উন্মাদ খুলির পৃষ্ঠাগুলি
(উৎসর্গ: কুমোর পাড়ার কালোবেড়ালগুলো-কে)
প্রতিদিন পুকুরের পানিতে ভেসে থাকতে দেখি
অরূপ-রূপের হাঁস। পুকুর পাড়ের জংলি ফুলের গন্ধে রাত জেগে রই,
কুড়েঘরে ফুলের কুঁড়িরা ফুটে রয়, বিভোর তন্ময়তায় তাদের ঘ্রাণ-সমুদ্রে আমরা দেহ-তোড়ায় ক্রসচিহ্ন আঁকি।
মৃতদের জাহাজে আড়ৎদারের গোলাপি মেয়েরা নৃত্য করে,
আমি তাদের পায়ের ভেতর গুটানো মাথা, আমার নীচতার করাতে
দ্বিখণ্ডিত আমারই জিভে, তবু স্বপ্নের কানকোতে, তোমার পায়েলবাজি চোখের ইশারা সংকেত পাঠাই দূরবনে।
দূরের জাহাজ থেকে হাতের ভেতর উড়ে আসে মশলার ঘ্রাণ। তোমার মোমের ঘরে সূর্য ওঠে, বারুদ পাহাড়ে জলন্ত দেহ-স্বাদের ঘোড়ারা নাগিনী নদীর দিকে দৌঁড়ায়, খুরের শব্দেই আমি জাগি।
আর পানির ভেতর আমি আগুন পাহারা দিই, আমি সর্বহারা
শূন্যতার বহরে নিজস্ব-স্বভাবে সূর্য ডুবার
দৃশ্যরাজি দেখি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।