সাদামাটা কথা তোমার আমার কাছে কিন্তু ওদের কাছে অন্যকিছু... ওটা যে ভালোবাসা। পথও চলা শুরু ও করল তারা। এই ১৪ই ফেব্রু্য়ারীতে ছেলেটা একটা gift কিনলো। দুটো লকেট। মেয়েটা পরলো ছেলেটার ছবি দেয়া লকেটটা আর ছেলেটা মেয়েটার।
তার ঠিক দুদিন পর ছেলেটার থেকে জরুরী ফোন এলে ও রাতের বাসে রওনা দিলো কুড়িগ্রামের উদ্দেশ্যে। বউ ঘরে একা.. ওর আবার ভূতের ভয় আছে...কদিন ধরে জ্বর জ্বর ভাব...এবার ঢাকায় ফিরে একটা full checkup করাতে হবে... এই টাইপের hubby মার্কা চিন্তা। লকেটটা খুলে দেখে... হাসি হাসি প্রিয় মুখ। চোখটা একটু বুজে আসে। গাড়ি চলছে।
হঠাৎ প্রচন্ড শব্দ... এরপর বাসে আগুন।
মেয়েটা খুবই চিন্তিত। ৩ দিন হলো ওর কোনো খবর নেই। এটো ভুলো মন যে mobile phoneটাও রেখে গেচ্ছে। চিন্তায় ছোট বোনকে ফোন দিলো।
ও জানতে চাওয়াতে বললো কুড়িগ্রামের কথা। তখনই জানতে পারল বাস দূর্ঘটনা হ্য় ঐ রাতে। মেয়েটা একা ছুটে যায় ওখানকার লোকাল থানায়। ডি্উটিতে থাকা অফিসার ভালোই ব্যবহার করলো। বললো যারা আহত হয়েছে তার মধ্যে ওর স্বামীর নাম নেই।
মারা যাওয়াদেরও মাঝে নেই। কি একজন মেয়ে মারা গেছে যার চেহারা, শরীর সব পুড়ে গেছে। শুধু একটা ছবি আছে। হাঁফ ছেড়ে বাঁচে ও। ভাবে ওর কিছু হ্য়নি।
থানা থেকে বের হবার মুখে ওর চোখ আটকে গেলো ঐ থানার নোটিশ বোর্ডটার দিকে। একটা লকেট আর ওর ছবি। যা জানার জানা হলো, সময় যেন থেমে গেলো।
বাইরে পা রাখলো ও। নিজেকে আজ মৃত লাগছে।
আজ ওরই ছবিতো থানার মৃতের তালিকায়। আর ওর ভালোবাসা মরেও মরেনি। লকেটটে খুলে দেখে পাগলের মত হাসে। বলে উঠে তুমি মরনি, মরেছি আমি। পথ চলে যাচ্ছে ঐ মৃত মেয়েটাকে নিয়ে.... কতটুকু দূরে আমি, তুমি, আমরা কেউ জানি না।
s-day1.jpg
সাদামাটা কথা তোমার আমার কাছে কিন্তু ওদের কাছে অন্যকিছু... ওটা যে ভালোবাসা। পথও চলা শুরু ও করল তারা। এই ১৪ই ফেব্রু্য়ারীতে ছেলেটা একটা gift কিনলো। দুটো লকেট। মেয়েটা পরলো ছেলেটার ছবি দেয়া লকেটটা আর ছেলেটা মেয়েটার।
তার ঠিক দুদিন পর ছেলেটার থেকে জরুরী ফোন এলে ও রাতের বাসে রওনা দিলো কুড়িগ্রামের উদ্দেশ্যে। বউ ঘরে একা.. ওর আবার ভূতের ভয় আছে...কদিন ধরে জ্বর জ্বর ভাব...এবার ঢাকায় ফিরে একটা full checkup করাতে হবে... এই টাইপের hubby মার্কা চিন্তা। লকেটটা খুলে দেখে... হাসি হাসি প্রিয় মুখ। চোখটা একটু বুজে আসে। গাড়ি চলছে।
হঠাৎ প্রচন্ড শব্দ... এরপর বাসে আগুন।
মেয়েটা খুবই চিন্তিত। ৩ দিন হলো ওর কোনো খবর নেই। এটো ভুলো মন যে mobile phoneটাও রেখে গেচ্ছে। চিন্তায় ছোট বোনকে ফোন দিলো।
ও জানতে চাওয়াতে বললো কুড়িগ্রামের কথা। তখনই জানতে পারল বাস দূর্ঘটনা হ্য় ঐ রাতে। মেয়েটা একা ছুটে যায় ওখানকার লোকাল থানায়। ডি্উটিতে থাকা অফিসার ভালোই ব্যবহার করলো। বললো যারা আহত হয়েছে তার মধ্যে ওর স্বামীর নাম নেই।
মারা যাওয়াদেরও মাঝে নেই। কি একজন মেয়ে মারা গেছে যার চেহারা, শরীর সব পুড়ে গেছে। শুধু একটা ছবি আছে। হাঁফ ছেড়ে বাঁচে ও। ভাবে ওর কিছু হ্য়নি।
থানা থেকে বের হবার মুখে ওর চোখ আটকে গেলো ঐ থানার নোটিশ বোর্ডটার দিকে। একটা লকেট আর ওর ছবি। যা জানার জানা হলো, সময় যেন থেমে গেলো।
বাইরে পা রাখলো ও। নিজেকে আজ মৃত লাগছে।
আজ ওরই ছবিতো থানার মৃতের তালিকায়। আর ওর ভালোবাসা মরেও মরেনি। লকেটটে খুলে দেখে পাগলের মত হাসে। বলে উঠে তুমি মরনি, মরেছি আমি। পথ চলে যাচ্ছে ঐ মৃত মেয়েটাকে নিয়ে.... কতটুকু দূরে আমি, তুমি, আমরা কেউ জানি না।
(লিখাটা আমি লিখতাম না... আমার বন্ধুবউকে ফোনে বললাম আর ও জোরাজুরি করলো বল্গে লিখার জন্য... তাই এটা তোমার জন্য)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।