“মধ্যদুপুর বড়ই আশ্চর্য সময়। ভূতে মারে ঢিল এবং অদ্ভূত কোনো কারণে কিছু সময়ের জন্য আকাশটা আয়না হয়ে যায়। হিমু হাঁটতে বের হয়েছে মধ্য দুপুরে। তার হাতে ছোট একটা দুপুর মনি গাছের চাড়া। সেখানে চার পাঁচটা ফুল।
এখনো ফুটেনি। মধ্য দুপুরে ফুটবে। হিমু ফুল ফোটার সঙ্গে সঙ্গে আকাশের দিকে তাকাবে। নিজেকে দেখার চেষ্টা করবে আকাশ আয়নায়। ” হুমায়ূন আহমেদ এর “হিমুর মধ্য দুপুরে” চট্টগ্রামের তিনটি বই মেলা যথাক্রমে ডিসি হিল, লাল দিঘীর পাড় ও মুসলিম হল এ বিক্রি তালিকায় সর্বাধিক সংখ্যক বই।
এছাড়া হুমায়ূন আহমেদ এর অন্যান্য বই সমূহ এখনো তরুন-তরুনীদের নিকট সর্বাধিক জনপ্রিয়। বই বিক্রির তালিকায় দ্বিতীয়স্থানে আছে তারই ভাই মুহাম্মদ জাফর ইকবালের সায়েন্টেফিক বই সমূহ। উপরোক্ত দুই ভাইয়ের বই ছাড়াও সুমন্ত আসলামের বই ঐবষষড় ঠকবাজ, দন্ত্যন রুহমান” এরও বিশেষ কাটতি রয়েছে। নানাবিধ সমস্যা সংকুল পরিবেশ-প্রতিবেশের মধ্যে থেকেও এবারের বই মেলায় চট্টগ্রামের লেখকদের প্রায় শতাধিক বই বেরিয়েছে কিন্তু ডি.সি.পার্ক ও লালদিঘীর পাড়ে অনুষ্ঠিত বই মেলায় প্রকৃতপক্ষে বই মেলার যথার্থ পরিবেশ না থাকার প্রেক্ষিতে সৃজনশীল প্রকাশনা সংস্থাগুলো ১৭-২৩ তারিখ পর্যন্ত চট্টগ্রাম মুসলিম হলে আলাদা করে মেলার আয়োজন করে। অন্য দুটি মেলায় অনেকটা রাজনৈতিক আঙ্গীক ও বই মেলার অনুকূল পরিবেশ না থাকার তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে লেখক ও প্রকাশকরা।
তাদের দাবী বাংলা একাডেমীর আঙ্গিকে চট্টগ্রামে একটি মেলায় যথেষ্ট তাতেই বই মেলার প্রকৃত আমেজ সৃষ্টি হবে। চট্টগ্রাম থেকে এবারও সর্বাধিক বই তিনটি বই মেলা
প্রকাশ করেছে বলাকা প্রকাশন। তারপরেই আছে শৈলী প্রকাশন অন্যান্য প্রকাশনের মধ্যে কালধারা, কথন, বহমান বাংলা শব্দচাষ প্রকাশনেরও এসেছে বেশ কিছু বই। বলাকা থেকে প্রকাশিত বেলাল চৌধুরীর মুহূর্ত ভাষ্য, কামাল লোহানীর শ্রদ্ধাঞ্জলি, মহীবুল আজিজের অস্তিত্বের সমস্যা এবং লেখালেখি, জসীম চৌধুরী সবুজের গন্তব্য অজানাও চট্টগ্রাম: সমকালীন প্রসঙ্গ, অভীক ওসমানের প্রয়াত ৫জন ও ইবসেন, আহমদুল ইসলাম চৌধুরীর কালান্তরের দৃষ্টিপাত, শিশির বড়–য়ার তিন প্রজ্জ্বলিত সূর্য এবং অন্যান্য, মাছুম আহমেদের রাজা রামমোহন রায়ের দর্শন আলোচনার সার-সংক্ষেপ ইত্যাদি প্রবন্ধের বই।
বলাকার ইতিহাস ও গবেষণাবিষয়ক বইয়ের তালিকায় আছে মুহাম্মদ শামসুল হকের স্বাধীনতার সশস্ত্র প্রস্তুতি: আগরতলা মামলার অপ্রকাশিত জবানবন্দি, প্রভাংশু ‘ত্রিপুরার ত্রিপুরা জাতির ইতিহাস ও সংস্কৃতি’, মো. আবদুল বাতেনের বাংলাদেশের ম্রো উপজাতির জীবনধারা ও মহেশখালীর আদিনাথ মন্দিরের ইতিকথা, জামাল উদ্দিনের ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম’ ও মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম, আমান উল্লাহ চৌধুরীর চট্টগ্রামের ইতিহাস ও ঐতিহ্য ইত্যাদি।
বেরিয়েছে প্রফেসর মো. ফজলী হোসেনের স্মৃতিচারণমূলক বই ‘স্মৃতির মণিমালা’। কবিতার বইয়ের মধ্যে আছে সুনীল নাথের ‘অপ্রকাশিত কবিতা’, জ্যোতিময় নন্দীর শিশু তুমি মাটির কাছে, খালিদ আহসানের অ্যানেসথেসিয়া, মিনার মনসুরের মা এখন থেকে যাওয়া নদী, শিশির বড়–য়ার ‘কিছু গদ্য কিছু পদ্য’, শরীফা বুলবুলের ‘আকাশ পাড়ায় সাহস বাড়ে’ ইত্যাদি। গল্প-উপন্যাসের তালিকায় আছে খালেদা হানুমের অপরাহ্নের আলো, শিশির বড়–য়ার ওরা রং বদলায়, শরীফ-উল ইসলামের রাজা, শেখ মোরশেদ আহমেদের আত্মজ ময়ূর ও রিজিয়া বেগমের শুভ পরিণয়। বলাকার শিশুতোষ বইয়ের মধ্যে আছে শামসুদ্দীন হারুনের হলদে বরণ ছড়া, বিকাশ মজুমদারের ঝিঙে গাছে ফিঙে নাচে, সনতোষ বড়–য়ার কাঠবিড়ালী ক্রসফায়ার। শৈলী থেকে বেরিয়েছে- বিমল গুহের সাদা মেঘের ভেলা, ডা. প্রণব কুমার চৌধুরীর শিশুর প্রথম পাঠ, ওমর কায়সারের পরী ও জাদুর তুলি, বিশ্বজিৎ সেনের ডিয়াভূত, সনতোষ হারবাং বিল ব্যাঙের ঝিল, আদিত্য অনীকের ছন্নছাড়া ছড়া, অমিত বড়–য়ার যখন বাজে ছুটির ঘন্টা, সঞ্জিত বণিকের গল্পকথার কল্পলোক, মো. শরীফুল ইসলামের বৃষ্টির ছড়া, অপু বড়–য়ার রঙের তুলি কর্ণফুলী, গুলশান আরা বেগমের নাশিতার জন্যে ইত্যাদি।
শৈলীর কবিতা বইয়ের মধ্যে আছে আনন্দ মোহন রক্ষিতের অনুরাগে ভেজা চোখ, ফরিদা ফরহাদের স্পর্শ পেলেই, তহুরীন সবুর ডালিয়ার আমাদের রাজহংস দিনে, মাহমুদ নজরুলের অরুণিমা, কোহিনূর শাকির ছুঁয়ে যায় অন্তর ও বিকিরণ বড়–য়ার দরজায় কড়া নেড়ে যায়। এ ছাড়া আরও বেরিয়েছে মো. কামাল উদ্দিনের প্রবন্ধের বই নারীকথাও টক টক কথা, নিজামুল ইসলাম সরফীর বরণীয় তারা স্মরণীয় তারা, মাহমুদ নজরুলের প্রাসঙ্গিক প্রসঙ্গ, রিটন কুমার বড়–য়ার ধ্বনি থেকে ভাষা, আহমদুল ইসলাম চৌধুরীর ধর্মকথা, আহমদুর রহমানের মরু মুকুর, শাফীন মোহাম্মদ জনের একালের নাটক, মো. জসীম উদ্দীনের কালো শিকড়, এছাড়াও অন্যান্য প্রকাশ থেকে হরিশংকর জলদাসের কৈবর্তক কথা, নজির আহমেদ এর ‘পরাজিত সৈনিক’, মনওয়ার সাগর এর ‘সাহিত্য মননে অন্বেষণে’, আহম্মেদ মুনিরের আমিও বাঘারু, ড. এমরান চৌধুরীর সম্ভাবনাময় বৃহত্তর চট্টগ্রাম, বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ রুপ রেখা, মাহবুব শাহ’র কে বলে আমি নাই, আদম মুনতাসীর এর অবেলায় নিদ, চন্দন চৌধুরীর সম্পাদিত মুক্তিযুদ্ধের কবিতা, ফারুক হাসানের শাহিনের লাল গরু, রমজান আলী মামুন এর এক যে ছিল রাজকন্যা, মুজিব রাহমানের হাসিখুসির খেয়া, তৌফিকুল ইসলামের পরির শহর, সুজন সাজুর ভূতের বাচ্চা গিরিঙ্গা, বাহারুল হক লিটন এর নরম গরম লিমেরিক, রিজিয়া বেগমের নীড়, ওসমান গণি এনুর গায়ের নাম ওয়াহেদপুর ও দহনের ত্রিশ বৎসর, জামসেদ উদ্দীনের নুড়ি পাথরের ফুল, ফারুক হাসানের হৃদয়ের ক্যানভাস, মোখতার হুসাইনের এনজিও আল্লাদ, বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তবে বিক্রেতারা জানায় বাজারে বিভিন্ন প্রকাশন এর উদ্যোগে আরো কিছু বই বাজারে আসবে। মেলায় বিভিন্ন বয়সী মানুষের আনাগোনায় সরগরম। তবে তরুন-তরুনীদের সংখ্যায় বেশী।
সাঁওলী নামক তরুনী আক্ষেপ করে বলেন এখানকার বইমেলা আরো বর্ধিত কলরবে হওয়া উচিত। তার সাথে সুর মিলিয়ে সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির ছাত্রী চৈতী ও চট্টগ্রামের লেখক প্রকাশকদের আরো বেশী উদ্যোগী হয়ে বইমেলাকে প্রাণের উৎসবে পরিণত করার উদাত্ত আহবান জানান। কমল রুদ্র নামক এক তরুন লেখক তিনটি পৃথক স্থানে মেলার আয়োজনকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন। তার মতে সৃজনশীল আাঙ্গিকে একটি বই মেলাই যথেষ্ট। যেখানে লেখকরা আসবেন, বইয়ের মোড়ক উন্মোচন হবে, বই সম্পর্কিত সভা, সেমিনার ইত্যাদি হবে এবং পাঠকরা বই ক্রয়ে উৎসাহী হবে।
গত ৭ ফেব্র“য়ারী ডি.সি পার্কে বাঙালীর নিগুঢ় চেতনার উৎস একুশের বই মেলা উদ্বোাধন করেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী ডাঃ আফসারুল আমীন। এতে সভাপতিত্ব করেন জনাব আবদুচ সালাম। চট্টগ্রামের উল্লেখযোগ্য লেখক সাংবাদিকদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রধান অতিথি ডাঃ আফসারুল আমীন বলেন, একুশ আমাদের চেতনার মূল উৎস। আমাদের ভাষা আমাদের অহংকার।
এই ভাষায় রচিত সাহিত্য সম্ভার অনেক বেশী শক্তিশালী। ভাষার প্রতি সকলের ভালবাসা থাকা বাঞ্চনীয়। যাদের স্ব-স্ব ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা নেই তাদের দেশপ্রেমও নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি এই উদ্যোগের প্রশংসা করে বই মেলাকে আরো বেশী সমৃদ্ধ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। ১২ জানুয়ারী লালদিঘীর পাড়ে বই মেলার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, বই মেলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন বই মেলা বাঙালীর চেতনাকে অনেক বেশী বলিষ্ট রূপ দান করেছে।
একুশের চেতনায় মূলত বাঙালীর সার্বভৌমত্বের প্রধানতম উৎস। তাই এই চেতনাকে ধরে রাখায় হবে প্রত্যেক বাঙালীর দেশপ্রেমের সোপান। ১৭ ফেব্র“য়ারী সৃজনশীল বই মেলার শুভ উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সমাজ বিজ্ঞানী ড. অনুপম সেন, বই মেলা কমিটির আহবায়ক শাহ আলম নিপুর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জামাল নজরুল ইসলাম। আলোচক ছিলেন- বিশিষ্ট কলামিষ্ট, সাংবাদিক কবি আবুর মোমেন, অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হোসেন, অধ্যাপক হোসাইন কবির, স্বাগত বক্তব্য রাখেন সৃজনশীল বইমেলা কমিটির সদস্য সচিব মো. জামাল উদ্দিন উল্লেখ্য যে প্রতিদিন তিনটি মেলায় বিষয়ভিত্তিক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশ বরণ্যে লেখক-সাহিত্যিকদের উপস্থিতি ও বিশেষভাবে লক্ষ্য করা যায়।
আলোচনা সভাশেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও দর্শকদের বিশেষভাবে আকর্ষণ করতে দেখা যায়। তবে চট্টগ্রামের স্বনামধন্য লেখকদের অধিকাংশই মুসলিম হল এ অনুষ্ঠিত বই মেলায় উপস্থিত থাকতে দেখা যায়।
আদিবাসী মেলা
বিবাহ গান, জুসনৃত্য মাছ শিকারের গান, সহ হরেক বৈশিষ্ট্য মণ্ডিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল গতানুগতিকতার বিপরীতে এক অনবদ্ধ উচ্ছাস। মোহনীয়তায় মুগ্ধ করে রেখেছিল কয়েক হাজার মানুষকে। স¤প্রতির বন্ধনের তীব্রতা ছুঁয়েছে, উপস্থিত সকলকেই করেছে ভালবাসায় সিক্ত।
শুধু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানই নয় পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর হস্ত শিল্পের বিশালত্বের প্রকাশ ঘটিয়েছে মেলা প্রাঙ্গণে। পাহাড়ী বৈশিষ্টের কানের দুল, নাকফুল, আংটি, ছুঁড়ি, বেত ও বাঁশের নানাবিদ ভিন্ন আঙ্গিকে সরঞ্জাম বিশেষত মাছ ধরা, বন্যপশু শিকার ও কৃষি কাজে ব্যাবহৃত নানান জিনিস। কুমির বাঘ, হাতি, হাঙ্গর, নানাবিদ পোশাক, বিশেষত শাল, চাদর, গাগড়া, ছিল ভিন্ন স্বাদের আচার, বাদাম ইত্যাদি। ষ্টলগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল বিয়ং, কক্স-বিপার্ল ফাইন্ডার, মেরিনট্যুরস, শব্দায়ন আবৃতি একাডেমী ইত্যাদি। উল্লেখ্য যে বাংলাদেশে আদিবাসী সংস্কৃতির ঐতিহ্য রক্ষা ও বাঙালী-আদিবাসী জনগোষ্ঠীর স¤প্রতির বন্ধন অটুট রাখার দীপ্ত অঙ্গিকার নিয়ে এই মেলার আয়োজন করে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন ও চ্যালেন আই কর্তৃপক্ষ।
মেলা উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী জি এম কাদের। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার ৪ টেকনাফ উখিয়ার সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি, পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান শফিক আলম মেহেদী, চ্যানেল আই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, বিশেষ পরিচালক শাইখ সিরাজ, জেলা প্রশাসক মনজুর আলম ভূঁইয়া প্রমুখ। অনেক আনন্দ উচ্ছাস কিংবা মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কর্তৃপক্ষ এই মেলার আয়োজন করলেও শেষ পর্যন্ত মেলায় কিছুটা বিতর্ক সৃষ্টি হয়। বিতর্কিতদের মতে ১১টি স¤প্রদায়ের লোক যাঁদের ভাষা ও সংস্কৃতিতে ভিন্নতা আছে তারাই শুধুমাত্র উপজাতি কিংবা আদিবাসী। অন্যরা নয় সেই অর্থে ঐ ১১ স¤প্রদায়ের বাইরে যাদের অংশ গ্রহণ ছিল তারা প্রকৃত আদিবাসী নয়।
তবে কর্তৃপক্ষের মতে তারা এ বির্তকে বিশ্বাসী নয়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল কক্সবাজারকে বিশ্বের দরবারে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। পর্যটন কর্পোরেশনের স্টলে ছিল ইন্টারনেটে বিশ্বের সপ্তম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে এলাকা হিসেবে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা।
View this link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।