সেখানে সিরিয়ায় হামলার বিষয়টি নিয়ে খোদ মস্কো এবং অন্যান্য বিদেশি নেতাদের বিরোধিতা মোকাবেলা করতে হবে ওবামাকে।
রাশিয়ার আপত্তি এবং হুঁশিয়ারির মুখেও সিরিয়ায় সামরিক অভিযানের পথে এগোনোর জন্য তৎপরতা চালাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।
রাশিয়ার সঙ্গে ঘোরতর সংঘাতময় এ ইস্যুটি ছাড়াও আছে এডওয়ার্ড স্নোডেন ইস্যু। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্য ফাঁস করে পলাতক যে সাবেক সিআইএ কর্মকর্তাকে নিরাপদ আশ্রয় দিয়ে রেখেছে রাশিয়া।
রাশিয়া স্নোডেনকে আশ্রয় দেয়ার পরপরই যুক্তরাষ্ট্র হতাশা এবং ক্ষোভ প্রকাশ করে।
জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক বাতিলের ঘোষণাও তখনই দিয়েছিলেন ওবামা।
যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার টানাপোড়েনের সম্পর্কে মধ্যে এ দুটি বিষয়ই আরো তিক্ততা সৃষ্টি করেছে।
এর মধ্যেই রাশিয়ায় দুই দিনের জি-২০ অর্থনৈতিক সম্মেলনে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার সেন্ট পিটার্সবার্গে গেছেন ওবামা। স্নোডেনের ঘটনার পর রাশিয়ায় তার প্রথম সফর এটি।
এর আগে বুধবার স্টোকহোম থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরেই ওবামা জানিয়েছিলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন না তিনি।
বরং এর পরিবর্তে সম্মেলনের ফাঁকে তিনি বৈঠক করবেন ফ্রান্স, চীন এবং জাপানের সঙ্গে।
সম্মেলনের আলোচ্যসূচিতে সিরিয়া ইস্যু আনুষ্ঠানিকভাবে না রাখা হলেও নেতারা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। আর সিরিয়ায় হামলার পক্ষে সমর্থন আদায়ে সচেষ্ট ওবামা সেখানেও আরেকবার নেতাদের সমর্থন লাভের চেষ্টা নেবেন।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী আবের সঙ্গে এরই মধ্যে সিরিয়া নিয়ে ওবামার কথা হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। সিরিয়া রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে এবং এজন্য তার শাস্তি পাওয়া উচিত বলে মত দিয়েছেন আবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।