!!!
রশিদা জাফর (৬০) মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। মোট ৭৭২১৭ ভোটের মধ্যে তিনি পেয়েছেন ৬১২৩২ ভোট। শতকরা ৭৯.২৯ ভাগ! এতো বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হওয়া নিঃসন্দেহে একটা রেকর্ড। তাঁর জনপ্রিয়তার কারণ অনুসন্ধানে জানা গেল আরেকটি অধ্যায়।
রশিদা জাফরের স্বামী মোঃ জাফর ছিলেন এলাকার জনপ্রিয় লোক।
১৯৭৭ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীর নিকট মাত্র ৩ ভোটে তিনি হেরে যান। হেরে যাওয়ার সংবাদ পাওয়ার পূর্বে তাঁর সমর্থকরা তাকে বিজয়ী ঘোষণা করে মালা পরিয়ে দেয়। কিন্তু পর মুহূর্তে খবর আসে তিনি হেরে গেছেন। এটা তিনি সহ্য করতে পারেননি। ফলাফল তাৎক্ষনিক মৃত্যু।
১১ বছরের পুত্র এবং ৮ বছরের কন্যা সন্তান নিয়ে রশিদা জাফরের শুরু হয় জীবন সংগ্রাম। সংগ্রামে হেরে যাননি রশিদা।
নানা সামাজিক কর্মকান্ডে জড়িত থাকার পাশাপাশি লোকজনের উৎসাহে ১৯৯৬ সালে ইউ.পি নির্বাচনে মহিলা সংরক্ষিত আসনে জয়লাভ করেন। ২০০৩ সালে পুনরায় নির্বাচিত হন। এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পদত্যাগ করে নির্বাচন করেন।
শুধু কি স্বামীর জনপ্রিয়তাই তাঁকে নির্বাচনে জয়লাভ করতে সহায়তা করেছে? স্বল্পভাষী রশিদা স্মিত হেসে জানান, ইউনিয়ন পরিষদের কাজের মূল্যায়নও জনগণ করেছেন। বর্তমানে তিনি মহিলাদের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাবেন মর্মে জানিয়েছেন। রশিদা জাফরের মাধ্যমে এলাকার নারীদের উন্নয়ন হোক এটাই সকলের কাম্য।
কৌতূহলোদ্দীপক তথ্য -যে ব্যক্তির নিকট রশিদা জাফরের স্বামী নির্বাচনে হেরে মারা যান সেই বিজয়ী প্রার্থী বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। উল্লেখ্য রশিদা জাফরের পুত্র বর্তমানে একজন প্রতিষ্ঠিত চক্ষু বিশেষজ্ঞ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রীধারী কন্যা বর্তমানে কানাডায় ব্যবসার সাথে জড়িত আছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।