স্বপ্নকে কাজ দিয়ে করি বাস্তব.......
প্রথম আলো গতকাল একটা খবর ছেপেছে তাদের বুধবারের সাপ্লিমেন্ট নারী মঞ্চে। আমি পেপার পড়ি না, খবরও দেখি না। প্রচুর টিভি দেখি সময় পেলই। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে আমি পেপারটা পড়ে ফেলি এবং একধরনের ধোঁয়াটে অনুভবের মাঝে ঢুকে পড়ি। যা বলার মতো বাংলা ভাষা আমি এখেনা আয়ত্ত করে উঠতে পারিনি।
মীরপুরে ৯বছেরর এক বালিকাকে দলগতভাবে ধর্ষণের পর হত্যা করে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রেখে গেছে, ময়নার নিজেরই বাসা সেটা। কর্মজীবি বাবা মা'র ২সন্তান বিকেল পর্যন্ত একাই বাসায় থাকেতা। ৮বছেরর ময়না ৩বছেরর ছোট ভাই এর দেখভাল করতো।
আমার কান্না, আমার আহা শব্দ ঐ ছোট্ট মামণির আঘাত মুছতে পারবে না। সোনামণি আমার কত বীভতস কষ্টই না পেয়েছে।
আমরা এত্তটুকুন একটা বাচ্চাকে নারী হিসেবে ভোগের পণ্য হিসেবে দেখি, আমাদের যৌন চেতনা জাগ্রত হয় একটা বাবুকে দেখে। আমাদের শরীর সাড়া দেয়। এসব সময় আমি স্রষ্টার অস্তিত্ব সম্পর্কে সন্দিহান হয়ে পড়ি।
হয়তো আরো কিছুদিন মনে রাখব, অজান্তেই কেঁদে ফেলব। তারপর ভুলে যাব।
বহুবার পুরুষের যৌন অপরাধের পক্ষে অনেক যুক্তি শুনেছি। মিডিয়াতে উলঙ্গ নারীদের দেখে তারা এমন আচরণ করে। নারীরা বেপর্দায় চলে পুরুষদের উত্যক্ত ও উত্তেজিত করে। প্রকৃত মানুষ সে পুরুষ হোক বা নারী.....কখনো ধর্ষণ করতে পারে এটা বোধগম্যতার বাইরে। শিশুদের স্পর্শে কারো যৌনবোধ জাগতে পারে সে চেতনাও কোনভাবে ধরতে পারি না।
সমাজে এসব লোকদের কেনা ঠাঁই থাকার কথা না। অথচ এসব লোকেরাই আবার মুখোশ পরে দিব্যি স্বাভাবিকভাবে ঘুরছে।
ডাক্তারী পয়েন্টগুলো সম্পর্কে আমি তেমন অবগত নই। ময়নার সোয়াব টেস্ট এবং প্রাপ্ত স্পার্মের ডিএনএ টেস্ট করালে কি অপরাধীদের ধরা সম্ভব নয়??
আমি কার ভরসায়, কোন মুখে কোন মেয়ে শিশুকে পৃথিবীতে আনব?? যে মা তার সন্তানের নিরাপত্তা দিতে পারে না, সে মায়ের আর্তনাদে কি কেঁপে উঠে না স্রষ্টার আরশ??
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।