আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চাঁদাবাজি- দখল থামান .... এক্ষুণি

জীবন বুনে স্বপ্ন বানাই মানবজমিনে অনেক চাষ চাই

আওয়ামী লীগের ইশতেহারে অগ্রাধিকারের ৫টি বিষয়ের মধ্যে একটি হল ‘সুশাসন প্রতিষ্ঠা’ । এই ধারায় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, হামলা, দখল ইত্যাদি সম্পর্কে যা আছে, তার উল্লেখযোগ্য অংশ তুলে ধরছি। ইশতেহারে আছে - ৫. সুশাসন প্রতিষ্ঠা : ৫.১ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ শক্ত হাতে দমন করা হবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যবস্থা করা হবে। ৫.২ বিচার বিভাগের প্রকৃত স্বাধীনতা ও নিরপেতা নিশ্চিত করা হবে।

বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করা হবে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের রায় কার্যকর ও জেলখানায় চার নেতার হত্যাকাণ্ডের পুনর্বিচার সম্পন্ন করা হবে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের ব্যবস্থা করা হবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, স্বাধীন মানবাধিকার কমিশন গঠন ও ন্যায়পাল নিয়োগ করা হবে। মানবাধিকার লংঘন কঠোরভাবে বন্ধ করা হবে।

৫.৩ নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচন পদ্ধতির চলমান সংস্কার অব্যাহত থাকবে। জাতীয় সংসদকে কার্যকর ও সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে। প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীসভার সদস্য এবং সংসদ সদস্য ও তাদের পরিবারের সম্পদের হিসাব ও আয়ের উৎস প্রতিবছর জনসমে প্রকাশ করা হবে। রাষ্ট্রের নিরাপত্তা সংক্রান্ত কতিপয় সুনির্দিষ্ট বিষয় ছাড়া সংসদ সদস্যদের ভিন্নমত প্রকাশের অধিকার দেয়া হবে। ৫.৪ রাজনীতিতে সা¤প্রদায়িক সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নিষিদ্ধ করা হবে।

ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করা হবে। রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে শিষ্টাচার ও সহিষ্ণুতা গড়ে তোলা হবে এবং সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি নিষিদ্ধ হবে। একটি সর্বসম্মত আচরণ বিধিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। ৫.৭ জনজীবনে নিরাপত্তা বিধানে পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা রাকারী বাহিনীসমূহকে রাজনীতির প্রভাবমুক্ত, আধুনিক ও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলা হবে। তাদের বেতন-ভাতা, আবাসন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি এবং কল্যাণে প্রয়োজনীয় পদপে নেওয়া হবে।

এছাড়া আওয়ামী লীগের রূপকল্প - ২০২১ এ সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দখল সম্পর্কে বলা আছে - ৩. সুশাসনের জন্য আইনের শাসন ও দলীয়করণ প্রতিরোধ আইনের শাসন সুপ্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশে মানবাধিকার সংরণ করা হবে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত, রাষ্ট্রীয় বিভিনড়ব প্রতিষ্ঠান ও প্রশাসনকে দলীয়করণ মুক্ত করা হবে। নিয়োগ ও পদোনড়বতির ভিত্তি হবে মেধা, দতা, জ্যেষ্ঠতা, সততা এবং দলীয় পরিচয়ের ঊর্ধ্বে প্রজাতন্ত্রের প্রতি আনুগত্য। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনে প্রশাসনকে ব্যবহার বন্ধ নিশ্চিত করা হবে। ৪. রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন সন্ত্রাস, দুর্নীতি, ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহার বন্ধ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি, স্বচ্ছ অর্থায়ন, শিষ্টাচার ও সহনশীল আচরণ প্রতিষ্ঠা করা হবে।

রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরে গণতন্ত্র চর্চা ও অধিকতর সংস্কারের ল্েয যুগোপযোগী পদপে গ্রহণ করা হবে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। গত সাত বছরে পালিয়ে সন্ত্রাসীরা এলাকায় ফিরছে। তারা ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন লোকজনকে চাঁদা দেয়ার জন্য খবর পাঠাচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেক জায়গায় শুরু হয়েছে নীরব চাঁদাবাজি।

অনেক ব্যবসায়ী তাদের নিরাপত্তা রার্থে সন্ত্রাসীদের সাথে মাসোহারা দেয়ার জন্য সমঝোতা করতে বাধ্য হয়েছেন। এখন পর্যন্ত এ সব ঘটনা নীরবে নীরবে ঘটলেও আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে তা আর নীরব থাকবে না। সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজরা সম্মিলিতভাবে তাদের উপরই হামলে পড়বে যারা ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে মতায় এনেছে। এসব ভেবে সাধারণ মানুষ তো বটেই, অনেক আওয়ামী লীগ নেতাও আতঙ্কিত। বালু মহাল, নদীর ঘাট, বাস টার্নিমাল, ছাত্রাবাস দখলের জন্য ওৎ পেতে আছে সন্ত্রাসীরা।

ইতিমধ্যে ভদ্র পন্থায় অনেক প্রতিষ্ঠান নীরবে দখল হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও আওয়ামী লীগই আওয়ামী লীগের অপর গ্রুপের সাথে দখলের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দেখা যায়, এখন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাঁদাবাজি ও দখল বন্ধ করা দরকার। হাসিনা সরকারের প্রথম কাজ এটা। চাঁদাবাজি ও দখল থামান ... এক্ষুণি।

নইলে ইশতেহারে যত ভালো কথাই থাকুক, সব কিছুই ভুয়া প্রমাণিত হবে। উন্নয়ন হবে কেবল সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের। আর জনগণের দুঃখ - দুর্দশা রয়েই যাবে। তাই, চাঁদাবাজি ও দখল থামান .... এক্ষুণি। Click This Link


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.