সন্দেহে আছি সত্য
সমাজতন্ত্র। যার মূলকথা হলো দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ। দ্বন্দ্ব সন্দেহ নেই, কিন্তু বস্তুবাদ? যদি পজিটিভ বিজ্ঞানকে মেনে না নেই তবে বস্তুবাদ টেকে না। কার্যকারণবাদ টেকে না। কিন্তু দ্বান্দ্বিকতা টেকে, আর সেই সাথে দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদও পার পেয়ে যায়।
কিন্তু তখন সে প্রশ্নবিদ্ধ পাখির মতো। মানুষের কাছে জানার চাইতে অজানার পরিমাণ বেশি, দৃশ্যের চাইতে অদৃশ্যের, রহস্যের, তার ফাঁদে পড়ে তখন সে যা কিছুতে যা খুশিতে ভর করতে পারে। তার দোষ কি? তার মানে কারো কোনো দোষ নাই, কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না। যাচ্ছি দ্বান্দ্বিক প্রক্রিয়ায় আর পৌঁছতে চাচ্ছি আদর্শে, ধ্রুবতে। বলিহারি ব্যাপার! মানুষ কেনো মানুষ? তা কি কেবল বিবর্তনে? তাহলে মানুষের এতো বৈরিতা কেনো প্রকৃতির সাথে? মানুষ কেনো খোঁজে শয়তানে ভগবানে? নির্গুণ ব্রহ্মা সে অনির্বচনীয়, কিন্তু গুণবাচক ব্রহ্মা মানে ভগবান মানে ঈশ্বর সে যেন মানুষ স্বয়ং।
ফেরেশতা জ্বিন দৈত্য অসুর আর কোনো কিছুই তার চেয়ে বড় নয়, তাই জানি আজ তক। তাহলে ব্যক্তি মানুষ, তার বেঁচে থাকা, কোথায়? আর নিজেকে সবচাইতে কম বুঝতে পারার, নিজের অপারগতার, নিজের কাছ থেকে পালানোর উত্তরই-বা কোথায়? অপরকেও তো চিনি না। আবার অপরকে ভালো লাগে না, আবার অপরকে নাকচও করতে পারি না। যৌন থেকে মৌন যে কোনো কিছুতে মানুষকে চাই। চাই গরু ছাগল ভেড়া এদেরকেও।
তাদের পেটানো চাই। কেবল গরু গাধাকে না, মানুষকেও পেটানো চাই, খুন করা চাই, ধর্ষণ করা চাই, ক্ষমতার জন্য যুদ্ধ করা চাই, নির্বাচনে জেতা চাই, দামি গাড়ি বাড়ি ব্রা প্যান্টি চাই। ক্ষমতা অতঃপর ক্ষমতা তারপরও ক্ষমতা চাই। প্রতারণা চাই প্রতারিত হওয়া চাই। অত্যাচার চাই অত্যাচারিত হওয়া চাই।
বিজ্ঞান দিয়ে চলে না, অধ্যাত্ম এসে হানা দেয় মাথার ভেতর, আবার বিজ্ঞানও চাই, কেবল বিজ্ঞান না, ফলিত বিজ্ঞান চাই, কেবল ফলিত না, প্রকৌশল চাই, কেবল প্রকৌশল না, প্রযুক্তি চাই, কেবল প্রযুক্তি না, তা আবার যাদের টাকাপয়সা কড়িকানা আছে তাদের কাছে পৌঁছানো চাই। তালে সৃষ্টি কোনটা? যেটা দেখে দেখে বানালাম নাকি যেটা কোনোদিন কেউ বানায় নাই, এমনকি নির্গুণ ব্রহ্মা যা বানান নাই, কিন্তু তিনি তো নির্গুণ মানে তার বিষয়ে তো কিছুই জানি না, তিনি কী বানান নাই তা কেমন করে বলবো? কই আদর্শ? কই নীতি? কিসের নিরপেক্ষতা? কিসের আমি? কিসের অহম? কেন অহম? কেন মায়া স্নেহ? কারে বলে স্বজ্ঞা প্রতিবর্ত? কারে বলে মন ভোগ সন্ন্যাস? কোনটা করলে কি হয়? পতিতা কই যাবে? প্রতিবন্ধী কই যাবে? হিজড়া কই যাবে? পাপী কই যাবে? কারে বলে পাপ? ফাঁসি দেয়া কাকে বলে? কে ক্ষুদিরাম? কেই-বা বাংলা ভাই? দাবি কাকে বলে? নামায পূজা হজ্ব কার জন্য? মিথ্যা সত্য সুন্দর কুৎসিত বিহারি বাঙালি মারাঠি মোঘল ইহুদী নাসারা কি? নিতম্ব যোনি লিঙ্গ এগুলা? বাৎসায়ন কে? শ্রীকৃষ্ণ কে, বন্ধু না মিত্র? চক্র? চড়কি? তারপর মৃত্যু? ওপার এপার? মৃত্যু কি মুক্তি প্রশান্তি? সুখ না শান্তি? শব্দ, সামর্থ্য না সীমাবদ্ধতা? সমকাম না কি বিষমকাম? অজাচার, বিকৃতি না কি ফ্রয়েডগিরি? সাম্য-শ্রেণিহীন সমাজ-শ্রেণী লড়াই, ভেলকি না কি সত্য? কে মোরে দখায়ে দেবে? মন্ত্রী না কি আমলা, ক্যান্টনমেন্ট না কি বস্তি? মাও না লেনিন? শিয়া না সুন্নী? বুদ্ধ না কি শঙ্কর? কে মোরে চিনায়ে দেবে? তারপরো নিখিল আমার ভাই/জীবন আমার বোন। তারপরো নিখিল আমাদের ভাই/জীবন আমাদের বোন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।