পরে
আমার এক বন্ধু একটু আগে ফোন করেছিল। সে ঢাকা মেডিকেল কলেজে গিয়ে দুজন আহত জওয়ানকে দেখতে পায়। নিজেকে তাদের কাছে সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে জানতে চায়, তারা কীভাবে আহত হলেন, হতাহত হয়েছেন আরও কতজন। সাংবাদিক পরিচয় শুনে আহত জওয়ান দুজন আমার বন্ধুটির সঙ্গে কথা বলতে রাজি হয় না। তাদের মুখে কেবল এক রা, 'আমরা কিছুই জানি না।
'
তারা মিডিয়াকে এত ভয় পাচ্ছেন কেন? পিলখানায় তারা কী দেখে এসেছেন, যা প্রকাশ করতে তাদের এত ভয়?
প্রকৃত হতাহতের সংখ্যা আসলে কত? বিবিসিসহ কয়েকটি জায়গায় বলছে, কেবল একজন বেসামরিক ব্যাক্তির মৃত্যুসংবাদ নিশ্চিত হয়েছে তারা। বিকেলবেলা মুন্নী সাহার রিপোর্টে আবার শুনলাম, এক সৈনিক বলছে, একজন আর্মি অফিসার নিহত হয়েছন তাদের হাতে। সুয়ারেজ লাইন থেকে ভেসে উঠেছে দুজন জওয়ানের মৃতদেহ - এ খবর পেলাম এবিসি রেডিওতে। ডয়েসভেল রেডিওর ওয়েবসাইটে দেখলাম, মৃতের সংখ্যা কম করে হলেও ১২।
আমার বন্ধুটি মোবাইল ফোনের মধ্যেও ফিসফিস করে বলল, তার এক বিশ্বস্ত সোর্স তাকে খবর দিয়েছে, পিলখানার ভেতরে কম করে হলেও ৫০ জন সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন।
প্রকৃত হতাহতের খবর আসবে তো মিডিয়ায়? স্বজনরা লাশগুলো ফেরত পাবেন তো? নাকি বাংলাদেশের ইতিহাসের আরো কিছু অন্ধকার দিয়ে লেখা হবে আরো কিছু নাম - যেগুলো কখনও ঠিক পড়ে ওঠা যাবে না...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।