বসদের হুকুমে হত্যা করেছে নির্বিচারে। একজন সৈন্য অথবা একজন সাধারণ মানুষ যা অপরাধ মনে করে সৈন্যবাহিনীর পরিচালকদের চোখে/রাষ্ট্রের চোখে সেটা অপরাধ যদি না হয় তবে সেই রাষ্ট্র কিসের ভিত্তির উপরে দাড়িয়ে? সে রাষ্ট্রে কি মানুষ বাস করে?
সবচেয়ে কৌতুককর দাবী করেছেন এহুদ বারাক। সৈন্যদের এভাবে খোলাখুলি মনের কথা বলে ফেলায় চাপে পড়া ইজরায়েলী সরকারের এই প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইজরায়েলের সেনাবাহিনীকে বিশ্বের সবচেয়ে নৈতিক বাহিনী হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন! হো হো হো! ইচ্ছে হচ্ছে এহুদ বারাকের মুখের মধ্যে মুতে দেই!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।