http://www.choturmatrik.com/blogger/আরণ্যক
নাস্তিকরা মনে করেন আমরা আর প্রকৃতির হাতের পুতুল নাই --
বিজ্ঞান হলো সর্ব রোগের মহাঔষধ
মানুষ এখন প্রকৃতির হাতের পুতুল নাই -- এই কথাটা নিজেকেই প্রশ্ন করুন -- কোথাও দেখি না মানুষ প্রকৃতি কন্ট্রোল করে ফেলেছে ---
ভবিষৎতে পারবে বলেও মনে হয় না -- মহাবিশ্বের তুলনায় আমরা এতই ছোট একটা ধুমকেতু ছুটে আসলে ওটাকে ঠেকাতে মানুষের কি লাগবে এটা চিন্তা করেন ..
প্রত্যেক মূহুর্তে অনিশ্চয়তা ~
বিজ্ঞান বিশ্বাস করেই বলছি --- ধর্ম পৃথিবীর জন্য যা করেছে --
বিজ্ঞানও তা করেছে -- আপনি কিভাবে নিবেন তা আপনার ওপরে -- বিজ্ঞানের ক্ষতিকর দিক গুলি কিন্তু কম না ---
অন্ধ না হলে আশাকরি এইগুলি ইতিমধ্যে চোখে পড়ছে --
শত শত বিজ্ঞানী আছেন ধর্মে বিশ্বাস করেন -- তাতে কিছু প্রমান হয় না
এখন একজন ধার্মিক ব্যক্তি যদি আমার কাছে যানতে চান -- কিভাবে মানুষ সৃষ্টি হলো আমি বলব বিবর্তন থেকে ---
কেউ যদি আমাকে বলে কিভাবে সুখে থাকবো -- আমি বলব ধর্ম পালন করেন
এই পোষ্টের মুলসুর হচ্ছে নাস্তিকের আত্নপরিচয় ---
মনের ভিতরের শুন্যতা যখন কিছু দিয়ে পুরন করা যায় না --
ধর্মকে গালাগালি করে সেটা পুরনের চেষ্টা ভন্ডামী ছাড়া আর কিছু না
কোন ব্যক্তি / শক্তি / দেশের ভয়ে বা ভক্তিতে নাস্তিক হওয়াকে আমি রাজাকারি বলব X
আমি ভাগ্যবান আমি নাস্তিক হইনি এখন বুঝতে পারছি ..
আস্তিক হওয়াও সম্ভব না কারন অনেক প্রশ্নের উত্তর নেই;মনের মধ্যে সন্দেহ
তবে আমি আস্তিকদের ঈর্ষা করি (মোল্লা না ! যাদের মাথায় বুদ্ধি আছে , পরমত সহনশীল) কারন তারা বিশ্বাস কোরে সুখে আছে
[কোন কোন ক্ষেত্রে ইগনোরেন্স ইজ ব্লিস !]
নৈতিকতা -- জীবনআচরন মনে হয় ধর্মই ভালো শিখায় --
কিছু কিছু ব্যাপারে পুরান চাল ভাতে বাড়ে -- অনেক ব্যাপার ভন্ডামি বুজরুকি হলেও শত শত বছরের প্রবাদ/নীতি কথা কিন্তু এখনও চলে
কথায় কাজে মিল আছে এমন নাস্তিকও শ্রদ্ধার পাত্র।
মধ্যপন্থাই উত্তম পন্থা ~~
~~~~~~~~~~~~~~~~~
এই দুটা প্রশ্নের উত্তর খোজা জরুরী--
আতিকুল হকের Post থেকে
এক, এইসব অপ্রমানিত ধারনা নির্ভর বৈজ্ঞানিক উত্তরকে অস্বীকার করা। সেক্ষেত্রে প্রশ্নগুলোর কোন সঠিক উত্তর তার জানা থাকে না এবং তিনি একজন আস্তিককে ভুল বা বিভ্রান্ত বলার অধিকার হারান। কারন ভুল একজনকে তখনি বলা যায় যখন সঠিক উত্তরটা জানা থাকে অথবা অন্যের উত্তরটা যে ভুল তার কোন প্রমান হাতে থাকে।
নাস্তিকের দ্বিতীয় পথটা হলো, এইসব বৈজ্ঞানিক উত্তরকে গ্রহন করে নেয়া। সেক্ষেত্রে একজন নাস্তিক তার মুলনীতি - প্রমান ছাড়া কোন কিছু গ্রহন না করা, তারই বিরোধিতা করেন। কনট্রাডিকশনের মধ্যে আর যাই হোক সত্য থাকতে পারে না।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
পথের শেষ হয় সংশয়ে নয়তো স্ববিরোধিতায়~~~~~~~~~~~~~~~
সত্যি কথাটা শুনতে গেলে নাস্তিক ও তার আস্তিক ভাইয়ের মতো প্রতিক্রিয়াশীল
আমার এখন ধরে নিতে সম্যসা নাই যে মহাবিশ্ব বিগ ব্যাং থেকে সৃষ্টি হয়েছিল ---- কিন্তু নাস্তিকতার ডিলেমা এটা যে
এর পর মনে হয় এটা তো 'অবশ্যই' না --- যদি অন্য কিছু হয়
গ্রহনযোগ্যতার উপর কতোটুকু ভরসা করতে পারে অবিশ্বাসী নাস্তিক ----
একটা গল্প আছে -- "কাউকে অবিশ্বাস করতে শিখালে --সে ধীরে ধীরে সবাইকে অবিশ্বাস করা শুরু করে "
এই শুন্যতা পুরন করার অস্ত্র এখোনো নাস্তিকদের হাতে আসেনি
সৃষ্টিকর্তা আছে কি নাই এই ব্যাপারে তর্ক চলতে পারে --
কিন্তু আমরা কোথা থেকে এসেছি ? কোথায় যাব ? আত্না আছে কি নাই ? আবেগের উৎস গুলি কি ?
আমরা এত চিন্তাশীল, যুক্তিপুর্ন প্রানী হয়ে হাজার ধরনের অযৌক্তিক কাজ কেন করি ?
অনিশ্চয়তার উৎস কি ?
এই সব প্রশ্ন গুলি যুক্তি দিয়ে কি উত্তর করা যায় ?
জীবন কিভাবে সৃষ্টি হলো ? মহাবিশ্বের সীমা কতটুকু ?
আমার কাছেও "মহাবিশ্ব আছে" এই axiom গ্রহন যোগ্য ..
এর সাথে অন্য কিছুও আছে যেটা সবকিছু কে কানেক্টক করে ..
এটা শুধু ফিল করাতে পারি ........
বিজ্ঞান হচ্ছে বিশেষ জ্ঞান -- এটা খোলা যুক্তিপূর্ন সবকিছুর জন্য --
কোন কিছুরই এক্সট্রিমিজম ভালো না
ধর্মে আস্থা হারিয়ে সুন্দর মতো নাস্তিক জীবনযাপন করা এক জিনিষ --
ধর্মকে হেয় করার জন্য - ধর্মকে গালাগালি করে নাস্তিক হওয়া আরেক জিনিষ
ধার্মিক বা নাস্তিক হওয়ার চাইতে মানুষ হওয়া টাই ইর্ম্পটেন্ট
আমার মন খোলা থাকুক
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।