অনেকদিন মনের সাধ মিটায় কারো উপর অগ্নিবর্ষন করতে পারতেসিনা । ক্লাস ছিল বন্ধ, বন্ধু-বান্ধব ইদানিং দূর থেকে দেখেই আতকায় উঠে । তার উপর নেটের অবস্থাও আমার বেহাল , ব্লগে কিছুই লিখতে পারিনা । আমার আবার মানুষজনকে জ্বালাইতে না পারলে ভালো লাগেনা । মনে হয় জীবনের একটা মহৎ উদ্দেশ্য অপূর্ণ রয়ে গেল ।
ইদানিং তাই জীবনটা বড় পানসে আর ভোতা ভোতা লাগে । খাইছে ! আমি কি ভালো মানুষ হয়ে যাইতেসি ?
কাল থেকে ক্লাস শুরু । আমার ক্লাসমেটদের মত বেরসিক ক্লাসমেট আর দেখিনাই । এরা কোনো রসিকতাই নিতে পারেনা । আমার অমূল্য প্রতিভা ক্লাসে মারা যাইতেসে ।
সামহোয়ার না থাকলে আমার যে কি হইত ....
অবশেষে সবার উদ্দেশ্যে একটা সাধারন গল্প ।
ৎসু-কুঙ বানর পুষতেন । তিনি নিজে যেমন বানরদের ভাষা এবং হাবভাব বুঝতেন, বানররাও তেমনি তার কথা বুঝত । ক্রমে ৎসু-কুঙের অবস্থা আর তেমন রইলনা, জিনিষপত্রের দামও বেড়ে গেল । তখন তিনি দেখলেন, বানরদের আহারের বরাদ্দ ছাঁটাই না করলে চলেনা ।
তিনি বানরদের বললেন,"দেখ, দিনকাল বড় খারাপ পড়েছে, কিছুদিন তোমাদের কম খেতে হবে । সকালে তিন বাটি আর সন্ধ্যায় চার বাটির বেশী দিতে পারছিনা । শুনে বানরদের মধ্যে হইচই পড়ে গেল । তারা প্রতিবাদ করতে লাগল : "না, কখনোই না, কিছুতেই তা হতে দেব না, আমরা মানবোনা, মানবোনা ! "
তখন ৎসু-কুঙ বললেন : "আচ্ছা তাই হবে, তোমাদের কথাই রইল, সকালে চার বাটি এবং রাত্রে তিন বাটি পাবে কাল থেকে ! "
বানররা খুশী হয়ে গেল । আর গোলমাল রইলনা ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।