আমি অবাক চোখে বিশ্ব দেখি, দৃশ্য সাজাই চোখের তারায়......
‘এমন এক সময় আসে সকলেরই জীবনে যখন ব্যর্থতাগুলোকেই মনে হয় সফলতা, আর সফলতাগুলোকে মনে হয় ব্যর্থতা। ’
-ড. হুমায়ুন আজাদ
‘স্লামডগ মিলিয়নিয়ার’ বর্তমান সময়ের সবচে আলোচিত ছবি। এবার অস্কারে ১০টি বিষয়ে মনোনয়ন পাওয়ার পর ৮টিতেই শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করেছে এই ছবিটি। চলতি সংখ্যা দেশ পত্রিকায় এবার এই ছবিটি নিয়ে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। কাল পড়লাম।
পড়ে মনে হল এই ব্যাপারটা নিয়ে লেখা দরকার। প্রতিবেদনটিতে ছবিটিকে মূল্যায়ন করা হয়েছে ‘না নন্দন- মার্কা হ-য-ব-র-ল’ হিসেবে। প্রতিবেদক বলেছেন এই ছবিটি ভারতে তেমন দর্মকপ্রিয়তা পায় নি। কারণ এই ছবিতে ভারতীয়দের নাকি তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা হয়েছে। এই ছবিতে এমন কোন শৈল্পিকতা নেই যা তার অস্কার পাওয়ার যোগ্যতা প্রমাণ দেয়।
এই ছবিটির অস্কার পাওয়ার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে ছবির পরিচালক একজন ইংরেজ, তাই এই ছবিকে অস্কার দেয়া হয়েছে। পুরো প্রতিবেদনটির প্রথম দিকে প্রতিবেদক এই ছবিটিকে চরম বাজে হিসেবে প্রায় স্কীকৃতি দিয়ে ফেলেছেন (তবে মাঝে আবার বলেছেন ভারতীয় সকলের পরফরমেনস্ খুব ভালো হয়েছে!!)। আর তা থেকে মনে হবে দেশপ্রেমের কারণে সবাই স্লামডগকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। প্রতিবেদক সরাসরি বলেছেন- স্লামডগ মিলিয়নিয়ারের অস্কার জয়ের সঙ্গে ভারতীয়তার উদযাপন মিলিয়ে দেওয়া যায় না, কারণ এটি ইংরেজদের তৈরী ছবি। এই মন্তব্যটি পড়ে খুব সন্দিহান হয়ে পরেছি; এই মন্তব্যটি কী ভারতীয়দের দেশপ্রেমের কথা ইঙ্গিত দেয় নাকি তাদের সাম্প্রদায়িকতার?
কারণ প্রতিবেদনের শেষে আবার প্রতিবেদক নিজেই খেদ প্রকাশ করেছেন বলিউডের পরিচালকদের ওপর।
তারা কেন পারে নি, এমন একটা ছবি বানাতে।
যে ছবি বাজে তা বানানোর দরকার কী? দেশ পত্রিকার এ দ্বিমুখি মনোভাব বেশ আশ্চর্যজনক বলে মনে হলো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।