লেখক হিসেবে নিজেকে প্রকাশে আছে যথেষ্ট অনীহা,অনুরূপভাবে কাজী আবেদ হোসেন কে ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত করতে অনিচ্ছারও কোন কমতি নেই। । ব্যক্তি কাজী আবেদ হোসেনকে নয় বাস্তবতার নিরিখে গড়া ,দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ,সৎ,সততা আর নিষ্ঠার সাথে কর্মে প্রত্যয়ী,কর্মে জয়ী “কাজী আবেদ হোসেন”আমার লেখণীর এক মর্মস্পর্শী সৃষ্টি । তাকে আমি কখনোই দেখিনি তবে তার কর্মকান্ড নিয়ে লেখাগুলি প্রায় সবগুলি জাতীয় পত্রিকায় পড়েছি। তার কর্মকান্ডগুলো এতই বাস্তবতা নির্ভর যা হৃদয়কে স্পর্শ না করে পারে না।
তার কর্মকান্ডগুলো পড়ে আর তার কর্মকান্ডগুলো নিয়ে মিডিয়াতে বিভিন্ন প্রতিবেদন দেখে এতই মুগ্ধ হই যে,তার প্রতি শ্রদ্ধায় আমার মাথা আপনা আপনি অবনত হয়ে আসে এবং আমি ঠিক করি এই মহান পুরুষকে নিয়ে আমি লিখব। বহুদিনের প্রচেষ্টায় নিজের উদ্যেগে আমি লেখায় মনোনিবেশ করি। আমার লেখণীর অনুপ্রেরণা কাজী আবেদ হোসেনের সৃজনশীল সব কর্ম। তিনি দেশের জন্য কাজ করেছেন স্বশরীরে ,আমি চেষ্টা করছি নিজে সচেতন হতে আর লেখণীর মাধ্যমে সবাইকে সচেতন করতে। কেননা দেশটা আমাদের সবার।
দেশের প্রতি প্রবল ভালবাসার টানে আমার কলম আজ এগিয়ে যাবে” নবম ”পর্বে। সেই “শিয়ালজানি”খাল যাকে পুনরুদ্ধারে কাজী আবেদ হোসেনের চেষ্টার নেই কোন ত্রুটি । খালটিকে নব রূপে সজ্জিত করার প্রয়াসে তিনি গভীর রাতে ছুটে চলেন গ্রামের পর গ্রাম। গ্রামবাসীকে জড় করেন আর খাল সম্পর্কে অবগত করতে থাকেন। তিনি তাদের উদ্দেশ্যে বলেন-”আপনারা নিজেরাই ভেবে দেখুন আপনারা অর্থাৎমোহনগঞ্জবাসী কত ভাগ্যবান যে পরম করুণাময় মহান আল্লাহপাকের অশেষ রহমতে আপনারা এত সুন্দর একটা খাল পেয়েছেন ”।
অথচ আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ নবী মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) যে আরব দেশে জন্মগ্রহণ করেছেন সেখানে এমন সুন্দর খাল নেই” । শুধু সুন্দরই নয় সেখানে পানির উপস্থিতি খুব একটা পরিলক্ষিত হয় না। আল্লাহর রহমত হিসেবে প্রাপ্ত প্রকৃতির এই অপার মহিমাকে শুধুমাত্র অবহেলা,অসচেতনতা আর স্বার্থের প্রয়োজনে ভরাট করে ফেললাম?এটা কোন ব্যক্তিগত সম্পদ নয় । এটা আপনার আমার আমাদের সবার তথা দেশের সম্পদ আর একে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের সবার। গ্রামবাসীকে সচেতন করতে টানা ৩ মাস ধরে তিনি গভীর রাতে গ্রামের পর গ্রাম ছুটে যান আর প্রতিদিন রাত ২টা-৩টা পর্যন্ত তাদের সাথে সভা করেন।
তিনি তাদের আরো বললেন,খালটিকে যদি আমরা তার পূর্বের অবস্থানে ফিরিয়ে দিতে পারি তবে খালটি অকৃপণভাবে আমাদেরকে দান করবে স্বচ্ছ পানি,খালের পাড়ের গাছপালা দিবে নির্মল বাতাস আর বিশুদ্ধ হবে পরিবেশ। খালটি যখন স্রোতধারা ফিরে পাবে তখন খালে ফিরে আসবে মাছ,মাছেদের বংশ বিস্তার হবে আর সেই মাছ পুরো মোহনগঞ্জবাসীর চাহিদা পূরণ করবে। পুরো গ্রামবাসী মন্ত্রমুগ্ধের মত তার কথা শুনছিলেন। তিনি আবারো বলতে শুরু করলেন খাল -খনন কর্মসূচীর কথা আপনারা শুনেছেন যাতে সরকারের অর্থ ব্যয় হয় কিন্তু সরকারের কোন অর্থ ব্যয় না করে কোন ধণাঢ্য ব্যক্তির সহযোগীতা ব্যতিরেকে সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাশ্রমে অভিনব পদ্ধতিতে পুরো মোহনগঞ্জবাসী কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হাতে হাত রেখে অকৃপণভাবে খালটি খনন করব। এভাবে গ্রামবাসীকে নিয়ে তিনি ৩০-৪০টি সভা করলেন আর তাদের মনোভাব বুঝতে লাগলেন।
দেখা গেল বেশীর ভাগ লোকই খালটি খনন করতে রাজী শুধুমাত্র গুটি কয়েক স্বার্থান্বেষী মহল ছাড়া অর্থাৎ[ অবৈধ স্থাপণার মালিকগণ]। তিনি গ্রামবাসীকে পরিপূর্ণ ভাবে খাল খননের কাজে উদ্বুদ্ধ করার জন্য তাদেরকে মানসিকভাবে সচেতন কল্পে আয়োজন করলেন খাল খননকে কেন্দ্র করে রচিত মৌলিক গান,ছড়া,কবিতা আর নাটকের। যা গ্রামবাসীর উদ্দেশ্যে নিয়মিত প্রচার হতে থাকে। ”শিল্পীর তুলির ছোঁয়ায় রংয়ের খেলায় যেভাবে ফুটে ওঠে গ্রাম-বাংলার অপরূপ ছবি অনুরূপভাবে তার যাদুকরী শাণিত মেধা আর বুদ্ধির স্বমন্বয়ে মোহীত হয়ে খাল খননে উৎসাহিত হচ্ছিল পুরো মোহনগঞ্জবাসী।
(চলবে)
বিঃদ্রঃ[লেখণীর তথ্যসূত্র শেষ পর্বে প্রকাশিত হবে)।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।